বাহারি পিঠার স্বাদ-গন্ধ নিয়ে সাতক্ষীরায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪ | আপডেট: ৬:০৬:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৭, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের ইতিহাস ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে নানা আয়োজনে আরবি, ইংরেজি ও বাংলা ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্লিস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমির বার্ষিক পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের খড়িবিলা বাইপাসে প্রতিষ্ঠানটির সাতক্ষীরা ক্যাম্পাসে এ উৎসব আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সাতক্ষীরা সদর-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আশরাফুজ্জামান আশু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, পিঠা বাংলাদেশের সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে নগরায়নের প্রভাবে আজ তা অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এক সময় বাঙালির যে কোনও উৎসব আনন্দে মিশে থাকত রকমারি পিঠা, আজ অনেকটাই হারিয়ে যেতে বসেছে এ ঐতিহ্য। অথচ এটি বাঙ্গালির সংস্কৃতির ঐতিহ্যর সাথে মিলেমিশে ছিল। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচিত করতে বেশি বেশি এই ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, সুন্দর ও সুশৃঙ্খল জীবন গড়ার প্রত্যয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যেমন ইচ্ছা ও চেষ্টা থাকতে হবে তেমনি শিক্ষকদেরও তথা স্কুল কর্তৃপক্ষেরও সেটি আবশ্যক। আশাকরি স্কুলটি ঠিক সেভাবেই আমাদের কোমলপ্রাণ শিশু কিশোরদের মাঝে শিক্ষার প্রদীপ জ্বালিয়ে তাদেরকে জীবনে ভালো মানুষ হাওয়ার পথ প্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।

ব্লিস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমির প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ নূর আলম শিপনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. সরোয়ার হোসেন, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শেখ আজহার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুর রহমান বাবু ও ব্লিস ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান মো. আবু হাসান।

এরপরে বেলা ১২টায় ফিতা কেটে পিঠা উৎসব ও স্টলের  উদ্বোধন করেন এমপি আশরাফুজ্জামান আশু। পরে অতিথিবৃন্দ পিঠা উৎসবের স্টল পরিদর্শন করেন।

পিঠা উৎসবে ১২টি স্টল দিয়ে সাজানো হয়েছে এ উৎসব। স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। বাহারি রঙের সঙ্গে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও নকশায় অনন্য হয়ে উঠেছে। আর সেসব স্টল পাওয়া যাচ্ছে প্রায় ২০০ রকমের পিঠা। এসব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, সর ভাজা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা, পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, তেলপোয়া পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধ চিতই, বিবিখানা, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক