আশাশুনি প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা গাওছুল হকের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০ | আপডেট: ১০:৪১:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২০

আশাশুনি প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা গাওছুল হকের সংবাদ সম্মেলন

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা অভিযোগ এনে সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ জানিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম গাওছুল হক আশাশুনি প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। শুক্রবার বিকালে প্রেস ক্লাব কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
আশাশুনি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার কাটাখালী গ্রামের স্বনামধন্য সমাজ সেবক, বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকান্ডে দীর্ঘদিনের সুখ্যাত ব্যক্তিত্ব এবং দীর্ঘকাল যাবৎ এলাকার অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম গাওছুল হক লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় “আশাশুনিতে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রীতে মারপিটের অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদে মারপিট ও মাদ্রাসা কেন্দ্রিক হিসাবে উল্লেখ করে তার নাম জড়ানো হয়েছে। যার সাথে তার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সময় তিনি সাতক্ষীরা যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে সেলিমের দোকানে বসেছিলেন। এসময় কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী ও তার স্ত্রী ঘটনাস্থানে পৌছে উক্ত নুসরাত জাহান সুজানার সাথে ফোনালাপ, ফেসবুকে ছবি দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। আমি তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা রওয়ানা হয়ে যাই। তখন তাদের মাঝে কি হয়েছে না হয়েছে তা আমার জানার বাইরে ছিল। তার সাথে আমার ন্যুনতম সম্পৃক্ততা ছিলনা বা আমি কিছুই জানিনা। এছাড়া মাদ্রাসা কেন্দ্রিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা আদৌ সঠিক নয়। সম্প্রতি মাদ্রাসার মাহফিল হয়েগেছে। সেখানে আমি ও মাদারাসার সভাপতি উক্ত সুজানার মামাসহ গ্রামের মানুষ সম্মিলিত ভাবে কাজ করেছি। এনিয়ে কোন দ্বন্দ্ব ও অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। মেয়েটি সম্ভবত কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছে। এব্যাপারে তিনি তাকে সম্পৃক্তকরে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। এসময় কাটাখালী জামে মসজিদের সভাপতি কামরুজ্জামান সানা, কাটাখালী বায়তুল নুর জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি আছাদুজ্জামান সানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামছুর রহমান সরদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ড্রেন ময়লার স্তুপবুধহাটা বাজারের পানি নিস্কাশন ড্রেন ময়লার স্তুপে পরিপূর্ণ: পরিবেশ বিনষ্ট ও মশামাছির উপদ্রব

আশাশুনি উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বুধহাটা বাজারের পানি নিস্কাশন ড্রেন বর্জ ও ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। পরিস্কার করার ব্যবস্থা না থাকায় এলাকা দুষিত হয়ে মশা-মাছির উপদ্রব ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।
সাতক্ষীরাকে জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল ‘ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রীণ সাতক্ষীরা’ শ্লোগানকে সামনে রেখে সাতক্ষীরা জেলার অবস্থা পরিবর্তন করার সংগ্রাম শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে জেলাবাসী সুফল পেতে শুরু করেছেন। অনেক এলাকা এখন সুন্দর ও পরিচ্ছন্নতায় রূপান্তরিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনও সবুজ শ্যামলীময় আশাশুনি বিনির্মানে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বাজারের দোকানীদের অসচেতনায় ব্যহত হচ্ছে ক্লিন সাতক্ষীরা গ্রীণ সাতক্ষীরা নামে সর্বজন প্রশংসিত কার্যক্রম। তরকারী বাজার, সুবর্ণ বণিক পাড়া টু তরকারী বাজার ও মেইন সড়কের পশ্চিম পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নির্মান করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিঃ আ ব ম মোছাদ্দেক বাজারের পয়ঃ নিস্কাশন ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে ড্রেনেজ নির্মান এবং আ্ইন শৃংখলা রক্ষার্থে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করেন কিন্তু কার্যক্রমকে বাঁচিয়ে রাখতে ব্যবসায়ীরা এগিয়ে না আসায় সমস্যা বেড়েই চলেছে। বাজারের দোকানীরা পানি নিস্কাশন ড্রেনের ভিতরে ময়লা আবর্জনা ফেলে রেখেছে। নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কোন ব্যবস্থা না থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে পানি নিস্কাশন ব্যবস্থা। ময়লা আবর্জনার ভিতরে জন্ম নিচ্ছে মশা ও মাছি। বাজার, বাসাবাড়ী, অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনা মশামুক্ত করতে বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে কয়েক দফায় মশা নিধন অভিযান পরিচালনা করা হলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ায় মশা মাছির জন্ম প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছেনা। বাজারের কয়েকজন দোকানী ও ক্রেতাসাধারণ জানান, দিনে মাছি ও সন্ধ্যার পরে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন দোকানী ও ক্রেতা সাধরণ। এব্যাপারে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানতে চাইলে স্যানিটারী ইন্সপেক্টর জি এম গোলাম মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমি দেখেছি। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও দোকানদারদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
বাজারের ড্রেন থেকে ময়লা আবর্জনা অপসারণ করা এবং নিয়মিত অপসারণের ব্যবস্থা করে ক্লিন সাতক্ষীরা-গ্রীণ সাতক্ষীরা বাস্তবায়নের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল।

আশাশুনি গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতারআশাশুনি গাঁজা ব্যবসায়ী গ্রেফতার

আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এক গাঁজা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে শুক্রবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালামের নেতৃত্বে এএসআই নাজিম উদ্দিন অভিযান চালিয়ে শ্রীকলস গ্রামের সামছুর সরদারের ছেলে আবু সাদেক সরদারকে আশাশুনি মটর সাইকেল সমবায় সমিতির সামনে থেকে গ্রেফতার করেন। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে থানায় ২৬(২)২০২০ নং মাদক মামলা রুজু করা হয়েছে।

ফকরাবাদে ১৬ দলীয় ক্রিকেট গোয়ালডাঙ্গা চ্যাম্পিয়ন

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের ফকরাবাদে ১৬দলীয় নক-আউট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে সারারাত ব্যাপি ফকরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন মাঠে এ খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় গোয়ালডাঙ্গা ক্রিকেট একাদশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
শিক্ষক মলয় মন্ডলের সভাপতিত্বে শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে খেলার উদ্বোধন করেন, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলিম মোল্লা। ফাকরাবাদ পল্লীমঙ্গল সংঘের আয়োজনে খেলায় আশাশুনি উপজেলার গোয়ালডাঙ্গা ক্রিকেট একাদশ ও পাইকগাছা উপজেলার হাছিমপুর ক্রিকেট একাদশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। গোয়ালডাঙ্গা ক্রিকেট একাদশ ২৬ রানের ব্যবধানে হাছিমপুর ক্রিকেট একাদশকে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আম্পায়ার ছিলেন তন্ময় মন্ডল, মৃনাল মন্ডল, গোপাল মন্ডল ও শিক্ষক হিরণময় মন্ডল। ধারাভাষ্যে ছিলেন আশরাফ হোসেন, আল মামুন ও সিফাতুল্লাহ। বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সুরঞ্জন ঢালী, কৃষকলীগ সভাপতি সোহরাব মোড়ল, আওয়ামীলীগ নেতা মন্টু সরদার, সফিকুল, ছাত্রলীগ সাঃ সম্পাঃ সুমন, ইউপি সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন, শিক্ষক গোপাল মন্ডল, সমিরণ মন্ডল, ব্যবসায়ী মুকুল হোসেন, বিধান চন্দ্র মন্ডল, আঙ্গুর হোসেন সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। চ্যাম্পিয়ন দলকে ১০ সিএফটি ফ্রিজ ও রানার্স আপ দলকে ১৯ ইঞ্চি এলইডি মনিটর পুরৃস্কৃত করেন যথাক্রমে চেয়ারম্যান আলিম মোল্লা ও ফাকরাবাদ আদর্শ যুব সংঘের উপদেষ্টা সাংবাদিক এস এম শরীফ।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক