তালায় ঘর হারানোর ভয়ে অজানা আশংকায় আতংক

প্রকাশিত: ১:১২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৯ | আপডেট: ১:১২:পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তালায় বিধবাকে সন্তানসহ বসত-বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে গোপনে বন্দোবস্ত গ্রহন,হস্তক্ষেপ কামনা

সেলিম হায়দার, তালা:
সাতক্ষীরা তালায় একটি অসহায় ভূমিহীন বিধবা ও তার সন্তানদের বসত বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করতে স্থানীয় এক প্রভাবশালী সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে ভূল বুঝিয়ে গোপনে বন্দোবস্ত ও নিজ নামে রেকর্ড সংশোধন করেছে। পরিবারটিকে উচ্ছেদ করতে প্রভাবশালী ছাত্তার শেখ বিভিন্ন সময় নানা হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। সর্বশেষ প্রতিকার চেয়ে অসহায় বিধবা সখিনা খাতুন তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তালা উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের কলাপোতা গ্রামের মৃত জাহাবক্স গাজীর ছেলে মৃত মোকছেদ গাজী তার জীবদ্দশায় ২০০২ সালে ২ সেপ্টেম্বর ইসলামকাটি সা:রেজিস্ট্রি অফিস হতে কলাপোতা মৌজার জে,এল নং-৯৯,৬৯৫ খতিয়ানের ১৪৪০ দাগের ২৭ শতক জমির মধ্য থেকে ১৩.৫ শতাংশ জমি খরিদ করেন,একই এলাকার মৃত তফেল গাজীর ছেলে হযরত আলী গাজীর নিকট থেকে। যার দলিল নং-৪৯৪৭। সেই থেকে তারা সেখানে বসত-বাড়ী নির্মাণপূর্বক বসবাস করে আসছেন। একপর্যায়ে ২০১০ সালে মোকছেদ আলীর মৃত্যু হলে তার স্ত্রী সখিনা খাতুন ১ মেয়ে ও ২ নাবালক ছেলেকে নিয়ে সেখানেই বসবাস করে আসছেন। তম্মধ্যে বড় মেয়ে অত্যন্ত কষ্ঠ করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি অনার্স শেষ করে মাস্টার্স পড়ছেন। অন্য দু’ছেলের একজন রায়হান পারভেজ ১০ম ও নাঈমুর রহমান ৩য় শেণীর ছাত্র।
সম্প্রতি একই কলাপোতা গ্রামের মৃত একব্বর শেখ এর ছেলে মো: আব্দুস ছাত্তার শেখ তাদেরকে জানান,তাদের বসত ভিটার জমি এখন তার। সরকারী সম্পত্তি হিসেবে তিনি ও তার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম সরকারের কাছ থেকে ঐ সম্পত্তির বন্দোবস্ত নিয়ে তাদের নামে রেকর্ডও সংশোধন করেছেন।
সখিনার দাবি,ছাত্তার গোপনে সরকারকে ভূল বুঝিয়ে উক্ত সম্পত্তি সরকারি মালিকানা দেখিয়ে তারা স্বামী-স্ত্রীর নামে বন্দোবস্ত নিয়ে তার রেকর্ড সংশোধন করিয়েছে। তিনি দাবি করেন,আব্দুস ছাত্তার শেখ স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইউএলএও’র সাথে যোগসাজসে তাদের কোন কিছু না জানিয়ে বিনা নোটিশে ঐসম্পত্তির বন্দোবস্ত ও রেকর্ড করিয়ে এখন তাদের রাস্তায় বের করে দিতে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সখিনা বলেন, তিনি উপজেলার ধলবাড়িয়া এন,কে মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় বিনা বেতনে প্রায় ২২ বছর চাকুরী করছেন। পাশাপাশি ছোঠ ছোঠ ছেলে-মেয়েদের সাথে নিয়ে কায়িক পরিশ্রম করে তাদের পড়া-লেখা করাচ্ছেন। সহায়-সম্বল বলতে স্বামীর রেখে যাওয়া মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ছাড়া তাদের আর কোন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি নেই। বসত-বাড়ী থেকে বের করে দিলে পথে বসা ছাড়া তাদের আর কোন গতি থাকবেনা।
এমন পরিস্থিতিতে তিনি বিষয়টি তদন্তপূর্বক জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক