আশাশুনিতে মুয়াজ্জিনকে মসজিদে অবরুদ্ধ ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার

প্রকাশিত: ৬:১১ অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০ | আপডেট: ৬:১১:অপরাহ্ণ, মে ১৩, ২০২০
আশাশুনিতে মসজিদের মুয়াজ্জিনকে ৫ ঘন্টা মসজিদে অবরুদ্ধ রাখায়, ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার। ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে জানা গেছে মঙ্গলবার ফজরের নামাজ শেষে উপজেলা সদর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা বাজার জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন মৃত দবির ঢালীর পুত্র মহাতাব উদ্দীন ঢালী নামাজ শেষে বাড়ী ফিরছিলেন। এমতাবস্থায় প্রতিপক্ষ মৃত জালাল উদ্দীন সরদারের পুত্র রুহুল কুদ্দুস (৫৫) (অবঃ সেনা সদস্য) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে পথ রোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। একপর্যায়ে রোজাদার মুয়াজ্জিনকে মারতে মারতে মসজিদের ভিতরে  ঢুকিয়ে বলে শালা তুই এর মধ্যে বসে থাকবি। এখন তোর ছেলেদের ডাক দেখি তোর কে বাঁচায়। বেলা পরিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে মুয়াজ্জিন মহাতাব ঢালীর পরিবারের লোকজন জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পৌছে জানালা দিয়ে দেখতে পায় মুয়াজ্জিন তার সঙ্গীয় মুসল্লী হামিদ খাঁ কে সাথে নিয়ে ঘরের মধ্যে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে বসে আছে।
এমতাবস্থায় মুয়াজ্জিনের স্বজনেরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশের কর্মকর্তার মুঠোফোনে নির্দেশক্রমে স্থানীয় ইউপি সদস্য সন্তোষ কুমার মন্ডল ও গ্রাম পুলিশ মহানন্দ মন্ডলের সহায়তায় মুয়াজ্জিনের পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়ী ফিরে নিয়ে যায়। মুয়াজ্জিন মহাতাব এর পুত্র আছাফুর রহমান ঢালী সাংবাদিকদের জানান, জালাল সরদারের পুত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রুহুল কুদ্দুস (৫০) এর ঘেরের কর্মচারী আব্দুস সালামের সাথে ন্যাশনাল আইডি কার্ডের ফটোকপি চাওয়া কেন্দ্রিক গত ৯ মে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে আছাফুর রহমান গংদের সাথে রুহুল কুদ্দুস গংদের কয়েক তরফা তর্কাতর্কি ও ধাক্কা-ধাক্কির ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের রূপ নেয়ার উপক্রম হলে উভয় পক্ষ থানায় সাধারণ ডায়েরী ও অভিযোগ দায়ের করেন। তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্রিক রুহুল কুদ্দুসের সঙ্গিয় লোকজন তার পুত্র সাজ্জাদ হোসেন (২৫) ও আরাফাত হোসেন (২৩) এবং রুহুল আমিন (৫০) নুর ইসলাম (৪৭) আতিয়ার রহমান গাজী (৫৫) ও রেজাউল মিস্ত্রী (৫০) সহ সঙ্গীয় ৫/৬ জন লোক দলবদ্ধ হয়ে মহাতাব উদ্দীন ঢালীসহ তার পুত্রদের মারপিট ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসব ঘটনার জের ধরে মুয়াজ্জিনকে প্রতিপক্ষ রুহুল কুদ্দুস গংরা মসজিদে ৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখে। এবিষয়ে অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য রুহুল কুদ্দুসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা কৌশলে এড়িয়ে যান। উক্ত ঘটনায় বহু অপকর্মের হোতা রুহুল কুদ্দুস গংদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন আহত মুয়াজ্জিন মহাতাব উদ্দীনসহ তার পরিবারের সদস্যরা ও এলাকাবাসীর।

আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স