সাতক্ষীরায় ৭ নং বিপদ সতর্ক সংকেত : ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় প্রস্তুতি গ্রহন,প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র

প্রকাশিত: ১:০১ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯ | আপডেট: ১:০৫:অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:
ঘূর্ণিঝড় ফণির সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। জেলায় ১৩৭টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জেলায় ৭ নং বিপদ সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিমধ্যে গত দু’দিনে দুই দফা জরুরী সভাও করেছেন।
জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল সভায় জানান, উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরায় ঘূর্ণিঝড় ফণিসমুহ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। এজন্য সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবেলায় সকলকে সর্তক থাকতে হবে। ইতোমধ্যে জেলায় ৭ নং বিপদ সতর্ক সংকেত দেওয়া হয়েছে। উপকূলীয় এলাকার জেলে-বাওয়ালীদের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নদীতে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
সভায় আরো বলা হয়, জেলার ১৩৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবক টিম প্রস্তুত, ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ সংস্কার, শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ওষুধের পর্যাপ্ততা নিশ্চিতকরণসহ দুর্যোগ মোকাবেলায় সম্ভাব্য সকল প্রস্তুতি নিশ্চিত করার কথা জানানো হয়। ইতিমধ্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। নিয়ন্তণ কক্ষের ফোন নম্বর ০৪৭১৬৩২৮১।
জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ৩২শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১১৬ টন চাল, ১ লক্ষ ৯২হাজার টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
সভায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশংকা করে বলা হয়, ৮, ৯ ও ১০ নম্বর সর্তক সংকেত আসলে উপকূলীয় মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে হবে। যতদূর সম্ভব দ্রুততার সাথে মাঠের ফসল ঘরে তুলতে হবে। সংকেত প্রচারে ইমামদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক