দেশ ব্যাপি জনপ্রিয় সাতক্ষীরার কুল

প্রকাশিত: ১২:১৭ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০ | আপডেট: ১২:১৭:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা জেলায় অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করতে কুল চাষ একটি গুরত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে। বাণিজ্যিকভাবে কুল চাষ করে জেলার কৃষকরা ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন। মাটি ও আবহাওয়া অনুকূল পরিবেশের উপযোগী হওয়ায় চাষীরা কুল উৎপাদনে রীতিমত বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
মূলত ২০০০ সালের পর থেকে এ জেলায় বানিজ্যিক ভাবে কুল চাষ শুরু হয়। ফসলটি লাভজনক হওয়ায় অন্যান্য ফসল উৎপাদন কমিয়ে এ জেলার শত শত কৃষক কুল চাষ শুরু করেছে। অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে এর আবাদ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও শত শত মেট্রিক টন কুল চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, দেশব্যাপী সাতক্ষীরার উৎপাদিত এসব কুল ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম থাকায় চলতি মৌসুমে জেলার কৃষকরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রতি বছর কুল চাষ করেন। এবছর সাতক্ষীরায় কুলের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছে ভাল। গেল মৌসুমে জেলায় কুল চাষ হয়েছিলো ৫৫০ হেক্টর জমিতে। সেখানে এবছর কুলের চাষ হয়েছে ৬৫৪ হেক্টর পরিমান জমিতে। উৎপাদন হবে ৭ হাজার মে. টন কূল।

এরমধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় উপজেলায় ১০৪ হেক্টর, কলারোয়ায় উপজেলায় ৩১৬ হেক্টর, তালায় উপজেলায় ১৫৮ হেক্টর, দেবহাটায় উপজেলায় ১৬ হেক্টর, কালিগঞ্জে উপজেলায় ২০ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ১৫ হেক্টর ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে। এসব কুলের মধ্যে রয়েছে বাউকুল, আপেলকুল, নাইন্টিকুল, নারকেলকুল, ঢাকা-৯০ কুল,বিলাতিকুল ও মিষ্টিকুল। প্রতি বিঘায় ৭০ থেকে ৮০ মন উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। এ জেলার উৎপাদিত কুল স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকা ও চট্রগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে।

সদর উপজেলার তুজুলপুর এলাকার কুলচাষি ইয়ারব হোসেন বলেন,এবার বিভিন জাতের কুল চাষ করেছি। বুলবুল ঝড়ের কারণে সামান্য ক্ষতি হলেও ফলন ভালোই। তিনি আরো বলেন সরকার চাষীদের সহজ শর্তে ঋণ দিলে কুল চাষ আরও অনেক বেশি সম্প্রসারিত হতো।
কুল চাষে বিঘাপ্রতি খরচ হয় ২০ থেকে ২২ হাজার টাকা। প্রতি কেজি কুলের পাইকারী মূল্য ৪০ থেকে ৫০ টাকা। সব খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত লাভ করা সম্ভব।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অরবিন্দু বিশ্বাস জানান,এবছর সাতক্ষীরায় কুলের ভাল ফলন হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছে ভাল। গেল মৌসুমে জেলায় কুল চাষ হয়েছিলো ৫৫০ হেক্টর জমিতে। সেখানে এবছর কুলের চাষ হয়েছে ৬৫৪ হেক্টর পরিমান জমিতে। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় জেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কুল চাষ। ফলে এবার কুল চাষীরা বেশ লাভবান হবেন। সরকার কুল চাষীদের সব ধরণের সহযোগিতা করেছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক