বাণিজ্যমেলার ২৬তম আসর বসবে পূর্বাচলে

প্রকাশিত: ১১:০৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০ | আপডেট: ১১:০৯:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকা:
আগামী বছর পূর্বাচলে ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে ব্যবসায়িদের দাবির প্রেক্ষিতে এবারের মেলার সময় আরও দুই দিন বেড়ে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে জানান।
সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাণিজ্যমেলার মাঠ প্রাঙ্গণে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী বছর মেলাটি পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে মেলার বরাদ্দকৃত স্থানের নিজস্ব কমপ্লেক্সে মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে লোকজন নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে আন্তর্জাতিক মানের সেন্টার রয়েছে। সেখানেই মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, এবার মেলার চিত্রিটা পাল্টে গেছে। চলাচলের সুবিধা বেশি ছিল। সবমলিয়ে এবার সুন্দর মেলা উপহার দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ব্যবসায়িদের দাবির প্রেক্ষিতে মেলার সময় বাড়ান বাণিজ্যমন্ত্রী।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান তার বক্তব্যে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে জিন্দাবাদ স্লোগান দেওয়ায় বাণিজ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জিন্দাবাদ তো আমরা ১৯৭১ সালে শেষ করে দিয়ে এসেছিলাম। সেই জিন্দাবাদটা বারবার ফিরে আসছে কেন? ১৯৭৫ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো, তার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আমরা ‘জয় বাংলা’ বলেছি। ‘জয় বাংলা’ ছিল স্বাধীনতার স্লোগান। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হলো, সেই দিন থেকে ‘জয় বাংলা’ চট করে ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’ হয়ে গেল। কথাটা ভালো না-ও লাগতে পারে, এটাই বাস্তবতা।
টিপু মুনশি বলেন, জয় বাংলাকে কিন্তু ভোলা ঠিক হবে না। ওটা কিন্তু আমাদের স্পিরিট। আমি নিজে একজন মুক্তিযোদ্ধা। যখন আমি শুনি, জিন্দাবাদ স্লোগান আপনারা দেন, সহ্য হয় না, ভালো লাগে না।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, এফবিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, বাণিজ্য সচিব জাফর উদ্দীন, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১ জানুয়ারি বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ বছরের মেলায় মোট ৪৯০টি দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মেলায় বিভিন্ন ক্যাটাগরির সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১১টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৭টি, প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬৪টি, প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন ৪০টি, রিজার্ভ প্যাভিলিয়ন ৫টি, রিজার্ড মিনি প্যাভিলিয়ন ৭টি, রেস্টুরেন্ট ২টি, ফুড স্টল ৩৫টি, ব্যাংক বুথ ৭টি, সাধারণ স্টল ১২৩টি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, বিদেশি প্যাভিলিয়ন ২৭টি, বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন ১১টি ও বিদেশি প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ১৭টি সহ মেলা প্রাঙ্গণে ৩টি রক্তদান কেন্দ্র, ২টি মা ও শিশু পরিচর্যা কেন্দ্র এবং ১টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে।

ডিআইটিএফ- ২০২০ এ দেশীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি মোট ২০টি দেশ যথা- ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, নেপাল, হংকং, ভুটান, ব্রুনাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি এবং ইটালি থেকে মোট ৫৫টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে তাদের পণ্য সম্ভার প্রদর্শন ও বিক্রয় করার সুযোগ পেয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/রহমান আজিজ/ঢাকা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক