চলতি বছর ডিসেম্বরেই শেষ হব খুলনা-মোংলা রেললাইনের কাজ: রেলমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২১ | আপডেট: ১২:০৯:পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২১

চলতি ২০২১ সালের ডিসেম্বরেই  হবে খুললা-মোংলা রেললাইনের নির্মান প্রকৃয়া সম্পন্ন। এমনটি জানালেন রেল মন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।দীর্ঘ্য উন্নয়ন মুখী এ কাজ দ্রুত শেষ করার প্রকৃয়াই হাতে নিয়েছেন সরকার।দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়ন মুখী এ কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হলে প্রতিবেশী দেশ গুলোর সাথে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র মোংলা ব্যবহার করে অর্থনৈতিক সুবিদার অদান প্রদান সহজতর হবে বলে জানান তিনি।বর্তমানে যে সব পণ্য ট্রাকে পরিবহন হচ্ছে তা রেল সংযোগ সম্পন্ন হলে রেলে পরিবহন হবে যাতে ব্যায় সংকুলন সহ নিরাপদে পরিবহন সম্ভব হবে।যাতে অর্থ সময় দুটারি সশ্রয় হবে। আজ (৩০ জানুয়ারী)শনিবার সরেজমিনে খুলনা-মোংলা রেল  লাইনের কাজের অগ্রগতি সরেজমিনে পরিদর্শন কালে সংবাদ মাধ্যম কর্মিদের সাথে এসব বিষয়ে কথা বলেন তিনি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন চলিতি অর্থবছরের জুনে কাজটি সম্পন্ন হবার কথা থাকলেও করনা মহামারীতে তা বাধাগ্রস্থ হয়েছে।তবে ৭০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন কাজ সম্পন্ন হয়েছি বলে তিনি দাবী করেন।তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন বাকী কাজ মাটি ভরাট সহ আনুষাঙ্গিক কাজ গুলা বর্তমানে শুকনা মৌসুম চলায় দ্রুত শেষ করা হবে যাতে আগামী ডিসেম্বরে শেষ হতে পারে।

 

এসময় রেল মন্ত্রীর সাথে থাকা লাইনের নির্মান ঠিকাদার কোম্পানী ইরকনের প্রকল্প ম্যনেজার অজিত কুমার জানান,খুলনার ফুলতলা থেকে মোংলা বন্দর ৯৫ কিলোমিটার লাইনের ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে ইতমধ্যে।এবং এ লাইনের আওতায় ১০৭ টি কালভার্ড ও ৩১ ব্রিজ নির্মান কাজ আগেই সম্পন্ন হয়েছে।এবং ৬৫ ভাগ মাটি লেভেল কাজেরও সম্পন্ন করা হয়েছে ৩০ ভাগ।খুলনা মোংলা এ রেল লাইনের কাজের ব্যয় ধরা হয়েছে চার হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ভারত সরকার দেড় হাজার কোটি টাকা দেবেন বলে জানান তারা।

 

খুলনা-মোংলা উন্নয়নমুখী রেল সংযোগ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে রেল মন্ত্রীর সাথে ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক,রেল মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ সেলিম রেজা,মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কমলেশ মজুমদার,খুলনা-মোংলা রেল নির্মান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে ইরকনের প্রকল্প ম্যানেজার অজিত কুমার, ডেপুটি ম্যানেজার তীর থংকর জানা ও বিরেন সাহা সহ সংবাদিক বৃন্দ।


আপনার মতামত লিখুন :

ম.ম. রবি ডাকুয়া। প্রতিবেদক। বাগেরহাট, খুলনা