বন্দরে পণ্য আসার তিন দিনের মধ্যে ডকুমেন্ট জমা না দিলে জরিমানা

প্রকাশিত: ১০:১১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০ | আপডেট: ১০:১১:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০

বন্দরে পণ্য আসার তিন দিনের মধ্যে ডকুমেন্ট জমা না দিলে জরিমানা

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা:
বন্দরে পণ্য পৌঁছানোর তিন দিনের মধ্যে আমদানিকারক কর্তৃক তিন দিনের মধ্যে বিল অব এন্ট্রিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র শুল্ক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা না দিলে জরিমানার মুখে পড়বেন আমদানিকারক। এ সংক্রান্ত একটি বিধান কাস্টমস আইনে সংযোজনের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এটি কার্যকর করা গেলে আমদানি পণ্য বন্দর থেকে ছাড় করার ক্ষেত্রে গতি আসবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর পল্টনে ইআরএফ কার্যালয়ে এক কর্মশালায় এ কথা জানান এনবিআর সদস্য খন্দকার আমিনুর রহমান। ‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস : ট্রেডিং অ্যাক্রোস বর্ডারস’ শীর্ষক কর্মশালার আয়োজন করে যৌথভাবে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ), এনবিআর ও বিশ^ব্যাংক গ্রুপের অঙ্গ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশন (আইএফসি)।
বিশ^ব্যাংকের ব্যবসা সহজ করার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থানের এখনো প্রত্যাশিত অগ্রগতি হয়নি। ফলে প্রত্যাশিত স্থানীয় ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আসছে না বলে মনে করা হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস প্রক্রিয়া বিশেষত শুল্কায়নে সময় বেশি লাগছে বলে ব্যবসায়ীরা বলে আসছেন। এর ব্যাখ্যায় এনবিআরের সংশ্লিষ্ট ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বেশকিছু কারন তুলে ধরেন। ঢাকা আইসিডির কমিশনার মো. আনোয়ার হোসাইন বলেন, সময়মতো বিল অব এন্ট্রি পাওয়া গেলে এক দিনের মধ্যে পণ্যের শুল্কায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব। তবে শিপিং এজেন্ট, ব্যাংকিং ডকুমেন্ট, বন্দর কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স, সিএন্ডএফ এজেন্টদের (আমদানি-রপ্তানিকারকের পক্ষে পণ্য খালাস প্রক্রিয়ায় জড়িত) নানা প্রক্রিয়ার কারনে শুল্কায়নে দেরি হয়। সিএন্ডএফ এজেন্ট কর্তৃপক্ষের শুল্কহার পছন্দ না হলে, সময়মত শুল্ককরের টাকা পরিশোধে অনিচ্ছুক হলে কিংবা পছন্দের ডিউটি অফিসারের জন্য অপেক্ষা করে। আবার রাসায়নিক পরীক্ষার জন্যও দেরি হয়। কেবল এককভাবে শুল্ক কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।
এ প্রসঙ্গে খন্দকার আমিনুর রহমান বলেন, বন্দরে পণ্য আসার ৭২ ঘন্টার মধ্যে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না করলে জরিমানা আরোপের বিধান আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ^ব্যাংকের সহজে ব্যবসা করার সূচকে ভারত অনেক এগিয়েছে। শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানেরও বড়ো অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের আট ধাপ অগ্রগতি হলেও সন্তুষ্ট নই। টাকা নিয়ে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বসে আছেন। কিন্তু এসব সূচকের তথ্য বিনিয়োগকারীদের ভাবায়।
তিনি বলেন, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ আর সহজে ব্যবসা করার সূচকে অবস্থান ১৬৮তম। ফলে সন্তুষ্টি খুঁজে লাভ নেই।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কাঁচামালের প্রাপ্যতা ঘোষণার (ইউডি) ক্ষমতা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী সমিতির হাতে গিয়েছে। কিন্তু ইউডি সংশোধনের কাজ এখন পর্যন্ত অনলাইন করেনি। ফলে কোন কোন প্রতিষ্ঠান ১৭০ বার পর্যন্ত ইউডি সংশোধন করছে। এতবার কী পরিবর্তনের প্রয়োজন পড়ে? অনলাইন না হওয়ায় শুল্ক কর্তৃপক্ষ এটি তাৎক্ষণিক দেখতে পারছে না।
আইএফসি’র প্রাইভেট সেক্টর স্পেশালিস্ট নুসরাত নাহিদ ববি বলেন, অনেক সময় এনবিআরের কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলেও কার্যক্ষেত্রে ফল দিচ্ছে না। উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়ের নিবন্ধনের জন্য বিডা’র কাছে গেলে তারা ভ্যাট কর্তৃপক্ষের কাছ পাঠান। আবার ভ্যাট কর্তৃপক্ষ বিডা’র কাছে পাঠান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ঢাকা বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার এস এম হুমায়ূন কবীর, ঢাকা কাস্টম হাউজের কমিশনার মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ও ইআরএফ সাধারন সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।

৩০ হাজার টন জ্বালানির কার্যোত্তর অনুমোদন দরকার বিপিসির

জরুরি প্রয়োজনে ১৫ হাজার ২৭৮ দশমিক ৫৯০ মেট্রিক টন জেট এ-১ এবং ১৪ হাজার ৪০১ দশমিক ৬৪২ মেট্রিক টন ডিজেল কম্বি পার্সেলে আমদানির বিপরীতে ১৫৯ কোটি ১২ লাখ টাকার একটি কার্যোত্তর ক্রয়ের অনুমোদনের প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালনি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিদেশি উড়োজাহাজ যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায় জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজনে জিটুজি ভিত্তিতে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে হচ্ছে। গত বছর এপ্রিলে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত একটি কম্বি পার্সেলে জেট এ-১ এবং ডিজেল আমদানি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করা ওই জ্বালানির কার্যোত্তর ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদনের জন্য একটি প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) বিভিন্ন দেশ থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদার মোট ৫০ শতাংশ জিটুজি ভিত্তিতে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। ২০১৯ সালে জিটুজি ভিত্তিতে দুই লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট এ-১ আমদানির প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে ২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনুমোদিত হয়। জেট এ-১ এর চাহিদা আকস্মিক বেড়ে যাওয়ায় নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ বহাল রাখার লক্ষ্যে জিটুজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইন্দোনেশিয়ার পিটি ভুমিসিয়াক পুসাকো (বিএসপি) থেকে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুমোদিত পরিমাণের অতিরিক্ত একটি কম্বি পার্সেলে জেট এ-১ এবং ডিজেল আমদানি করতে হয়।
জ্বালানি তেলের মজুত ও বিক্রয় প্রবণতা অনুযায়ী ২০১৯ সালের এপ্রিলে ৪০ হাজার মেট্রিক টন জেট এ-১ এর চাহিদা নিরুপন করা হয়। জেট এ-১ আমদানির লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১১ মার্চ ইউনিপেক, সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড কাছ থেকে ৩০ হাজার টন ও কুয়েত পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (কেপিসি) কাছ থেকে ১০ হাজার টন জেট এ-১ এবং সরবরাহ সূচি পাঠানো হয়। জবাবে ইউনিপেক ২০ হাজার টন ও কেপিসি ১০ হাজার টন জেট এ-১ সরবরাহের সম্মতি জানায়। ফলে অবশিষ্ট ১০ হাজার মেট্রিক টন জেট এ-১ এর চাহিদা পূরণের জন্য বৃহৎ জিটুজি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কেপিসিকে ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ২টি পূর্ণ এ ১টি কম্বি কার্গোর স্থলে ২টি কম্বি ও ১টি পূর্ণ কর্গো সরবরাহের পুনঃঅনুরোধ করে আমদানি সূচি পাঠানো হয়। এতে কেপিসি অপারগতা প্রকাশ করে ওই সময়ের জন্য ২টি পূর্ণ ও ১টি কম্বি কাগোর চূড়ান্ত সরবরাহ সূচি পাঠায়। কেপিসি এপ্রিল মাসে জেট এ-১ সরবরাহে ব্যর্থ হয়। এ কারনে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান পেটকো ট্রেডিং লাবুয়ান কোম্পানি লিমিটেড (পিটিএলসিএল) কে ২০১৯ সালের এপ্রিল সময়ে জেট এ-১ এর ১টি কম্বি পার্সেল (ডিজেল+জেট এ-১) সরবরাহের অনুরোধ করা হয়। এপ্রিলে সংস্থাটি কম্বি পার্সেল সরবরাহ করতে পারবে না বলে ইমেইল মারফত অবহিত করে।

রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণসীমা বাড়ল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে পোশাক খাতের জন্য ঋণের সীমা দেড় কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি ডলার করা হয়েছে। তবে এ ঋণ শুধু তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সদস্যরা পাবেন।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিটিএমএ’র সদস্য কারখানার জন্য ঋণসীমা দেড় কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি ডলার নির্ধারণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিজিএমইএ’র সদস্য কারখানাগুলোর ইডিএফ থেকে ঋণ নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা দেড় কোটি ডলার থেকে বাড়িয়ে দুই কোটি ডলার নির্ধারণ করা হলো। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী (এডি) ব্যাংক শাখার মাধ্যমে গ্রাহককে আবেদন করে এ ঋণ নিতে হবে।
জানা গেছে, রপ্তানিমুখী শিল্পের বিকাশ ও প্রসারে ইডিএফ তহবিল থেকে স্বল্প সুদে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ দেওয়া হয়। এ তহবিলে বর্তমানে ১৫০ কোটি ডলার রয়েছে। লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেটের (লাইবর) সঙ্গে আড়াই শতাংশ যোগ করে এ তহবিলের সুদহার নির্ধারিত হয়।

শেয়ারবাজারে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে

মঙ্গলবার পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছ। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
মঙ্গলবার ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছ ৪ হাজার ৬২১ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৪, ডিএসই-৩০ সূচক ২০ এবং সিডিএসইটি সূচক ১৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৭০, ১৫৫১ ও ৯২২ পয়েন্টে।
ডিএসইতে এঙ্গলবার টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৬২৯ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ২৯ কোটি ১২ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬০০ কোটি ৫৬ লাখ টাকার।
ডিএসইতে মঙ্গলবার ৩৫৫টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৯টির বা ৫০ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১২৫টির বা ৩৫ শতাংশের এবং ৫১টি বা ১৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
ডিএসইতে মঙ্গলবার টাকার পরিমাণে সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ২০ কোটি ৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ কোটি ৩২ লাখ টাকর ভিএফএস থ্রেড ডাইংয়ের এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ইন্দো-বাংলা ফার্মার।
এছাড়া ডিএসইতে টপটেন লেনদেন থাকা অপর কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে গ্রামীণফোন, ওরিয়ন ইনফিউশন, ফরচুন সুজ, সায়হাম কটন, সামিট পাওয়ার, স্কয়ার ফার্মা এবং ওরিয়ন ফার্মা।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ১১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৪৯ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৫৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১১৯টির, কমেছে ১০০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৪টির দর। মঙ্গলবার সিএসইতে ২১ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

সিএসইর চেয়ারম্যান হলেন আসিফ ইব্রাহিম

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে আসিফ ইব্রাহিমকে নির্বাচিত করা হয়েছে। এঙ্গলবার সিএসইর পর্ষদ সভায় পরিচালকদের সম্মতিক্রমে আসিফ ইব্রাহিমকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন আইন অনুযায়ি, স্বতন্ত্র পরিচালকদের মধ্য থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে হয়। মঙ্গলবার সিএসইর পর্ষদ সভায় ১জন স্বতন্ত্র পরিচালককে চেয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়েছে। যা উপস্থিত শেয়ারহোল্ডার ও স্বতন্ত্র পরিচালকদের সম্মতিতে নির্ধারন করা হয়।
এর আগে সিএসই ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগের জন্য কমিশনে ১৪ জনের তালিকা পাঠায়েছিল। ওই তালিকার মধ্য থেকে নিয়োগ পাওয়া ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালকরা হলেন – অধ্যাপক এস.এম সালামত উল্লাহ ভূইয়া, এস.এম আবু তৈয়ব, মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, সোহেল মাহমুদ সাকুর, লিয়াকত হোসেন চৌধুরী (এফসিএ, এফসিএমএ), আসিফ ইব্রাহিম ও ব্যারিষ্টার আনিতা গাজী ইসলাম।
এর মধ্যে অধ্যাপক এস.এম সালামত উল্লাহ ভূইয়া ও এস.এম আবু তৈয়ব সিএসইতে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের পর্ষদে ১৩ জনের মধ্যে ৭ জন স্বতন্ত্র পরিচালক ও ৪ জন শেয়ারহোল্ডার পরিচালক রয়েছেন। এছাড়া ১ জন কৌশলগত বিনিয়োগকারীর মনোনিত পরিচালক এবং পদাধিকার বলে পর্ষদে আরেক জন রয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

সিটি ব্যাংকের ৩০০ কোটি টাকার বন্ড অনুমোদন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ৩০০ কোটি টাকার নন-কনভার্টেবল জিরো কুপন বন্ড অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম. খায়রুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৭২০ তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। কমিশন সভা শেষে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বন্ডটির মেয়াদ হবে তিনবছর। এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে- নন-কনভার্টেবল, পূর্ণ অবসায়ন, অতালিকাভুক্ত এবং জিরো কুপন বন্ড। বন্ডটি তিনবছরে পূর্ণ অবসায়ন হবে।
এই বন্ড বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য যোগ্য বিনিয়োগকারীরা প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। বন্ডটির অভিহিত মূল্য পাঁচ লাখ টাকা।
বন্ড ইস্যুর মাধ্যমে উত্তোলন করা অর্থ সিটি ব্যাংক মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী করার কাজে ব্যবহার করবে। এই বন্ডের ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করছে এসবিএল ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। আর ম্যানডেটেড লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে রয়েছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড।

এস্কয়ারের আইপিও ফান্ড ব্যবহার তদন্তে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ

এস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অর্থ ব্যবহারের বিষয়ে তদন্ত করতে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জে কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টসকে নিরীক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি। আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাওলাদার ইউনুস অ্যান্ড কোং, চার্টার্ডঅ্যাকাউন্টেন্টসকে তাদের নিরীক্ষা প্রতিবেদন বিএসইসিতে জমা দিতে বলা হয়েছে।
এস্কয়ার নিটের আইপিও ফান্ড ব্যবহারের তদন্তে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি বিজনেস আওয়ারকে নিশ্চিত করেছেন বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মো.সাইফুর রহমান।
প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের থেকে উত্তোলিত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিয়ে এস্কয়্যার নিট কম্পোজিটের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে।এস্কয়ার নিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মেয়েদের কনস্ট্রাকশন কোম্পানি দিয়ে ভবন নির্মাণ করা হলেও তা সবার উদ্দেশ্যে প্রকাশ না করায় এই প্রশ্ন উঠেছে।এস্কয়ার নিট বিএসইসিকে না জানিয়ে আইপিও ফান্ডের ১৫০ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা পিনাকল কন্সট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাধ্যমে ব্যয় করেছে। এরইমধ্যে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৪১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। তবে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটিকে গত অক্টোবরের মধ্যেই ৫৪ কোটি ৯ লাখ টাকা প্রদান করা হয়। যে কনস্ট্রাকশন কোম্পানিটি গঠন করা হয় ২০১৮ সালের আগষ্টে।
এস্কয়ার নিট কর্তৃপক্ষ শেয়ারবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থের ফান্ড ব্যবহার করছে তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে। পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের চেয়্যারম্যান আয়েশা হাবিব এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তামান্না হাবিব হলেন এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো: এহসানুল হাবিবের মেয়ে।
আন্তর্জাতিক হিসাব মান (আইএএস) অনুযায়ি, রিলেটেড পার্টির সঙ্গে লেনদেনের বিষয় আর্থিক হিসাবে প্রকাশ করতে হয়। তবেএস্কয়ার নিট কর্তৃপক্ষ প্রায় ৯ মাস ধরে পিনাকল কনস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে ভবন তৈরী করলেও তা প্রকাশ করেনি। এরইমধ্যে কয়েকটি প্রান্তিক (কোয়ার্টার) আর্থিক হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।
এরই মধ্যে বিএসইসি কোম্পানিটির আইপিও ফান্ড ব্যবহার বিষয়ে তদন্ত করতেএস্কয়ার নিট কম্পোজিটে বিশেষ নিরীক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য,এস্কয়ার নিট যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কাছে প্রতিটি শেয়ার ৪৫ টাকা ও সাধারন বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪০ টাকা করে ইস্যু করে। যে কোম্পানির শেয়ার দর সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) লেনদেন শেষে ৩১.২০ টাকায় দাড়িঁয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/রহমান আজিজ/ঢাকা

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক