কর্ম জীবনের ইতি টানলেন সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার মোঃ আফছার আলী

প্রকাশিত: ৯:৩০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০ | আপডেট: ৯:৩০:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার উপ-সহকারী প্রাণিসম্পদ অফিসার আলহাজ্ব মোঃ আফছার আলী। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলায় গত ২৩.১২.১৯৮২ তারিখে প্রানি সম্পদ বিভাগে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ আঠারো বছর যাবত ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব সুনামের সহিত পালন করে আসছিলেন।
১৯৯৯ সালের শেষের দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় প্রানিসম্পদ বিভাগে বদলী হন তিনি। গত ২৩.০২.২০২০ রবিবার দীর্ঘ ৩৭ বছরের কর্মজীবন শেষ হয় তার।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা সদর উপজেলা দুগ্ধ খামার মালিক সমিতির পক্ষে থেকে সদ্য অবসর প্রাপ্ত সাতক্ষীরা সদর উপ-সহকারী প্রানিসম্পদ অফিসার আলহাজ্ব মোঃ আফছার আলী কে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন। রবিবার সকাল ১১টায় সদর উপজেলা অফিসের ট্রেনিং রুমে এ বিদয়ী সংবদ্ধনা প্রদান করেন সদরের দুগ্ধখামার মালিক সমিতির সদস্যারা। সংবদ্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ৮নং ওর্য়াড দুগ্ধখামার মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আব্দুর ছাত্তার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা দুগ্ধ খামার মালিক সমিতির সভাপতি শ্রী শংকর ঘোষ। সংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ওমর আলী,মহিলা খামারী নুর জাহান প্রমুখ। এসময় খামারীরা বলেন আমরা অফছার ডাক্তার কে যখনি ডেকেছি তখনি পেয়েছি । তিনি অমাদেরকে দীর্ঘ দিন সেবা প্রদান করেছেন। তার ভেতর কোন অবহেলা আমরা পায়নি । অনেক সময় তিনি নিজের মোটরসাইকেলের তৈল পুড়িয়ে বিনা পয়সায় সেবা দিয়ে থাকেন। তারপরামর্শে অনেক বেকার যুবক খামার করে আজ সাবলম্বী হয়েছেন।

মোঃ আফছার আলী শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী এ করিম উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৭৭ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। কালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয় হইতে ১৯৭৯ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেন এবং একই কলেজে তিনি বি.এ ভর্তি হন। ১৯৮০ সালে কালিগঞ্জ মহাবিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্রলীগের প্যানেলে সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে অংশ গ্রহন করেন। সাহিত্য সম্পাদক হিসাবে বিজয় লাভ করার পরে “দিবালোক” নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন যা আজও মানুষের মনে আশার আলো সৃষ্টি করে। দীর্ঘ ৩৭ বছর ২ মাস প্রানিসম্পদ বিভাগে সেবা দিয়েছেন। তিনি বর্তমানে শতাধিক গ্রাম্য প্রানিচিকিৎস হাতে কলমে প্রশিক্ষন দিয়েছেন। তারা ও তাদের শ্রদ্ধেয় স্যারের জন্য দোয়া করেন। সমাজের মানুষ তাকে ভালবাসে। শ্রদ্ধা করে সবাই তাকে আফছার ডাক্তার বলে ডাকে। তিনি সাতক্ষীরাতে ডি.আই.পি প্রানি চিকিৎসক হিসাবে পরিচিত। মোজাফ্ফার গার্ডেন ও রির্সোস সেন্টার এর পেট এ্যানিমেল চিকিৎসক হিসাবে বিশ বৎসর যাবৎ পরামর্শ প্রদান করে আসছেন। তিনি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। বর্তমানে তাহার ১ (এক) ছেলে ও ১ (এক) মেয়ে ছেলে ডাঃ মোঃ নাজমুস সাদাত, বি.ডি.এস (ঢাকা), খুলনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল খুলনাতে কর্মরত। বৌমা ডাঃ ইসরাত জান্নাত, বি.ডি.এস. ঢাকা, খুলনা ইসলামি ব্যাংক হাসপাতালে কর্মরত। দাদু ভাই, নাবিদ সাদ (আরিয়ান) বয়স তিন বৎসর। মেয়ে আফসানা মিমি, এম.বি.বি.এস, খুলনা মেডিকেল কলেজ ৫ম বর্ষের ছাত্রী।

সংবদ্ধানা অনুষ্ঠানে উপ-সহকারী অফিসার ডাক্তার আফসার আলী বলেন আপনারা যে সম্মান দিলেন এ জন্য আমি আপনাদের কাছে কৃতজ্ঞ থাকবো । আমি সবসময় চেষ্টা করে যেতাম আপনাদের সেবা দেয়ার জন্য জানিনা কতটুকু পেরেছি তবে চাকরী জীবনের আজ শেষ দিন কিন্তু আমি যতদিন বাঁচবো আপনাদের সেবা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করবো। আপনারা সবায় আবার জন্য দোয়া করবেন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক