তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের বাজেটে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ৯:৪৬ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৪৬:অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০১৯

পাইকগাছা (খুলনা) সংবাদদাতা:
পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের বাজেটে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহার বন্ধে সচেতনামূলক কর্মসূচিতে ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরের খসড়া বাজেটে এ বরাদ্দ রাখা হয়। উল্লেখ্য, সচেতনতার অভাবে দেশে প্রতিনিয়ত তামাক ও তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। চলমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন উপেক্ষা করে বিভিন্ন টোব্যাকো কোম্পানী কৌশলগতভাবে তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার বাড়াতে নানা ধরণের প্রলোভন দেখিয়ে প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঝুকে পড়ছে। যার ফলে ক্যান্সার সহ অসংখ্য জটিল রোগের ঝুকিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ ও উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েরা। এ অবস্থায় তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন ও সাধারণ মানুষকে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে উপজেলা পরিষদের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়েছে। পরিষদের ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেটে তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ব্যবহাররোধে কর্মশালা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচিতে ৪০ হাজার টাকার বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে বাজেটে বরাদ্দ রাখার মত ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করায় তামাকবিরোধী সংগঠণ সহ সচেতনমহলের কাছে প্রসংশিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুলিয়া সুকায়না। এ ব্যাপারে তামাকবিরোধী সংগঠণ সিয়ামের প্রধান নির্বাহী এ্যাডঃ মাসুম বিল্লাহ জানান, উপজেলা পরিষদের মত স্থানীয় সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের বাজেটে তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহাররোধে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এটি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বরাদ্দ রাখার ক্ষেত্রে যাদের ভূমিকা রয়েছে তারা সকলেই প্রশংসার দাবীদার। বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোটের সৈয়দা অনন্যা রহমান জানান, সরকার তামাকজাত দ্রব্য থেকে যে পরিমাণ টাকা রাজস্ব পায় তার চেয়ে বেশি টাকা তামাকজনিত রোগের চিকিৎসাখাতে ব্যয় হয়ে থাকে। পাশাপাশি প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ ক্যান্সার সহ অসংখ্য জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ে তামাকের কুফল তুলে ধরে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা থাকলেও তৃণমূল পর্যায়ে আইনের যেমন প্রয়োগ নাই, তেমনি সচেতনতামূলক কর্মসূচিও তেমন নাই। ফলে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ অতি সহজেই তামাকজাত দ্রব্যের ব্যবহারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। আশা করছি, উপজেলা পরিষদের বাজেটে যে বরাদ্দ রাখা হয়েছে এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ধীরে ধীরে তামাকে ব্যবহার পরিহার করে সুন্দর জীবন-যাপনে অভ্যস্ত হবে। পাইকগাছা উপজেলা পরিষদের ন্যায় দেশের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে তামাকজাত দ্রব্যের অপব্যবহাররোধে বাজেটে বরাদ্দ রাখা জরুরী হয়ে পড়েছে বলে তামাকবিরোধী জোটের এ কর্মকর্তা মনে করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক