প্রতাপনগরে গ্রাম আদালতে ন্যায্য বিচারে করিমনের পরিবার খুশি

প্রকাশিত: ১০:১৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০ | আপডেট: ১০:১৯:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগরে অল্প সময়ে স্বল্প খরচে গ্রাম আদালতে ন্যায্য বিচার পেয়ে করিমন নেছার পরিবার মহা খুশি ও কৃতজ্ঞ। ন্যায় বিচারের প্রেক্ষিতে গ্রাম আদালতের প্রতি এলাকার মানুষের আস্থা আসতে শুরু করেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

প্রতাপনগর ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের (গোকুলনগর গ্রাম) মৃত আবুল হোসেন গাজীর স্ত্রী করিমন নেছা অভাব অনটনের সংসারে দীনমজুরের কাজ করে সংসার নির্বাহ করে থাকেন। অন্যের বাড়িতে, ক্ষেতখামারে ও মৎস্য ঘেরে কাজ না করলে তার দিন চলেনা। ৩ ছেলে ও ১ মেয়ের বিধবা মাতা কোন ঝক্কিঝামেলা পছন্দ করেন না। কিন্তু গত বছরের ২১ আগষ্ট এক ঝামেলা তার মাথায় এসে ঠায় নেয়। এদিন বিকাল ৫ টার দিকে তার ছেলে শাহ আলম স্থানীয় ফুটবল মাঠে ছিল। খেলাকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান তার চোখের কোনায় ও মাথায় ঘুষি মারে। এতে তার চোখে প্রচন্ড আঘাত লাগে। গ্রাম্য চিকিৎসাসহ বড় ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে হয় তাকে। এতে তাদের অভাবের সংসার থেকে ১০ হাজার টাকা খরচ চলে যায়। বিধবা করিমন নেছা প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতে ৩ দিন পর প্রতিবাদী মোস্তাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ফৗজদারী মামলা (নং-৫১/১৯) করেন। এজন্য তার খরচ হয় মাত্র ১০ টাকা। ২৮ সেপ্টেম্বর গ্রাম আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেনসহ উভয় পক্ষের মনোনীত দু’জন করে ৪ জনসহ মোট ৫ জন সদস্য নিয়ে আদালত গঠনের মাধ্যমে শুনানী করা হয়। শুনানী শেষে গ্রাম আদালতে ৫:০ সদস্যের সর্ব সম্মতকৃত সিদ্ধান্ত হয় যে, প্রতিবাদী ৮০০০ টাকা গ্রাম আদালতের মাধ্যমে আবেদনকারীকে পরিশোধ করবে। প্রতিবাদী রায় মেনে নিয়ে উক্ত টাকা পরিশোধ করেছেন।

আবেদনকারী করিমন নেছা বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর ৪ সন্তানকে নিয়ে অসহায় জীবন যাপন করে এসেছি। আমি সামান্য দীনমজুর। আমাদের মত অসহায় মানুষ সুবিচার পাবে এমন অটুট বিশ^াস ছিলনা। একেবারেই কিঞ্চিৎ খরচে স্বল্প সময়ে গ্রাম আদালতে সুবিচার পাওয়া যায় তা আগে জানতাম না। সঠিক বিচার পেয়ে আমি ও আমার পরিবার খুবই খুশি হয়েছি। আমাদের বিচার দেখে ও বিচারের কথা শুনে এলাকার মানুষও আনন্দিত। তারা গ্রাম আদালতের প্রতি আস্থাশীল হয়ে উঠেছি।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক