রাত ভর বৃষ্টি, রাত পোহালেই কিস্তি, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির তোড়ে জনজীবন বিপন্ন

প্রকাশিত: ১:৫৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০ | আপডেট: ১:৫৩:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২২, ২০২০
দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টির তোড়ে জনজীবন বিপন্ন।

রাত ভর বৃষ্টি, রাত পোহালেই কিস্তি। পুরনো এই প্রবাদটি দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে ধরা দিয়েছে বাস্তবেই। এক দিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের পূজা অপরদিকে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের জীবন জীবিকা সবই যেন স্থবির হয়ে পড়েছে বঙ্গোপসাগর সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

টানা বর্ষনে পূজার আনন্দ যেমন মাটি হতে বসেছে এখানকার অধিবাসীদের তেমনি দরিদ্র শ্রেণী পেশার মানুষেরা পড়েছে বিপদের সম্মুখে। ঘর থেকে বের হতে পারছেনা দিনমজুর ভ্যানওয়ালা, রিক্সাওয়ালারা। টানা বর্ষন আর দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় এখানকার পূজোর উৎসব পুরোটাই মাটি করে দিয়েছে।বলে জনিয়েছে এখানকার অধিকাংশ ভক্ত ও পূজারীগন, এক দিকে করোনার কারনে সীমিত আকারে পূজার আয়োজন অপরদিকে বৃষ্টি এ যেন মরাও উপর খাড়ার ঘা। এক দিকে শব্জি তরকারির দাম বৃদ্ধি অপর দিকে দিন মজুর ও শ্রমিকদের বেকারত্ব পুরোটাই যেন জীবনের প্রতিকূলে এখানকার মানুষের।

 

এর আগেই গতকাল ২১ অক্টোবর আবহাওয়া অফিস সতর্ক করে তিন নম্বর হুশিযারী জানিয়েছিলেন। এর পর পরই শুধু হয় টানা বর্ষন মাঝে মাঝ বায়ু প্রবাহ আর বর্ষন কারন শৈত্য প্রবাহ। ইতোমধ্যে ঋতু পরিবরর্তনকালিন সর্দি জ্বর ও ঠান্ডা জনিত সমস্যা ছড়িয়ে পড়ছে এখানকার ঘরে ঘরে।

 

লঘুচাপ না কমলে বৃষ্টি থামার ও সম্ভাবনা নেই আবহাওয়া বিদদের ধারনা। দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের আমদানি রপ্তানি প্রকৃয়া। যাতে করে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজ জলযানকে গুনতে হবে অতিরিক্ত বন্দর অবস্থানের ও জাহাজ ভাড়া চার্জ। ক্ষতির মুখে পড়ছে মালিক শ্রমিক সবাই। আবহাওয়া প্রতিকূলে এলে দু এক দিনে এর থেকে পরিত্রান পাবে বলে আশা স্থানীয় অধিবাসীদের।


আপনার মতামত লিখুন :

ম.ম. রবি ডাকুয়া। প্রতিবেদক। বাগেরহাট, খুলনা