সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখার আহবান

প্রকাশিত: ৭:৩২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০ | আপডেট: ৭:৩২:অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২০

যারা ভাস্কর্য ভাঙ্গে তারা মুক্তিযুদ্ধের শত্রু, তারা বাংলাদেশের ম্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, তারা জারি শত্রু, দেশের শত্রু, তাদের প্রুতহত করতে হবে। আমরা এক হয়ে তাদের প্রতিহত করবো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা সবাই মিলে সাতক্ষীরার উন্নয়ন ধারাকে এগিয়ে নিতে হবে। আলেচনা সভায় ভার্চুয়লি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আফম রুহুল হক এমপি তার বক্তেব্যে এ কথা বলেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপীর সঞ্চালনায় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার দুপুরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক এড অরুন ব্যানার্জী, সহসভাপতি অধ্যক্ষ আশেক ই এলাহী, দেশ টিভির শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন, আরটিভির রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী, দৈনিক পত্রদূতের লায়লা পারভিন সেঁজুতি, মানবজমিনের ইয়ারব হোসেন, বনিক বার্তার গোলাম সরোয়ার, চ্যানেল ২৪ এর আমেনা বিলকিস ময়না, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান ও মো: আব্দুল বারী, সাবেক সহসভাপতি কালিদাস রায়, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম রেজা মুকুল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির আবুল কাশেম, মোহনা টিভির আব্দুল জলিল, দৈনিক অর্থনীতির ফরিদ আহমেদ ময়না প্রমুখ সাংবাদিক। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে মোমবাতি প্রজ্জ্বালন করা হয়। এতে অংশ নেন সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।

‘উদয়ের পথে শুনি কার বানী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই, নিঃশেষে প্রান যে করেছে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’ মহান বিজয় দিবসে এই কালজয়ী বানী উচ্চারন করে একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব পালন করলো ৫০ তম মহান বিজয় দিবস। এই দিবসে তারা অঙ্গীকার করলেন স্বাধীন স্বার্বভৌম ধর্মনিরপেক্ষ দেশ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের স্থান হবে না। তাদেরকে সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় আলোচনা সভায়।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ রক্ত দিয়ে অর্জিত হয়েছে। এর লাল সবুজ পতাকা মুক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ করে উড়িয়েছেন। এই ভূখন্ডে ধর্মনিরপেক্ষতা চিরস্থায়ী থাকবে। এখানে হিন্দু মুসলমান খ্রীষ্ঠান বৌদ্ধ জৈন সব সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে বসবাস করবে এবং তারা বলবেন আমরা বাঙালি। বাংলাদেশ আমাদের মাতৃভূমি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বিভিন্ন স্মৃতি এবং বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরে সাংবাদিক বক্তারা বলেন, আজকের নতুন প্রজন্মকে এসব ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত ধারনা দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের কোন বিকৃত ও কল্পিত ইতিহাসে যেন তারা মনোযোগী না হয় এমনটি উল্লেখ করে তারা বলেন, শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সেদিন এদেশের মানুষ ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। আগামী দিনগুলিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করতে হবে। একাত্তরের পরাজিতদের প্রতিহত করতে হবে। তারা মৌলবাদের আশ্রয় নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, এদেশ কারও করুনায় স্বাধীনতা লাভ করেনি। ৩০ লাখ মানুষের রক্ত আর ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়ে এদেশের দামাল ছেলেরা ছিনিয়ে এনেছিল মহান স্বাধীনতা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ছিল সেই স্বাধীনতার চূড়ান্ত অর্জন। এদিন ৯৫ হাজার পাক সেনা মাথা নত করে তাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পন করে মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পন করেছিল। এই দিনটিকে তাই সবসময় স্মারকে আলোচনায় রাখতে হবে এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আরও শানিত করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ আবু আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবাইকে জানতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারন করতে হবে।

সাবেক সভাপতি সুভাষ চৌধুরী বলেন, রক্ত দিয়ে এদেশের মানুষ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে। এতে কালিমা লেপন করতে দেওয়া হবে না।

সিনিয়র সাংবাদিক অরুন ব্যানার্জী বলেন, মহান বিজয় দিবস একদিনে আসেনি। নানা সংগ্রাম আন্দোলন ও আত্মহুতির পর আমরা দিবসটি পেয়েছিলাম।

সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিজয়ের ৪৯ বছর পরও মাথাচাড়া দেওয়া স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অধ্যক্ষ আশেক-ই এলাহী বলেন, বাঙালির ঠিকানা এখনও পদ্মা মেঘনা যমুনা। এই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের মূলোৎপাটন করবে।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স