পাইকগাছায় বকুল প্রেমিক সিদ্দিক গাজীর স্বপ্ন এখন তালের চারা রোপন

প্রকাশিত: ১১:০১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯ | আপডেট: ১১:০১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছা উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের বাসিন্দা বকুল প্রেমিক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক গাজী (৬০), পিতা- মৃত বিলাত গাজী। কেউ বলে সিদ্দিক পাগল। সকলে তাকে বকুল গাছ প্রেমিক বলে জানে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রাস্তার গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্টেডিয়াম, অফিস আদালত পাড়ায় রয়েছে তার লাগানো শ’শ’ বকুল গাছ। এখনও থেমে নেই তার গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া। মাত্র ১০ দশক জমিতে বসত বাড়ি। ছোট্ট একটি আঙ্গিনার কোণে বকুলের বীজ চারা বানিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে লাগিয়ে আসছে। যেটি তার নেশা ও পেশায় পরিণত হয়েছে। গত ৩০ বছর ধরে কখনও পায়ে হেটে, কখনও গাড়ীতে চড়ে বাঁশের দু’মাথায় চারা ঝুলিয়ে তা বিভিন্ন অঞ্চলে লাগায় সে। সে জানায়, স্কুল-কলেজের ছেলে-মেয়েরা বকুল ফুল দিয়ে মালা বানাবে, বকুল খাবে, গাছ তলায় বসে গল্প করবে এতেই তার আনন্দ। সংসার চালাতে বাড়ির পাশে ১০ কাঠা জমি ৮ হাজার টাকায় হারীতে নিয়ে সেখানে কলমি, হেলাঞ্চ ও ব্রাহ্মমণি শাক লাগায়। তা বিক্রি করে চলে স্বামী-স্ত্রী ও ২ সন্তানের সংসার। সে জানায়, বিনা সারের লাগানো শাক খেয়ে মানুষের অসুখ সারবে, উপকার হবে মানুষের। সোজা ভাষায় কথা বলতে না পারলেও সব সময় বাধা-বাধা ভাষায় কথা বলে সে। এসবের পরেও তার স্বপ্ন থেমে নেই। এবার সে বিভিন্ন অঞ্চলে তালের চারা লাগানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। চলতি বছর সে তাল গাছের মাথা তথা তাল কিনে গাছে পাকিয়ে তার থেকে যে বীজ পাবে তা দিয়ে চারা বানিয়ে বিভিন্ন অঞ্চলে সড়ক ও ওয়াপদার রাস্তায় লাগাবে। যা পথচারীরা বা সাধারণ মানুষ খাবে ও বজ্রপাত থেকে মানুষ প্রাণে বাঁচবে বলে আশা করেন। বকুল গাছ নিয়ে ১৫/১৬ বছর আগে স্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে বিটিভি’র জনপ্রিয় ‘ইত্যাদি’ অনুষ্ঠানে তার একটি সাক্ষাৎকার প্রচার করে এবং ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আমিনুল ইসলাম বজলু/পাইকগাছা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক