আশাশুনি কলেজের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে লিফলেট বিতরণ

প্রকাশিত: ১১:১৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০ | আপডেট: ১১:১৪:অপরাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২০

আশাশুনি কলেজের পক্ষ থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ে লিফলেট বিতরণ

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
“করোনা ভাইরাস, আতঙ্কিত নয়, সচেতন হোন” শ্লোগান নিয়ে আশাশুনি সরকারি কলেজের পক্ষ থেকে প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে কলেজের প্রিন্সিপ্যালের নেতৃত্বে এ কর্মকান্ড পরিচালনা করা হয়।
দেশব্যাপী মানুষ যখন করোনা ভাইরাস আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে, তখন আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজের সামনে থেকে শুরু করে আশাশুনি সদরের বিভিন্ন দোকানে দোকানে, অফিস পাড়ায় শিক্ষকদের নিয়ে করোনা ভাইরাস থেকে নিজেকে, পরিবারকে, সমাজকে এবং দেশবাসীকে রক্ষা করতে করনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার চালান হয়। সাথে সাথে সতর্কতা ও প্রতিকার সম্পর্কে লেখা লিফলেট সকলের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় কলেজের অধ্যাপক ও প্রভাষকদের মধ্যে ফিরোজ আহমেদ, সুশীল কুমার মন্ডল, রবিউল ইসলাম, সজল কুমার আঢ্য, দীপঙ্কর কুমার, দ্বীনবন্ধু প্রমুখ তার সাথে ছিলেন।

আশাশুনিতে ভোক্তা অধিকার দিবস পালন

আশাশুনিতে ভোক্তা অধিকার দিবস পালন

আশাশুনিতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার দিবস ২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১০.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
‘মুজিববর্ষে অঙ্গিকার, সুরক্ষিত ভোক্তা অধিকার’ -এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ করিমুল হক। উপজেলা মৎস্য অফিসার এস এম মোস্তাফিজুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আজিজুল হক, ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর শেখ ঈমান উদ্দিন, আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এস এম আহসান হাবিব, ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের উপজেলা ব্যবস্থাপক বাবুরাম পাড়–ই প্রমুখ। আলোচনা সভায় ভোক্তাধিকার কি, আইনের উদ্দেশ্য, আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্য, অপরাধ ও দন্ডসহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। করোনা ভাইরাস জনিত সমস্যার কারণে নির্দ্ধারিত র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়নি।

গুনাকরকাটি খানকায় আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরস সম্পন্ন

আশাশুনি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুনাকরকাটি খানকায়ে নকশবন্দীয়া মোজাদ্দেদীয়া আজিজীয়া দরবার শরীফে বার্ষিক ওরস আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে। শনিবার দু’দিনের ওরসের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
ধর্মীয় ভাবগম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে হযরত গাওছুল আযম খুলনবী (রহঃ) এর ওরছ শরীফ ও হযরত শাহ মাওঃ মু. আবদুর রহীম নকশবন্দী মোজাদ্দেদী খুলনবী (রহঃ) এর ফাতেহা শরীফ শুক্রবার শুরু হয়। খতমে কুরআন পাঠ ও ফাতেহা শরীফ শেষে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় মানবজাতির কল্যাণ, সমৃদ্ধি, বিশ্বের সকল মানুষকে নোভেল করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা এবং ইহকালে শান্তি ও পরকালে মাগফিরাত এবং বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি ও কল্যাণ কামনা করে আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করেন, হযরত গাওছুল আযম খুলনবী (রহঃ)’র আওলাদ হযরতুলহাজ্ব আল্লামা খাজা শফিক আহমদ (মাঃ জিঃ আঃ)। এসময় হযরত গাওছুল আজম খুলনবী (রহঃ)’র আওলাদবৃন্দ, চট্টগ্রাম ধর্মপুর দরবার শরীফ এর বর্তমান সাজ্জাদানশীন হযরতুলহাজ্ব আল্লামা কাযী সৈয়দ মু. আবদুশ শাকুর রায়হান আজিজী (মাঃ জিঃ আঃ), কুল্যা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছেত আল হারুন চৌধুরী, বিভিন্নস্থান থেকে আগত হাক্কানী ওলামা, সরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সর্বস্তরের মুরিদবৃন্দ অংশ নেন। উল্লেখ্য, ফাতেহা শরীফে আসা চট্রগ্রামের আলী আকবর (৫৫) নামের এক মুরিদ ষ্ট্রোক জনিত কারনে মৃত্যু বরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। শুক্রবার রাত ১১.২৫ টার দিকে চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কাঠগড় গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আলী আকবর হঠাৎ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরন করেন। শনিবার ফজর নামাজের পর খানকাহ্ শরীফ চত্বরে নামাজে জানাজ শেষে তার লাশ এ্যাম্বুলেন্স যোগে গ্রামে পাঠানো হয়েছে বলে জানাগেছে।

গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৩৮ বছর পর পাওনা ফেরৎ পেলেন

আনুলিয়ার রফিকুল গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ৩৮ বছর পর পাওনা ফেরৎ পেলেন

আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম কারিগর ৩৮ বছর পর গ্রাম আদালতের মাধ্যমে পাওনা ফেরৎ পেয়েছেন। গ্রাম আদালতের সুবিচারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দাবী আদায় করতে পেরে রফিকুল ও তার পরিবার গ্রাম আদালতের প্রতি সুবিচার পাওয়া যায় সেটি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।
আনুলিয়া ৪নং ওয়ার্ডের মৃত ইউনুচ কারিগরের পুত্র রফিকুলের পিতা তার বয়স যখন ১ বছর তখন মৃত্যুবরন করেন। এতিম রফিকুলের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে তার দাদী ও ৩ ফুফু নাবালক রফিকুলের নামে ৪ শতক জমি দানপত্র করে দিয়েছিলেন। আনুলিয়া মৌজায় এসএ ৩৯৩ ও ৩৪২ খতিয়ানে, এসএ ৮৮০ নং দাগে ১.২৫ একর জমির মধ্যে ০৪ শতক জমি তাকে লিখে দেওয়া হয়। নাবালক রফিকুলের অজান্তে এই জমি তার চাচাত চাচা প্রতিবাদী মৃত ইসাহক কারিগরের পুত্র আলী হোসেন ভোগদখল করে আসছিলেন। রফিকুল জানতে পেরে প্রতিবাদীর কাছে জমি দাবী করলে তিনি অস্বীকার করেন। ২৬ জানুয়ারি জমি ফিরে পেতে রফিকুল জমিতে গেলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে রফিকুল আনুলিয়া ইউনিয়ন গ্রাম আদালতে ১০ ফেব্রুয়ারি মামলা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটনের নেতৃত্বে ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষকে নিয়ে শুনানী শেষে ৪ মার্চ আপোষ মীমাংসার মাধ্যমে আবেদনকারীর পক্ষে রায় ঘোষণা করেন। রায় অনুযায়ী প্রতিবাদীর কাছ থেকে আদায়কৃত ১৫ হাজার টাকা আবেদনকারীর হাতে তুলে দেওয়া হয়। দ্রুততম সময়ে নামমাত্র খরচের বিনিময়ে ন্যায় বিচার পেয়ে রফিকুল ও তার পরিবার যেমন সন্তুষ্ট, তেমনি এলাকার মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানে থানা পুলিশ না করে গ্রাম আদালতে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

আশাশুনিতে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে স্বর্ণালঙ্কার খুইয়েছেন বৃদ্ধা

আশাশুনিতে ধর্মীয় লেবাছধারী প্রতারকের খপ্পরে পড়ে এক বৃদ্ধা ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার খুইয়েছেন। সদরের মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকখালী গ্রামের রামপদ সানার স্ত্রী গীতারানী সানা (৬২) বুধবার বাড়িতে একা ছিলেন। বাড়ির সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল। এসময় ৫০ বছরাধিক বয়সী এক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে ঢুকে থলে হাতে নিজেকে বাবা লোকনাথ ব্রহ্মচারী পরিচয় দিয়ে সেখানে গিয়ে ওঠে। এরপর স্বামীর মৃত্যু শংঙ্কা, ছেলের আয়ের টাকা অপব্যয় হচ্ছে ও বাড়ির সুখশান্তি নষ্ট হচ্ছে এমন কথা বলে, এরথেকে রক্ষার জন্য নানান কথা বলতে থাকে। এরপর ধর্মীয় কর্ম করতে থাকে। একপর্যায়ে স্বর্ণ ধোয়া পানি লাগবে বলে জানালে, বৃদ্ধা তার কানের দুল খুলে দেন। দুল পানির পাত্রে চুপিয়ে সামনে এনে রাখা হয়। পেয়ারার পাতায় পানি দিয়ে পানি খাওয়ানো হয়। এরপর বৃদ্ধাকে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করতে বলা হয়। চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা শুরু করলে এসুযোগে প্রতারক স্বর্ণালঙ্কার উঠিয়ে লুকিয়ে ফেলে এবং দু’টি কয়েন ১০ টাকার নোটে মুড়িয়ে বৃদ্ধার হাতে দিয়ে বলে ৩দিন পর মোড়ক খুলে অলঙ্কার ব্যবহার করলে সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এজন্য তাকে কোন টাকা দিতে হবে না, ধুপপাতা কিনে দিলে হবে। বলে বৃদ্ধাকে নিয়ে সামনের দোকানে যায়। বৃদ্ধা ফিরে অজ্ঞান হয়ে যায়। বাড়ির লোকজন ফিরে এসে ঘটনা জানতে পারে। উক্ত প্রতারক এলাকায় আরো কয়েকটি স্থানে প্রতারনার চেষ্টা করেছে বলে জানাগেছে।

আশাশুনিতে ওয়ারেন্টের আসামী গ্রেফতার

আশাশুনি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানার ১ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতকে রবিবার সকালে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুস সালামের নেতৃত্বে এসআই বিল্লাল হোসেন, এএসআই কাওছারুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে সিআর-৯২/১৮ (কাজিরহাট) এবং জিআর-১৬১/১৮(লালঃ) মামলার আসামী গদাইপুর গ্রামের ছাদ উদ্দিন সরদারের ছেলে ওমর ফারুক সরদারকে গ্রেফতার করে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক