খাজরার ঋতুকে ভারত থেকে এনে নিজগ্রামে দাফন ও আশাশুনি সংবাদ

প্রকাশিত: ১০:০৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০ | আপডেট: ১০:০৫:অপরাহ্ণ, মার্চ ৩, ২০২০

খাজরার ঋতুকে ভারত থেকে এনে নিজগ্রামে দাফন

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার খাজরার ৭ বছরের শিশু কন্যা ফারহান জাহান ঋতুকে (৭) ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার পর নিজ গ্রামে এনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় নামাজে জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়।
ঋতু খাজরা ইউনিয়নের পিরোজপুর গ্রামের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী জাহিদ সরদারের মেয়ে। সে পিতামাতর সাথে ভারতে নানা বাড়ি গিয়েছিল। ২৯ ফেব্রুয়ারী বিকাল ৩টার দিকে ভারতের ঘোজাডাঙ্গায় মেইন সড়কে ট্রাকের ধাক্কায় ঋতু আহত হয়। স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মার্চ ভোর ৪টার দিকে মারা যায়। ২ মার্চ ঘোজাডাঙ্গার একটি হাসপাতালে নিহত শিশুটির ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলে তাকে দেশে আনা হয়। মঙ্গলবার পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাযা নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়। নামাজে ইমামতি করেন, মাওঃ নাইম বীন মুনির। শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন, খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ শাহনেওয়াজ ডালিম, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার জালাল মোড়ল প্রমুখ।

কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান

আশাশুনিতে ১২০ কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান

আশাশুনিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ১২০ কৃষককে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র মিলনায়তনে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) এর আওতায় ৩য় পর্যায়ে সক্ষমতা বৃদ্ধিমূলক (২য় ব্যাচ) প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুভ উদ্বোধন করেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রাজিবুল হাসান। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট সাতক্ষীরার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা অলি আহমেদ ফকির ও জেলা বীজ প্রত্যয়ন কর্মকর্তা ইয়াছমিন সুলতানা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আলহাজ¦ মাওঃ আশেক বিল্লাহ ও গীতা থেকে পাঠ করেন মিনতি রায়।

জলমহাল ও খাস জমি উদ্ধার

আশাশুনি ভাঙ্গাবিলে ২৫.৯৫ একর জলমহাল ও খাস জমি উদ্ধার

আশাশুনি সদরের বলাবাড়িয়া ভাঙ্গাবিলে ২৫.৯৫ একর জলমহাল ও খাস জমি লাল পতাকা উঠিয়ে সরকারি দখলে নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন পতাকা উত্তোলন পূর্বক খাস জমি ও জলমহাল চিহ্নিত করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, আশাশুনি বলাবাড়িয়া ভাঙ্গা বিলে আশাশুনির ১টি মৌজা ও বড়দুর্গাপুরের ৩টি মৌজায় ২৫.৯৫ একর সরকারি জলমহাল ও খাস জমি রয়েছে। উক্তজমি ইতিপর্বে মৎস্যজীবি সমিতি ও ভূমিহীনদের মাঝে ইজারা প্রদান করা হতো। ১৯৯৫ সালে পাউবো’র বেড়ী বাঁধ ভেঙ্গে এলাকা প্লাবিত হলে জমি নদীর সাথে একাকার হয়ে যায়। ১৯৯৮ সালে বিকল্প বাঁধ নির্মানের মাধ্যমে জমি ব্যবহার উপযোগিতা ফিরে পায়। পরবর্তীতে ঘের মালিকরা বেআইনী ভাবে দখল করে আসছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার নেতৃত্বে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে অনেক মাপজোক, শুনানী ও সরেজমিন তদন্ত শেষে বিষয়টি প্রশাসনের কাছে পরিস্কার হয়ে যায়। এরপর সরকারি সার্ভেয়ার, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা, স্থানীয় আমিন, ভূমি মালিকসহ রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও জন প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে সার্ভে করা হয় এবং জলমহাল ও খাস জমি চিহ্নিত করা হয়। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা সদর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ও এসি (ল্যান্ড) অফিসের সার্ভেয়ারকে নিয়ে সরেজমিন গিয়ে লাল পতাকা উত্তোলন করে জলমহাল ও খাস জমির সীমানা চিহ্নিত করে উদ্ধার কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। এসময় তিনি উপস্থিত ভূমি মালিক ও সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, জলমহাল ও খাস জমি লাল পতাকা টানিয়ে চিহ্নিত করা হলো। আপনারা এখন খাস জমির সীমানা বজায় রেখে স্ব-স্ব জমিতে বাঁধ দিয়ে মৎস্য চাষ ও ভোগদখলের কাজ করতে পারেন। খাস জমি সরকারি বিধি মোতাবেক ইজারা প্রদান করা হবে। যার ঘেরের মধ্যে জমি পড়বে তিনি যেন ইজারা গ্রহিতার হারির টাকা প্রদান করেন বা ইজারা গ্রহিতা নিজে ঘের করতে চাইলে তাকে সুযোগ দিতে হবে। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম মোল্যা, জাপা নেতা ইয়াহিয়া ইকবাল, শ্রমিকলীগ সভাপতি ঢালী মোঃ সামছুল আলম, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ কুমার বৈদ্য, ভাঙ্গাবিলের জমি উদ্ধার কমিটির আহবায়ক আশিকুজ্জামান, শিক্ষক কিশোরী মোহন, মেম্বার মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় ভূমি মালিকসহ সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

বড়দলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন প্রস্তুতি সভা

আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বড়দল ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বড়দল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি সুরঞ্জন কুমার ঢালীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বড়দল ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা। সভায় অন্যদের মধ্যে দৈনিক কাফেলা বড়দল প্রতিনিধি আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম, মেম্বার আঃ রশিদ, তরুন কান্তি সানা, মুজিবর সানা, নীলকণ্ঠ গাইন, ইউনিয়ন আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক আঃ রহমান ফকির, হারুন মালী, স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি আঃ আজিজ, নুরুজ্জামান মালীসহ আ’লীগ ও অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় ১৭ মার্চ সকালে কেক কাটা ও বিশাল র‌্যালী এবং বিকালে দোয়া মাহফিল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বড়দল রূপালী চত্বরে অনুষ্ঠান হবে।

ইটভাটায় মোবাইল কোর্টে ৩০ হাজার টাকা জরিমানাবড়দলে ইটভাটায় মোবাইল কোর্টে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

আশাশুনি উপজেলার বড়দলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এক ইটভাটা মালিককে জরিমানা ও ভাটার চিমনী ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর আলিফ রেজা বড়দল ইউনিয়নে এএসএস ইটভাটায় মঙ্গলবার দুপুর ১২.৩০ টার দিকে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এসময় ভাটা পারিচালনায় অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ২০১৩ এর ৪ ধারায় ভাটা মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সাথে সাথে ভাটার চিমনি ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এসময় এএসআই জাহাঙ্গীর, ইউপি চেয়ারম্যান আঃ আলিম মোল্যা, পিআইও সোহাগ খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শুরু ৯ মার্চ

আশাশুনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বছাই শুরু হবে আগামী ৯ মার্চ। চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় হতে যাচাই-বাছাই এর তফশীল ঘোষণা করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সদস্য সচিব মীর আলিফ রেজা স্বাক্ষরিত তফশীলে জানা গেছে, আশাশুনি উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের (অনলাইন ও সরাসরি দাখিলকৃত) যাচাই-বাছাই শুরু হবে ৯ মার্চ। এদিন খাজরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হবে। শোভনালী, কুল্যা, বুধহাটা, কাদাকাটি ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছ্ইা করা হবে ১০ মার্চ। ১১ মার্চ বড়দল ইউনিয়ন ও ১২ মার্চ দরগাহপুর, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯.৩০ টা হতে বেলা ১ টা এবং বেলা ২.৩০ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলবে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক