কেশবপুরে জনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ১০:৩৭ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০ | আপডেট: ১০:৩৭:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২০

মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে কালিয়ারই গ্রামের জনবসতিপূর্ণ এলাকার একটি পুকুর থেকে এক প্রভাবশালী ব্যক্তি জোরপূর্বকভাবে প্রায় ১ মাস ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে ওই পুকুর পাড়ের সরকারি রাস্তাসহ ১০টি বসতভিটা ও সদ্য রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেত। এ ঘটনায় এলাকাবাসি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিলেও বালু উত্তোলন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারী মাস থেকে উপজেলার কালিয়ারই গ্রামের রিশিপাড়া সড়ক পাকাকরণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার বাবুল আক্তার। রাস্তায় বালু সরবরাহের দায়িত্ব নেয় এলাকার প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম গাজী। গত ৭ জানুয়ারী থেকে তিনি কালিয়ারই সরকারি রাস্তার পাশের জনবসতিপূর্ণ এলাকার নলপুকুর থেকে বালু উত্তোলন শুরু করেন। এ সময় আশপাশের বসতভিটাসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় এলাকাবাসির পক্ষে ফারুক হোসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তিনি অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে উপজেলা সহকারী কমীশনার’কে (ভূমী) নির্দেশ দেন। এ নির্দেশনা পেয়ে বাউশলা ইউনিয়ন সহকারী তহশীলদার কার্তিক রায় সরেজমিনে গিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তিনি ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর আবারও বালু উত্তোলন শুরু করেন। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে সরকারি রাস্তাসহ আশপাশের ১৫টি বসতঘর হুমকির মুখে পড়েছে।

৩ ফেব্রুয়রী বেলা ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যে পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার চারপাশে জনবসতিপূর্ণ এলাকা। কালিয়ারই গ্রামে প্রবেশের একমাত্র সরকারি রাস্তার পাশেই নলপুকুর। এই পুকুর থেকে অবৈধভাবে বালূ উত্তোলন করে পাইপের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে রিশিপাড়া সড়কে। কিন্তু ঠিকাদার রাস্তার দু’পাশে যেনতেনভাবে বাঁধ দিয়ে বালুমিশ্রিত পানি ফেলায় রাস্তার দু’পাশে সদ্য রোপণকৃত বোরো ধান ক্ষেতে বালু জমে আলাল গাজী, শাহাবুদ্দীন, আবুল কাশেম, আবুল গাজী, কার্তিক পালসহ কমপক্ষে ১০/১২ জন কৃষকের ধান ক্ষেত নষ্ট হচ্ছে। ধসে নষ্ট হচ্ছে বসতভিটার জমি।

ফারুক হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২ বছর আগে নুরুল ইসলাম পেশীশক্তি বলে ওই পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করেছিল। ফলে তার বসতভিটাসহ রাস্তা ধসে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আবারও সে বালু উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় তিনি অভিযোগ দিয়েও কোন বিচার পাননি।
এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম বলেন, আমি বালু উত্তোলন করছি না। তার পুকুর থেকে অনুমতি নিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ঠিকাদার বাবুল আক্তার। আপনি তার সাথে কথা বলেন। ঠিকাদার বাবুল আক্তার বলেন, সরকারি কাজের জন্যে বালু ওঠানো হচ্ছে। তবে আজ (৩ ফেব্রুয়ারী) থেকে আর বালু ওঠানো হবে না।
উপজেলা সহকারী কমীশনার (ভূমী) এনামুল হক বলেন, এলাকা থেকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অবহিত করার পর বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/মশিয়ার রহমান


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক