কেশবপুরে ২শ ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

প্রকাশিত: ৬:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২ | আপডেট: ৬:৪৯:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার
যশোরের কেশবপুরে ২৯৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ৫৯টি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে শহীদ মিনার। বাকি ২৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার তৈরি করতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে জোর তাগিদ দিয়েও কাজ হয়নি। এ কারণে একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ওই সকল প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো থেকে বঞ্চিত হবেন।
 
এদিকে আন্তর্জাতিকভাবে শহীদ দিবসকে ২১ বছর আগে স্বীকৃতি দিলেও এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে শিক্ষা খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটলেও এখনো কেন দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই- এই প্রশ্ন সর্বসাধারণের মধ্যে দেখা দিয়েছে। এছাড়া ভাষা আন্দোলনের ৬৯ ও স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও ২৩৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়টি দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার মানুষরা।
 
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলায় ২৯৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৫৮টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৭২টি, মাদরাসা ৫২টি ও কলেজ রয়েছে ১২টি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৪টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩৮টি ও কলেজে ৭টি শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলার কোন মাদরাসায় এখনো শহীদ মিনার তৈরি করা হয়নি। যে ৫৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তার মধ্যে অনেকগুলিই নতুন করে সংস্কার করা হয়েছে।
 
কেশবপুর নাগরিক সমাজের আহবায়ক অ‍্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, সরকারিভাবে দিবসটি পালনের নির্দেশনা থাকায় স্থায়ী শহীদ মিনারের অভাবে একুশে ফেব্রুয়ারি উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা থেকে বঞ্চিত হবেন। 
 
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার তৈরির কার্যক্রম বাধাগ্রস্থ হয়েছে। যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে শহিদ মিনার নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে ফের জোর তাগিদ দেওয়া হবে।
 
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার তৈরিতে সরকারি বরাদ্দ না থাকায় প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এগুলো তৈরি করা হয়ে থাকে। মাতৃভাষা দিবসটি পালন করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেক্ষেত্রে প্রতিটি বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে বরাদ্দ দিয়ে যদি শহিদ মিনার নির্মাণ করা যায় তাহলে ভালো হয়।
 
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (ইউনেস্কো) একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে একযোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে দিবসটি।

আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর