নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে স্থবির হয়ে পড়েছে মোংলা বন্দর

প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০ | আপডেট: ১২:১০:পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২০

সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য নৌযান শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে স্তবির হয়ে পড়েছে মোংলা বন্দরের আমদনি রপ্তানী জাহাজে পন্য ওঠা নামা। ক্ষতির মুখে পড়বে স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ আমদানি রপ্তানী কারক গন।চলমান ধর্মঘটে বেতন-ভাতার সুযোগ-সুবিধাসহ ১১ দফা দাবি আদায়ে সোমবার (১৯ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে তারা এই ধর্মঘট শুরু করে তারা। 

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের আওতাধীন আটটি সংগঠনের ডাকা এই ধর্মঘটিদের তরফ থেকে সকল গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদ দাবি আদায় না হওয়া অবধি চলবে তাদের আন্দোলন।এর আগে গত ১৩ অক্টোবর রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম অধিদফতরের সামনে থেকে নৌশ্রমিক অধিকার সংরক্ষণ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধন থেকে এ ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়েছি।তারি প্রেক্ষিতে তাদের এ কর্মবিরতী চলমান যা অব্যহত থাকবে বলে জানান তারা।  

আন্দোলনকারীদের দাবী সমুহঃ
১. বাল্কহেডসহ সব নৌযান ও নৌপথে চাঁদাবাজি-ডাকাতি বন্ধ করা।
২. ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী নৌযানের সর্বস্তরের শ্রমিকদের বেতন প্রদান।
৩. ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস এবং মালিক কর্তৃক খাদ্যভাতা প্রদান।
৪. সব নৌযান শ্রমিকের সমুদ্র ও রাত্রিকালীন ভাতা নির্ধারণ।
৫. এনডোর্স, ইনচার্জ, টেকনিক্যাল ভাতা পুনর্নির্ধারণ।
৬. কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ।
৭. প্রত্যেক নৌশ্রমিককে মালিক কর্তৃক নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান।
৮. নদীর নাব্য রক্ষা ও প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি স্থাপন।
৯. মাস্টার-ড্রাইভার পরীক্ষা, সনদ বিতরণ ও নবায়ন, বেআইনি নৌচলাচল বন্ধ করা।
১০. নৌপরিবহন অধিদফতরে সব ধরনের অনিয়ম ও শ্রমিক হয়রানি বন্ধ করা। 
১১. নৌযান শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

 

অনতি বিলম্বে এ আন্দোলন সমস্যা নিরসন না হলে দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর মোংলা ও এর আশপাশে আমদানি কারক ব্যবসায়ীদের অবস্থান করা নৌযানকে অধিক ভাড়া গুনতে হবে তথাপি ক্ষতির মুখে পড়বে বলে জানিয়েছের সংশ্লিষ্টরা। অনতিবিলম্বে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ফলপ্রসু আলোচনার মাধ্যমে এ সংকট নিরসনে হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সংশ্লিষ্ট মহল।

 


আপনার মতামত লিখুন :

ম.ম. রবি ডাকুয়া। প্রতিবেদক। বাগেরহাট, খুলনা