তালা ৫৫ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা

প্রকাশিত: ৮:১১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯ | আপডেট: ৮:১১:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, তালা:
দূর্নীতি,অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তালার ৫৫ নং জেঠুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাশ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা,২০১৮ এর অধীনে মামলাটি হয়েছে।
এর আগে আনন্দ মোহন দাশের বিরুদ্ধে আনিত অর্থ আত্মসাত ও দূর্নীতি বিষয়ে অভিযোগ বিভাগীয় কমিশনার,জেলা প্রশাসক ও তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দাখিল হয়। এতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে উপজেলা রিসোর্স সেন্টারের ইন্সট্রাক্টর তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এতে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করেন।
প্রতিবেদনের বরাদ দিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা,খুলনা বিভাগ,খুলনার বিভাগীয় উপ-পরিচালক মেহেরুন-নেছা স্বাক্ষরিত অভিযোগ নামা যার স্মারক নং:বিপ্রাশিকা/খুখিু/হি:খ:/৯৭-৫(বি:মামলা-সাত)/২০১৫/ জানানো হয়েছে যে, প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে এসএমসি গঠনে নমিনেশন ফরম বিক্রির ১২ হাজার টাকা,এসএমসি কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া স্লিপ প্রকল্পের ৪০ হাজার টাকা ইচ্ছামত খরচ,প্রকল্পের ক্রয়কৃত দ্রব্যের ভাউচার এবং সামাজিক মূল্যায়ন কমিটি কতৃক অনুমোদিত রেজুলেশন দেখাতে পারেননি। প্রাক প্রাথমিকের ৫ হাজার টাকায় সংশ্লিষ্ট কক্ষটি সঠিকভাবে সজ্জিত করেননি এবং পর্যাপ্ত উপকরণও ক্রয় করেননি। এছাড়া মালিকানাধীন পুকুরের লিজ ও ফলজ গাছ হতে আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব দেখাতে পারেননি,সময়মত স্কুলে আগমন করেননা। বিষয়টি বিদ্যালয়ের পরিদর্শন বহিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মন্তব্যে তা প্রতীয়মান হয়। সর্বশেষ প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাশের র্কাকলাপ সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ৩ (খ) ধারা মোতাবেক দূর্নীতি ও অসদাচরনের সামিল। যেহেতু তাকে সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা,২০০৮ এর ৩ (খ) ও (ঘ) ধারা মোতাবেক দূর্নীতি ও অসদাচরন এর অভিযোগে অভিযুক্ত কওে একই বিধিমালার ৪ (ঘ) ধারা মোতাবেক কেন তাকে চাকুরী হতে বরখাস্ত অথবা একই বিধিমালার অধিনে অন্য কোন যথোপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা হবেনা তা পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তওে দাখিল করতে হবে।
স্মারক নং-বিপ্রাশিকা/খুবিখু/হি:খ:/৯৭-৫/(বি:মামলা-সাত)/১৫/১৬৯৬/৪,তারিখ ৮ আগস্ট প্রেরিত অভিযোগনামার অনুলিপি প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ইপ-পরিচালক,জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস,উপজেলা শিক্ষা অফিসার,সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার(সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার) প্রেরিত হয়েছে।
এদিকে আনন্দ মোহন দাশ’র বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার অভিযোগ সম্পর্কে তার প্রতিক্রিয়া জানতে উপজেলার সংশ্লিষ্ট স্কুলে গেলে তাকে স্কুলে পাওয়া যায়নি। এসময় তার সহকর্মীরা জানান,তিনি ছুটিতে রয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তালা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) নম্র কুমার মন্ডলের নিকট জানতে চাইলে তিনি প্রথমত জানেননা বললেও পরে মৌখিক ছুটি নিয়েছেন বলে জানান।
সংশ্লিষ্ট সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়,খবর পেয়ে চাকুরী বাঁচাতে আনন্দ মোহন বিভিন্ন মহলে ব্যাপক দৌড়-ঝাঁপ শুরু করেছেন। যার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে স্কুল না গিয়ে সারা দিন লবিংয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করেন।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান আনন্দ মোহন দাশের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন,বিভাগীয় তদন্তে বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক