সাতক্ষীরার সড়কের গাছ মরে বিবর্ণ হচ্ছে পরিবেশ

প্রকাশিত: ৭:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯ | আপডেট: ৭:৩১:অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:
নজরদারি ও পরিচর্যার অভাবে মরে যাচ্ছে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার রাস্তার পাশে লাগানো গাছ। এতে বিবর্ণ হচ্ছে এখানের পরিবেশ।
মরে পড়ে থেকে একসময় শুকিয়েও যাচ্ছে, কিন্তু কেউ যেন এসব দেখারও নেই। রাস্তার পাশের বেড়ে ওঠা অধিকাংশ গাছের মালিক হলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, বিভিন্ন এনজিও, সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং জেলা পরিষদ। এ ব্যাপারে কোন পক্ষকেই তৎপর দেখা যাচ্ছেনা।
তালা উপজেলায় ১২টি ইউনিয়ন। এখানে রয়েছে ৮শ ৮৯ কিলোমিটার রাস্তা। অধিকাংশ রাস্তার পাশেই ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সী বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রয়েছে। এসব গাছ পরিচর্যার অভাবে খুবই দুর্দশায়। স্থানীয়রা যেমন ইচ্ছা গাছের ডালপালা কাটছে। ফলে বর্ষা মৌসুমে কাটা অংশই হয়ে যাচ্ছে গাছের জন্য মৃত্যু কারণ। গাছের ভিতরের অংশ পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আস্তে আস্তে এ সকল গাছ মৃত্যু পথযাত্রী হচ্ছে।
দেখা গেছে, খুলনা-পাইকগাছা সড়কে দুই উপজেলা সীমান্ত পর্যন্ত, জাতপুর থেকে খলিলনগর হয়ে কাশিমনগর, তালা থেকে সুজনসাহা হয়ে কুমিরা, জেঠুয়া থেকে শালিখা মোড় সহ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কের পাশের গাছগুলোর এমনই বিবর্ণ দশা।
তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাস্তার পাশে যে সকল দীর্ঘ বয়সী গাছ রয়েছে সেগুলোর একটি বড় অংশ মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে পথচারীদের ঝুঁকি নিয়ে পথ চলতে হচ্ছে। তারা জানান, মৃত গাছগুলো কর্তন করে নতুন চারা রোপণ করা খুবই জরুরী। এতে একদিকে গাছ ভেঙ্গে পড়ে বিপদের কারণ কমবে, অন্যদিকে রক্ষা পাবে পরিবেশ।
তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জিএম গোলাম রসুল জানান, এব্যাপারে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। তবে গাছ গুলো সরকারি প্রক্রিয়াধীন করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন বলেন,উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে যে সকল গাছ মরে গেছে সেগুলোর অধিকাংশ সড়ক ও জনপদ এবং জেলা পরিষদের। আমি তাদেরকে চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি এবং জেলা মিটিং এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় তুলেছি কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, ‘বিগত ১০ বছর ধরে বিষয়টি জেলা মিটিং এ উত্থাপন করেছি কিন্তু অদ্যাবধি কোন ফলাফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারও বিষয়টি জেলা মিটিং এর আলোচনায় তুলেছেন কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তবে এটি একটি প্রক্রিয়ায় আসলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতির আশঙ্কা কমবে এবং সরকারও রাজস্ব পাবে।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন,রাস্তার পাশের গাছ কাটা সরকারের কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি প্রক্রিয়াকরণ করে নিলাম করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন মিটিং এ উত্থাপন করেছে কিন্তু জটিলতার কারণে এটি সম্ভব হয়নি। গাছগুলো কাটতে গেলে মিনিষ্ট্রির অনুমোদন লাগে। তবে আমিও চাই পথচারীদের নিরাপত্তা ও সরকারের রাজস্ব বাঁচাতে সরকারি প্রক্রিয়ায় এগুলো নিলাম করে আবারও নতুন চারা রোপণ করা হোক।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:/সাতক্ষীরা




আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক