ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিতে শালতা খনন বিলম্বিত

প্রকাশিত: ৮:২৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯ | আপডেট: ৮:২৩:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, তালা:
বহু প্রত্যাশিত শালতা নদী খননে শেষ মূহুর্তে জনপদের সাধারণ মানুষের আশার মাঝে নিরাশা দেখা দিয়েছে। একাধিক প্যাকেজ প্রকল্পে বাস্তবায়নাধীন খনন কাজে ঠিকাদারদের প্রকল্প সীমানা নিয়ে রশি টানাটানি,মতদ্বন্দ্ব,অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্নে থেকে শুরু করে নানা প্রতিকূলতায় গত ৩ মাস ধরে প্রায় আধা কি:মি: এলাকায় খননকাজ বন্ধ রয়েছে। এতে করে চলতি বর্ষা মৌসুমে বিস্তীর্ণ এলাকার পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে এলাকায় কৃত্রিম জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকার ফসলের ক্ষেত,মাছের ঘের ও নিম্নাঞ্চলের বসত-বাড়ি তলিয়ে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছেছে।
সমস্যা সমাধানে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। শতাধিক স্বাক্ষরিত ঐ আবেদনে বলা হয়েছে,উপজেলার ১২ নং খলিলনগর এলাকার বিস্তীর্ণ জনপদের পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম সোনামুখী কালভার্টের মুখে সালতার খনন কাজ বন্ধ থাকায় ঐ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে তারা তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে বিষয়টিকে পুঁজি করে একটি সুযোগ সন্ধানী মহল কতিপয় এলাকাবাসীকে ভূল বুঝিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে জলাবদ্ধতার জন্য স্থানীয় কতিপয় লোকদের বিরুদ্ধে নদী দখল করে সেখানে মাছ চাষকে দায়ী করেছেন।
সম্মেলনে হাজরাকাটির বাসিন্দা ওয়াদুদ সানা, মোসলেম উদ্দিন শেখ, রবিউল ইসলাম, জিয়াউর রহমান ও রেজাউল শেখ বলেন, তাদের পাঁচটি গ্রাম হাজরাকাটি,মহান্দি,নুরুল্লাহপুর,বারইহাটি ও নলতায় প্রায় ৬ হাজার মানুষের বসবাস এবং ঐ এলাকায় তাদের প্রায় দু’ হাজার বিঘারও বেশি ফসলি জমি রয়েছে। কৃত্রিম জলাবদ্ধতায় তাদের সেসব ফসল মার যেতে বসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন,বিস্তীর্ণ এলাকার পানি সোনামুখী গেট দিয়ে নিষ্কাশিত হয়ে শালতা নদীতে গিয়ে পড়ে। তবে তবে নদী খননে গেটের মুখ উঁচু হওয়ার পাশাপাশি নদীর মাঝ বরাবর বাঁধ দিয়ে মাছের চাষকে দায়ী করলেও বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। মূলত নদী খননের আগে স্থানীয়রা অরক্ষিত নদীতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করত। তবে সর্বশেষ নদী খননে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পেলে দখলদাররা যার যার মত ঐ এলাকার মাছ সেচ দিয়ে অথবা জাল দিয়ে উঠিয়ে নেয়।
মূলত ৯ টি প্যাকেজে ৭টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান দু’টি নদী খনন কাজ করছিল। সর্বশেষ তারা (ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান) নদীর সীমানা নিয়ে জটিলতা তৈরী করায় নিজেদের মধ্যে মতদ্বন্দ্ব তৈরী হলে এরই মধ্যে বৃষ্টির বাঁধা নেমে আসে।
এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন,মাটি নরম থাকায় তাদের খননকাজে ব্যবহৃত স্কেভেটরগুলি কাজ করতে না পারায় মূলত তারা কাজ করতে পারছেননা। অচিরেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেও দাবি তাদের।
এব্যাপারে অভিযুক্ত পরিমল ও বিধান এ প্রতিনিধিকে জানান,তারা যে ক’জন নদীর মধ্যে মাছ চাষ করেছিলেন তারা প্রায় ৪ মাস আগে সে মাছ উঠিয়ে নিয়েছেন। পানিবদ্ধতার বিষয়টিকে ইস্যু করে স্থানীয় একটি সুযোগ সন্ধানী চক্র তাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে। তারাও চাচ্ছেন,নদী খননপূর্বক এলাকাবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে এলাকাবাসীকে পরিত্রাণ দিতে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক