বাকি হাজার কোটি টাকা পরিশোধে ৩ মাস সময় পেল গ্রামীণফোন

প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০ | আপডেট: ৮:৫৫:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০

বাকি হাজার কোটি টাকা পরিশোধে ৩ মাস সময় পেল গ্রামীণফোন

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
আদালতের নির্দেশ মেনে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা গত রবিবার পরিশোধ করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোন। তবে বাকি এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধে আগামী তিন মাস সময় পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক হাজার কোটি টাকার পরিশোধ করেছে এই তথ্য জানিয়ে বাকি অর্থ দিতে গ্রামীণফোনের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে তিন মাস সময় দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বিভাগ গতকাল সোমবার এই আদেশ দেন।
আদালতে গ্রামীণফোনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও মো. মেহেদী হাসান চৌধুরী। বিটিআরসির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। সঙ্গে ছিলেন খন্দকার রেজা-ই রাকিব।
গ্রামীণফোনের আইনজীবী মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেন, বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নিরীক্ষা পাওনা দাবি নিয়ে করা মামলাটি (নিম্ন আদালতে থাকা) নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে গ্রামীণফোন যাতে নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারে, সে বিষয়টি নিশ্চিতের কথা বলেছেন সর্বোচ্চ আদালত।
গত বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবারের (২৪ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। একই সঙ্গে আজই গ্রামীণফোনের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদনের ওপর আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখেছিলেন আপিল বিভাগ। এরপরই গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরসিকে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করবে।
গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে গতকাল রোববার চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বিটিআরসিতে গিয়ে এক হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার কমিশনের চেয়ারম্যান জহুরুল হকের কাছে হস্তান্তর করে।
গত বছরের ২৪ নভেম্বর দেশের সর্বোচ্চ আদালত বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ২ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে সময় বেঁধে দিয়েছিলেন।
জানা গেছে, গ্রামীণফোনের কাছে বিটিআরসি পাওনা বাবদ ১২ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা দাবি করলে বিরোধের সৃষ্টি হয়। গ্রামীণফোনের ওপর ১৯৯৭ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিরীক্ষা করে এই পাওনা নির্ধারণ করা হয়। পাওনার মধ্যে রয়েছে রাজস্বের ভাগাভাগি, কর ও অন্যান্য খাত। তবে প্রথম থেকেই গ্রামীণফোন এই দাবি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিল।

দাম বাড়ল স্বারক স্বর্ণ মুদ্রার

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০ উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রিত স্বর্ণ স্মারক মুদ্রার মূল্য পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে। ২২ ক্যারেট স্বর্ণের ১০ গ্রাম ওজনের প্রতিটি স্মারক মুদ্রার মূল্য নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৩ হাজার টাকা। যা এতোদিন ছিল ৫০ হাজার টাকা। যা অবিলম্বে কার্যকর হবে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৬ আগস্ট প্রতিটি স্বর্ণ মুদ্রার মূল্য ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। সে সময়ের তুলনায় বর্তমান বাজারে স্বর্ণের মূল্য বেশি হওয়ায় প্রতিটি স্বর্ণ মুদ্রার মূল্য তিন হাজার টাকা করে বৃদ্ধি করা হলো।

জাতীয় বিমা দিবসের শোভাযাত্রা ২৯ ফেব্রুয়ারি

জাতীয় বিমা দিবস- ২০২০ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার। ওই দিন সকাল ৯টায় শেরেবাংলা নগর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ জুট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে শুরু হবে এ শোভাযাত্রা। সম্প্রতি এক চিঠিতে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে জাতীয় বিমা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ১ মার্চ সকাল ৭টায়। শেরেবাংলা নগর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পশ্চিম পাশের আড়ং মোড়ের বিপরীত পাশ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল এ শোভাযাত্রা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিমা কোম্পানিগুলোকে পাঠানো এক চিঠিতে এ তথ্য জানায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইডিআরএ।
বিমা খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সংশ্লিষ্ট অন্য প্রতিষ্ঠানসহ দেশের সরকারি-বেসরকারি ৭৮টি লাইফ ও নন-লাইফ বিমা কোম্পানির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কর্মকর্তা এই শোভাযাত্রায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে। বিমা দিবসে শপথ করি, উন্নত দেশ গড়ি- এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ১ মার্চ প্রথমবারের মতো দেশে পালিত হবে জাতীয় বিমা দিবস।

বিএসটিআইর লোগো দেখে পণ্য কেনার আহ্বান

ভোক্তাদের বিএসটিআইর লোগো দেখে পণ্য কেনার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় মান সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) মহাপরিচালক মো মুয়াজ্জেম হোসাইন।
গতকাল রাজধানীর তেজগাঁওস্থ বিএসটিআইর প্রধান কার্যালয়ে শিক্ষা সফরের অংশ হিসেবে পণ্যের মানের বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষে বিসিআইসি কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিএসটিআই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিসিআইসি কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মহাপরিচালক মো. মুয়াজ্জেম হোসাইন বলেন, বিভিন্ন পণ্য ও সেবার মান প্রণয়নের দায়িত্ব বিএসটিআইর। পণ্য ও সেবার মান প্রণয়নের পাশাপাশি সরকার নির্ধারিত ১৮১টি পণ্যের অনুকূলে মান সনদ প্রদান এবং সেসকল পণ্যের মান তদারকির দায়িত্ব বিএসটিআইর। বিএসটিআইর লোগো ছাড়া এসব পণ্য ক্রয় করবেন না।
মহাপরিচালক বলেন, মানসম্পন্ন পণ্যের নিশ্চয়তা বিধান বিএসটিআাইর দায়িত্ব। আমরা সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। মান সম্পন্ন পণ্য নিশ্চিত করতে মান সনদ প্রদানের পরে সে মান অনুযায়ী বাজারে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে কিনা কিংবা অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা তা যাচাই করতে মোবাইল কোর্ট এবং সার্ভিল্যান্স টিম পরিচালনার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। মানসম্পন্ন পণ্যের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি বিএসটিআইতে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

ব্যাংক খাতে ঝুঁকিভিত্তিক ঋণ ৪ লাখ কোটি টাকা

নানা ফন্দিফিকির করে খেলাপির খাতা পরিষ্কার করা হচ্ছে। কখনো পুনঃ তফসিল, কখনো পুনর্গঠন আবার কখনোবা অবলোপনের মাধ্যমে আড়াল করা হচ্ছে খেলাপি ঋণের প্রকৃতচিত্র। কিন্তু ব্যাংকিং খাতের বাস্তব পরিস্থিতি মোটেও এ রকম নয়। সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে ব্যাংকিং খাতের মোট দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ আরও ভয়াবহ। ওই তথ্যমতে বাংলাদেশের মোট দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের পরিমাণ মোট ৪ লাখ কোটি টাকা।
গবেষণার তথ্য বলছে, বর্তমানে মোট দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ বা স্ট্রেসড অ্যাসেটস (খেলাপি ঋণ, অবলোপন, পুনঃ তফসিল, পুনর্গঠন এবং মামলায় আটকে পড়া টাকা) এর পরিমাণ ৪ লাখ কোটি টাকার অধিক। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ঋণ যেখানেই রাখা হোক না কেন তা কখনোই ঝুঁকিমুক্ত নয়।
জানতে চাইলে বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মূখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, হিসাব বদলে বাস্তবতা বদলানো যায় না। সরল-সহজ কিছু মানুষ হয়তোবা এসব হিসাবে বিভ্রান্ত হতে পারে কিন্তু আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত যে কেউ দেশের ব্যাংকিং খাতকে চিনবে স্ট্রেসড অ্যাসেটস দেখে। আর সরল মানুষ যখন একবার ধোকা খাবে তখন সে পুরো খাতকে অবিশ্বাস করতে শুরু করবে। সে ক্ষেত্রে ব্যাংকিং খাতকে উদ্ধারে কার্যকর পদক্ষেপের কোনো বিকল্প নেই।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, বিদায়ী বছরে ব্যাংকিং খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৯৪ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। গত বছর ২ শতাংশ ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ১০ বছর মেয়াদে মাত্র ৯ শতাংশ সুদে খেলাপি ঋণ কমানোর গণছাড় দেয়া হয়। ফলে ২০১৯ সালে ৫২ হাজার ৭৭০ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ নবায়ন হয়েছে। একক বছরে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ পরিমাণ পুনঃ তফসিল। তবে ২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ২ লাখ ৯ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ পুনঃ তফসিল করা হয়েছে। অবলোপনের মাধ্যমে খেলাপির খাতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এদিকে অর্থঋণ আদালতে মামলায় আটকে আছে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণের অংক ৪ লাখ ৬৩৭ কোটি টাকা।
ব্যাংকিং খাতের করুণ পরিস্থিতির চিত্র গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পর্যালোচনায়ও উঠে এসেছে। গত শনিবার সিপিডির ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে আমরা নাগরিকরা এখন অসহায় আতঙ্ক নিয়ে ভয়ংকর ভঙ্গুর পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে আছি। সবচেয়ে বেশি বিচলিত হওয়ার বিষয় হচ্ছে, গুটিকয়েক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পুরো ব্যাংকিং খাত এখন জিম্মি হয়ে পড়েছে। অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, মানুষ এখন ব্যাংকে টাকা রাখতে ভয় পাচ্ছে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, গত কয়েক বছর ধরে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ। ২০১৫ সাল শেষে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ ছিল মোট বিতরণকৃত ঋণের ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। তিন বছর পর এর পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় ২০ দশমিক ৫ শতাংশে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ২০১৯ সালের জুন শেষে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মোট বিতরণের ২২ শতাংশে। কিন্তু জুন শেষে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা। যা মোট বিতরণের ১১ শতাংশ। এতে বোঝা যায়, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়েছে কয়েকগুণ। এ প্রসঙ্গে জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার মো. শফিকুর রহমান বলেন, ১০ লাখ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে ৪ লাখ কোটি টাকা দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ হলে কীভাবে চলবে ব্যাংকিং খাত। শতকরা হিসাবে বিতরণের প্রায় ২২/২৩ শতাংশ খারাপ ঋণ। এতে বোঝা যাচ্ছে, ব্যাংকিং খাত এখন এক ধরণের ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। এর থেকে উত্তরণ না ঘটলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০১৯ সালের জুন শেষে ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে পুনঃতফসিল। যা মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের সূচকটি উপরের দিকে তুলে ধরতে সাহায্য করেছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ এখনও নির্ণয় করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টদের ধারণা, উল্লিখিত সময়ে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ আরও বাড়বে। কারণ ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে বিশেষ সুবিধায় ঋণ পুনঃতফসিলের কার্যক্রম শুরু হয় মূলত জুনের পরেই। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ হবে আর ও ভয়াবহ।
তথ্যমতে ব্যাংকিং খাতের মাত্র ১৩টি ব্যাংক এসব সম্পদের ঝুঁকি মোকাবেলার ক্ষমতা রাখে। কারণ তাদের স্ট্রেসড অ্যাসেট রেশিও ৫ শতাংশের নিচে। মাত্র ৮টি ব্যাংকের এই রেশিও ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। যাদেরকে বলা হয়ে থাকে মাঝারি মানের ক্ষমতা সম্পন্ন। কিন্তু বেশিরভাগ ব্যাংকেরই এই ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা নেই। কারণ তাদের স্ট্রেসড অ্যাসেটস রেশিও রয়েছে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত। আর এধরণের ব্যাংকের সংখ্যা মোট ৩৬টি। গবেষণা অনুযায়ী, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ নিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে পাঁচটি ব্যাংক। কারণ মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ৪১ ভাগ এসব ব্যাংকের। সে ব্যাংকগুলো হচ্ছে- ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, পদ্মা ব্যাংক (সাবেক ফারমার্স ব্যাংক) এবং জনতা ব্যাংক। গবেষণা মতে, ১০ ব্যাংকের ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ মোট ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের ৬৪ ভাগ।
গবেষণা অনুযায়ী, সরকারি এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে বেসরকারি এবং বিদেশি ব্যাংকের তুলনায় ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে। জুন শেষে সরকারি ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হলেও ৪ শতাংশ কমে এসেছে। অপরদিকে বিশেষায়িত ব্যাংকের এই ঝুঁকির পরিমাণ বেড়েছে ১৫ শতাংশের বেশি। বিদেশি ব্যাংকের ঝুঁকি কমেছে ১ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদ বেড়েছে ২ শতাংশ।
গবেষণা পত্রে উল্লেখ করা হয়, ঝুঁকিভিত্তিক সম্পদের মধ্যে ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ বৃহৎ শিল্পের, ৩২ শতাংশ মাঝারি শিল্প, ২৩ ক্ষুদ্র শিল্প এবং ২১ শতাংশ অতি ক্ষুদ্র ও গৃহনির্মাণ শিল্প।

বিল অব এন্ট্রি দাখিল করতে হবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে

পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা বাধ্যতামূলক এমন আইন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য (কাস্টমস আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) খন্দরকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘অনেক আমদানিকারক দেরিতে বিল অব এন্ট্রি জমা দেন। এতে সামগ্রিক পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তাই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তোরণের জন্য পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিল বাধ্যতামূলক করার আইন করা হচ্ছে।’
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ব্যবসা সহজীকরণ : সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে গৃহীত সংস্কার কর্মসূচিসমূহ’ বিষয়ক এক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর ও বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স করপোরেশন (আইএফসি) যৌথভাবে কর্মশালার আয়োজন করে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শরীফা খান, বিল্ড’র চেয়ারপারসন আবুল কাশেম খান, চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার ফখরুল ইসলাম, ঢাকা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, যুক্তরাজ্যের উন্নয়ন সহযোগি সংস্থা ডিএফআইডির বেসরকারিখাত উন্নয়ন উপদেষ্টা মাশফিক ইবনে আকবর, আইএফসির বেসরকারিখাত বিশেষজ্ঞ নুসরাত নাহিদ বাবি বক্তব্য রাখেন।
আমিনুর রহমান বলেন, এনবিআর আগামী ২০২২ সালে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এসএসডব্লিউ) চালু করতে পারবে। তখন একজন আমদানিকারক মাত্র দুই দিনের মধ্যে পণ্য খালাসের সব ধরনের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে পারবে। রফতানির আদেশ, ট্রেড লাইসেন্সসহ আমদানি-রফতানির সাথে সংশ্লিষ্ট ৩৯টি প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টে এনবিআরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।
কর্মশালায় অন্য বক্তারা ব্যবসায় সহজীকরণের ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য নীতি সংস্কারের সুপারিশ করেন। তারা বলেন, কেবল নীতি সংস্কার করলে হবে না, এর পাশাপাশি বেসরকারিখাতের স্টেকহোল্ডারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে।
কর্মশালায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সহজীকরণে কাস্টমস সম্পর্কিত সংস্কার কর্মসূচির সর্বশেষ অগ্রগতি তুলে ধরা হয়।

উত্থানের পর এবার টানা দরপতনে শেয়ারবাজার

টানা উত্থানের পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। গতকাল সোমবার নিয়ে টানা তিন কার্যদিবস দরপতন হলো। বিনিয়োগকারীরা বিক্রির চাপ বাড়ানোয় এমন হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তারা বলছেন, ব্যাংকের বিশেষ তহবিলের সংবাদে বিনিয়োগকারী শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়ে দেন। এতে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ে। ফলে মূল্যসূচকের বড় উত্থান হয়। যারা আগের শেয়ার কিনেছেন, এখন তাদের একটি অংশ মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য বিক্রির চাপ বাড়িয়েছেন।
শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিলেও তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। তাদের মতে, এই দরপতন স্বাভাবিক। শিগগির বাজার আবার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ফিরবে।
এ বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক শাকিল রিজভী বলেন, টানা উত্থানের কারণে এখন বাজারে কিছুটা বিক্রির চাপ রয়েছে। যারা আগে কিনেছেন তারা মুনাফা তুলে নেয়ার জন্য বিক্রি করছেন। এ কারণে বাজার কিছুটা নিম্নমূখী। এটা স্বাভাবিক। এভাবেই বাজার আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, সোমবার লেনদেনের শুরু থেকেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) একের পর একটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হতে থাকে। লেনদেনের শেষ পর্যন্ত এই প্রবণতা অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে বড় পতন হয় মূল্যসূচকের।
এদিন ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৩টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ২০১টির। অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টির দাম।
বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের এই দরপতনের কারণে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৫০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৫৯১ পয়েন্টে নেমে গেছে। আর ডিএসইর শরিয়াহ্ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
সূচকের এই পতনের দিনে ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয় ৬০০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৬৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৬৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ২৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা গ্রামীণফোনের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ২০ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
এ ছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- কনফিডেন্স সিমেন্ট, এসকে ট্রিমস, বিএসআরএম, লাফার্জাহোলসিম, গাল্ডেন হার্ভেস্ট, সিলভা ফার্মাসিউটিক্যাল এবং কাশেম ইন্ডাস্ট্রিজ।
অপর শেয়ারবাজর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই ১০০ পয়েন্ট কমে ১৪ হাজার ২৭৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। লেনদেনে অংশ নেয়া ২৪৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৩২টির এবং ২৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

ডিএসইর নতুন চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) নতুন চেয়ারম্যান হলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসূর রহমান। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে মো. ইউনুসূর রহমানকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ি, স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হয়। এই আইন অনুযায়ি ডিএসইর পর্ষদ সভায় ৭জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্য থেকে মো. ইউনুসূর রহমানকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। যা উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের সম্মতিতে নির্বাচিত করা হয়।
এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেমসহ স্বতন্ত্র পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান মিয়া, মনোয়ারা হাকিম আলী, ওয়ালীউল ইসলাম, ড. এম কায়কোবাদ ও অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান অবসর গ্রহণ করেন।
এরপরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ডিএসইর প্রস্তাবিত তালিকা থেকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ৬জন স্বতন্ত্র পরিচালকের নিয়োগ অনুমোদন দেয়। নিয়োগ পাওয়া স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ইউনুসূর রহমান। এছাড়া সালমা নাসরিন, মো. মুনতাকিম আশরাফ, হাবিবুল্লাহ বাহার এবং অধ্যাপক ড. একেএম মাসুদ স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। আর পূণ:নিয়োগ পেয়েছেন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান। এছাড়া স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে ৭জনের মধ্যে পর্ষদে বর্তমানে রয়েছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
মো. ইউনুসুর রহমান ডিএসইতে যোগদানের পূর্বে যুক্তরাজ্যের (ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট) ডিএফআইডির অর্থায়নে ‘বিজনেস ফাইন্যান্স ফর পুওর ইন বাংলাদেশ’ (বিএফপি-বি) শীর্ষক প্রকল্পে সিনিয়র পলিসি এ্যাডভাইজার হিসেবে খন্ডকালীন কাজে নিয়োজিত ছিলেন৷
রহমান ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন৷ সরকারের সচিব হিসেবে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তৎপূর্বে তিনি জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) যুগ্ম-সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন৷
পেশাগত জীবনে বৈচিত্রময় অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মোঃ ইউনুসুর রহমান সুদীর্ঘ ৩৫ বছরেরও বেশি সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন৷ বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে জনাব রহমান খুলনা বিভাগে বিভাগীয় কমিশনার, দুটি প্রশাসনিক জেলা যথা ব্রাহ্মনবাড়িয়া এবং মৌলভীবাজার জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেন৷
মো. ইউনুসুর রহমান ১৯৫৯ সালে বরিশাল জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৫ সালে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানসহ এসএসসি এবং একই শিক্ষাবোর্ড হতে ১৯৭৭ সালে মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থানসহ এইচএসসি পাশ করেন৷ ১৯৮০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি হিসাব বিজ্ঞানে ১ম শ্রেনীতে স্নাতক এবং ১৯৮১ সালে ১ম শ্রেনীতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৭ সালে ফ্রান্সের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে পাবলিক ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমাঅর্জন করেন৷ তিনি ১৯৯৬ সালে অস্ট্রেলিয়ার সাউদার্ন ক্রস ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যবসা প্রশাসনে এমবিএ ডিগ্রি সম্পন্ন করেন৷
উল্লেখ্য, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদে ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রয়েছেন। এছাড়া ১ জন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনিত পরিচালক এবং পদাধিকার বলে পর্ষদে আরেক জন রয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

ডাচ-বাংলার ৫’শ কোটি টাকার বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকিং খাতের ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৫’শ কোটি টাকার তৃতীয় সাবঅর্ডিনেটেড বন্ড ইস্যুর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ৭ বছর মেয়াদী এই বন্ডটির বৈশিষ্ট্য হচ্ছে-আনসিকিউরড এবং নন-কনভার্টেবল। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে এই বন্ড ইস্যু করে অর্থ উত্তোলন করবে ব্যাংকটি। টায়ার-২ ব্যাংক কাঠামোর শর্তপূরণে ব্যাসেল-৩ এর অধীনে এই বন্ড ইস্যু করবে।
শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাংলাদেশে ব্যাংকের অনুমোদনের পর এই বন্ড ইস্যু করবে ডাচ-বাংলা ব্যাংক।

আইপিডিসির রাইট ইস্যুর ৭ মাসের মধ্যেই বোনাস ঘোষণা

রাইট শেয়ার ইস্যুর ৭ মাসের মধ্যেই বোনাস শেয়ার ঘোষণা করল শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত আইপিডিসি ফাইন্যান্সের পরিচালনা পর্ষদ। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আইপিডিসি রাইট শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে শেয়ারবাজার থেকে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই ১৪১ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ৮০ টাকা সংগ্রহ করে। যা সংগ্রহের ৭ মাসের মধ্যে কোম্পানিটির পর্ষদ ২০১৯ সালের ব্যবসায় গতকাল (২৩ ফেব্রুয়ারি) ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি ৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার ঘোষণা করেছে।
অন্যদিকে আইডিএলসি ফাইন্যান্সের ২০১৯ সালের ব্যবসায় মুনাফা ২২ শতাংশ কমা সত্ত্বেও কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ পুরোটাই নগদ এবং আগের ধারাবাহিকতায় লভ্যাংশ ঘোষনা করেছে। কোম্পানিটির পর্ষদ আগের অর্থবছরের ন্যায় এবারও শেয়ারহোল্ডারদের ৩৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
৩৫৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা পরিশোধিত মূলধনের আইপিডিসি ফাইন্যান্সে ১২২ কোটি ৮৮ লাখ টাকার রিজার্ভ রয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/রহমান আজিজ/ঢাকা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক