সাতক্ষীরার শ্যামগরের একটি আশ্রয় কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু, আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়তে শুরু করেছে মানুষ, বেঁড়িবাধ ঝুকিপূর্ণ

প্রকাশিত: ৪:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯ | আপডেট: ৪:৫৯:অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯

সাতক্ষীরা সংবাদদাতা:
ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সাতক্ষীরায় শুক্রবার রাত ১২ টা থেকে থেমে থেমে দমকা হাওয়া ও গুঁড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ এখনও মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। এদিকে, শ্যামগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের গাইনবাড়ি আশ্রয় কেন্দ্রে আয়না মতি বিবি (৯২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই গ্রামের মৃত কওছার আলীর স্ত্রী। রাতে তিনি আশ্রয় কেন্দ্রে উঠার পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান।
অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আশাশুনি উপজেলার খোলপেটুয়া নদীর কুড়িকাউনিয়া ও প্রতাপনগর এবং দেবহাটা উপজেলার খানজিয়া নামক স্থানে ইছামতী নদীর বেঁড়িবাধে ভয়াবহ ফাটল দেখা দিয়েছে। এদিকে, শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ও পদ্মপুকুরের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভয়াবহ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে বেঁড়িবাধ ভাঙনের আতংকে রয়েছে উপকুলীয় এলাকাবাসী।
উপকুলীয় উপজেলা শ্যামনগরসহ কিছু কিছু এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাওয়ায় আশ্রয় কেন্দ্র ছেড়ে মানূষ নিজ গৃহে ফিরছেন বলে জানা গেছে। সেখানে আবহাওয়া এখন অনেকটা শান্ত রয়েছে। তবে সেখানকার আশ্রয় কেন্দ্র গুলোতে রাতে সুপেয় পানি ও শুকনা খাবারের অভাব দেখা দেয়।
তবে, জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস.এম মোস্তফা কামাল বলেছেন, জেলায় ১৬০ টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১ লাখ ৩২ হাজার মানুষ অবস্থান করছেন। প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১১৮ টি মেডিকেল টিম। এছাড়া উপকুলীয় উপজেলা গুলোতে ৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলায় দুর্যোগ মোকাবেলায় ২৭’শ প্যাকেট শুকনা খাবার, ৩১৬ মেট্রিক টন চাল, ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৫০০ টাকা, ১১৭ বান টিন, গৃণ নির্মাণে ৩ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা ও ৪০ পিস শাড়ি মজুদ আছে।
এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়ার পর্যন্ত জেলার সকল সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কর্ম এলাকায় থাকতে বলা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক