ঘূর্নিঝড় ফণি’র প্রভাবে তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ৭শতাধিক কাঁচা ঘর-বাড়ী ক্ষতিগ্রস্থ

প্রকাশিত: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৩৪:অপরাহ্ণ, মে ৪, ২০১৯

পাটকেলঘাটা(সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
ঘূর্নিঝড় ফণি’র প্রভাবে তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় সাত শতাধিক কাঁচা বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে গেছে। সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে উপড়ে পড়েছে গাছপালা। বেশি ক্ষতি হয়েছে আম ও উঠতি নোরো ধানের। তবে জীবন হানি ও বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।শনিবার ভোররাতে আঘাত হানে ফনী। তবে আবহাওয়ার উন্নতি হওয়ায় শনিবার বিকেল থেকে আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার সকালে তালা উপজেলার খলিষখালী, কুমিরা ,ইসলামকাটি ,তালা সহ কয়েকটি  ইউনিয়নের কিছু লোকজন নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আবহাওয়া উন্নতি হওয়ার সাথে সাথে তারা বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে।  তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘোষ সনৎ কুমার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।সরুলিয়া ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের অশোক ঘোষ জানান ঝড়ের ভয়ে আতংকিত ছিলাম। কিন্তু তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমরা রক্ষা পেয়েছি।
তালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জানান শনিবার ভোররাতে আঘাত আনে ফনী। উপজেলায় প্রায় ৭শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি নষ্ট হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরীন ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সার্বক্ষনিক তদারকি করেছেন। সকলকে নিয়ে সাধারন  মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তালা উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মাহাফুজুর রহমান জানান, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় সাত শত ৫০টি বসত ঘর ভেঙ্গে গেছে। জেলা অফিস থেকে শনিবার বিকেল  ১০ মেট্রিক টন চাল ও ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সবই ১২টি ইউনিয়নে বন্টন করে দেওয়া হয়েছে। তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরিন জানান, ঘূর্নি ঝড় ফনীর প্রভাব কমে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। উপজেলায় মানুষের কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গাছগাছালি উপড়ে যাওয়া ছাড়া তেমন কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/মো: মুজিবর রহমান/পাটকেলঘাটা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক