আশাশুনির প্রতাপনগরে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে ভাঙন: আতঙ্গে এলাকাবাসী

প্রকাশিত: ১০:৫৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২২ | আপডেট: ১০:৫৮:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৫, ২০২২
সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধে হঠাৎ আকষ্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামে কপোতাক্ষ নদের বেডিবাঁধে হঠাৎ আকস্মিকভাবে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়ানুর রহমান। ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত বেডিবাঁধ সংস্কারে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।

 

স্থানীয় মাসুম বিল্লাহ জানান, গত অমাবস্যার সময় থেকে প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল গ্রামের কপোতাক্ষ নদ এলাকায় বেড়িবাঁধের প্রায় ২০০ ফুট স্থানজুড়ে আকস্মিকভাবে ভাঙন দেখা দিযেছে। কপোতাক্ষ নদের অব্যাহত ভাঙনে মূল বেডিবাঁধের একের তিনশ ফুট এলাকা অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে। ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে সামনের বর্ষা মৌসুমে ঝড় জলোচ্ছ্বাসে বাঁধ আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে। এতে ভেঙে যাবে বিস্তীর্ণ এলাকা, প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হবে ইউনিয়নটির একটি বড় অংশের।

 

এদিকে, প্রতাপনগর ইউনিয়নের শ্রীপুর, কুড়িকাহানিয় গ্রামের লঞ্চঘাটের উত্তর ও দক্ষিণ সীমানা এবং মাদারবাড়িযা খেয়াঘাটা সংলগ্ন এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিযেছে।

 

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) সকালে প্রতাপনগরের রুইয়অরবিল, কুড়িকাহানিয়া, সুভদ্রাকাটি, চাকলা, মাদারবাড়িয়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পরিদর্শন করেছেন আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াানুর রহমান। ভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবেল জানান।

 

প্রসঙ্গত: ঘুর্ণিঝড় আম্ফান ও ইয়াসের প্রভাবে কপোতাক্ষ ও খোলপেটুয়া নদীর বাঁধ ভেঙে জোয়ার-ভাটায় প্লাবিত হয়ে প্রায় দুই বছর প্রতাপনগর ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করেছে। সেজেন্য জরুরিভিত্তিতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এবং সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী ইউনিয়নবাসী।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স