সাতক্ষীরার তালায় রাস্তার পাশে অসংখ্য মরা গাছ : সরকার হারাচ্ছে কোটি টাকার রাজস্ব

প্রকাশিত: ৭:২৬ অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯ | আপডেট: ৭:২৬:অপরাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তাদের নজরদারির অভাবে রাস্তার পাশে লাগানো গাছ মরে পড়ে থেকে দিন দিন শুকিয়ে নিঃশ্বেষ হয়ে যাচ্ছে। আর এতে সরকারের ক্ষতি হচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একদিকে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকা এবং অসচেতনতার ফলে এমনি ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে সরকার। তবে অধিকাংশ গাছের মালিক হলেন, ইউনিয়ন পরিষদ, বিভিন্ন এনজিও, সড়ক ও জনপদ এবং জেলা পরিষদ।
তালা উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন দ্বারা গঠিত। এ উপজেলায় রয়েছে ৮৪০ কিলোমিটার রাস্তা। যার অধিকাংশ রাস্তার পাশে ২০ থেকে ৫০ বছরের উর্দ্বেধে বয়সের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো রয়েছে। এসকল গাছগুলো পরিচর্যার অভাবে স্থানীয়রা গাছের বড় বড় ডাল কেটে নেওয়ার ফলে বর্ষা মৌসুমে কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে গাছের ভিতরের অংশ পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আস্তে আস্তে এসকল গাছ মৃত্যু পথের যাত্রি হচ্ছে। এরমধ্যে খুলনা-পাইকগাছা সড়কে দু’উপজেলা সীমান্ত পর্যন্ত, জাতপুর থেকে খলিলনগর হয়ে কাশিমনগর,তালা থেকে সুজনসাহা হয়ে কুমিরা,জেঠুয়া থেকে শালিখাসহ উপজেলার মেইন মেইন সড়কের পাশের গাছের এমনি দশা।
তালা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে,রাস্তার পাশে যে সকল দীর্ঘ বয়সী গাছ রয়েছে সেগুলোর একটি বড় অংশ মরে শুকিয়ে যাচ্ছে। ফলে পথচারীরা ঝুকি নিয়ে পথ চলছে আর অন্যদিকে সরকার হারাচ্ছে বড় অংকের রাজস্ব। স্থানীয়রা দাবী করে জানান, সরকারি প্রক্রিয়ায় জীবীত বা মৃত গাছ গুলো কর্তন করে আবার নতুন চারা রোপন করলে একদিকে ঝুকি কমবে অন্যদিকে সরকার রাজস্ব পাবে।
তালা উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জিএম গোলাম রসুল জানান, এব্যাপারে আমি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। তবে গাছ গুলো সরকারি প্রক্রিয়াধীন করলে সরকারের রাজস্ব বাড়বে।
তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে যে সকল গাছগুলো মারা গেছে সেগুলোর অধিকাংশ সড়ক ও জনপদ এবং জেলা পরিষদের। আমি তাদেরকে লিখিত চিঠি দিয়ে অবহিত করেছি এবং জেলা মিটিং এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় তুলেছি কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
তালা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার বলেন, বিগত ১০ বছর ধরে জেলা মিটিং এ উত্থাপন করেছি কিন্তু অদ্যবধি কোন ফলাফল পাইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারও বিসয়টি জেলা মিটিং এর আলোচনায় তুলেছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। তবে এটি একটি প্রক্রিয়ায় আসলে প্রাকৃতিক দূযোগে ক্ষতির আশংখা কাটবে এবং সরকার পাবে রাজস্ব।
সাতক্ষীরা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নজরুল ইসলাম বলেন, রাস্তার পাশের গাছ কাটা সরকারের কড়া নিষেজ্ঞা। এটি প্রক্রিয়া করণ করে নিলাম করা একটি জটিল প্রক্রিয়া। আমাদের জেলা পরিষদের সদস্যরা বিভিন্ন মিটিং এ উত্থাপন করেছে কিন্তু জটিলতার কারনে এটি সম্ভব হয়নি। গাছগুলা কাটতে গেলে মিনিষ্ট্রির অনুমোদন লাগে। তবে আমিও চাই পথচারীদের নিরাপত্তা ও সরকারের রাজস্ব বাচাতে সরকারি প্রক্রিয়ায় এগুলো নিলাম করে আবারও নতুন চারা রোপন করা হোক।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:/সাতক্ষীরা




আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক