আশাশুনির কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়া ব্রীজ ভেঙে পড়ায় চরম জনদুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৮:১৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২২ | আপডেট: ৮:১৭:অপরাহ্ণ, জুলাই ৭, ২০২২
সাতক্ষীরার আশাশুনির কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়া ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনির কুন্দুড়িয়া-বাঁকড়া ব্রীজ ভেঙ্গে পড়ায় চরম জনদুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ব্রিজটির মাঝখানের অংশ বসে গেলে ব্রিজের প্রায় অর্ধেকাংশ প্রায় ৪-৫ হাত ভেঙে বসে গেছে। ফলে ব্রীজ দিয়ে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে পথযাত্রীদের।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তবে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, অগভীর ফাউন্ডেশন হওয়ার কারনেই ব্রীজটি ভেঙে পড়েছে। যেখানে নদী রয়েছে ১৮০ ফুট প্রস্থ। সেখানে মাত্র ৬০ ফুট দৈর্ঘ্যরে ব্রীজ হলে কিভাবে থাকবে।

মরিচ্চাপ নদী খননের কারনে খননকৃত নদীর প্রস্থের তুলনায় ব্রীজটির দৈর্ঘ্য সামান্য কম হওয়ায় বেশ কিছু দিন থেকে ব্রীজটি কিছুটা দূর্বল হয়ে দাঁড়িয়ে ছিলো। দূর্বল হয়ে পড়লেও নব নির্মিত এ ব্রীজের উপর দিয়ে ছোট-বড়, হালকা ও ভারী সব ধরনের যান চলাচল করতো।

ব্রীজের মাঝের অংশ ডেবে গিয়ে এবং দু’ধারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় ব্রীজটি মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ব্রীজটি যে কোন মূহুর্তে সম্পূর্ণ ভেঙে ঘটতে পারে বড় কোন দূর্ঘটনা।

এছাড়া ব্রীজের ফাউন্ডেশন এত উচুতে করা হয়েছে পানি স্বাভাবিক প্রবাহ বাধা গ্রস্থ হচ্ছিল। এছাড়া স্থানীয় কিছু ছেলে ব্রীজের নীচে খুচিয়ে পাটি ও বালি বের করার ফলে এঘটনা ঘটেছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ২০১৬- ২০১৭ অর্থ বছরে ৫৪ লক্ষ ৪ হাজার ৬৫০ টাকা ব্যয় বরাদ্দে ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৪ ফুট প্রস্থে বক্স টাইপের ব্রিজটি নির্মাণ করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পাইকগাছার মেসার্স জিএম হাসিব ট্রেডার্স কাজটি বাস্তবায়ন করেন। ৫ বছর পার না হতেই ব্রিজের মাঝ বরাবর অংশ বসে গেলে ব্রিজের বড় অংশ ভেঙে যায়।

স্থানীয়রা জানান, নদীটি দীর্ঘকাল পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেলে খেয়া পারাপারসহ সকল প্রকার নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এলাকার প্রয়োজনের কথা বিবেচনা করে এবং এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে নদীতে ব্রীজ নির্মান করা হলে ভালভাবেই নদী পারাপারের কাজ চলে আসছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সম্প্রতি নদী খনন কাজ করেছে।

খনন কাজের সময় এ্যাস্কিমিটার মেশিনের সাহায্যে ব্রিজের একেবারেই কাছ থেকে এমন ভাবে মাটি কাটা হয়ে যাতে ব্রিজের অবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে ব্রিজটি ভেঙে গেছে।

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের জানান, নদী ছাড়া ব্রীজ ছোট হলে সেখানে খনের পড়ে ব্রীজ টিকে থাকা কঠিন। অগভীর ফাউন্ডেশনের নকশায় ব্রীজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অথচ নদী খননের নকশায় ব্রীজের তুলনায় অনেক গভীর। যারা ব্রীজটি নির্মাণ করেছিল।

তাদের উচিত ছিলো অবশ্যই এবিষয়টি মাথায় রেখে নির্মাণ করা। তারপরও ব্রীজের অনেক দুর থেকে সরু করে খনন করেছি যাতে ব্রীজটির ক্ষতি না হয়।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স