আশাশুনিতে বিষমুক্ত সবজীসহ ভ্রাম্যমান বাজার উদ্বোধন

প্রকাশিত: ৯:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২০ | আপডেট: ৯:৩৫:অপরাহ্ণ, মে ১, ২০২০

আশাশুনি উপজেলায় করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে মানুষদের বাজারে গমন নিরুৎসাহিত করতে বিষমুক্ত সবজীসহ নিত্যা প্রয়োজনীয় পণ্যের ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আশাশুনি সদর ও শুক্রবার শ্রীউলা ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান বাজার কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসের তত্বাবধানে বিষমুক্ত সবজি ও উপজেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ভ্রাম্যমান বাজারের মালামাল ভ্যানযোগে বিভিন্ন ইউনিয়নে গ্রামে গ্রামে, বাড়িতে বাড়িতে পৌছে দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বৃহস্পতিবার আশাশুনি সদর ইউনিয়নে বাজার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক এমপির নির্দেশনায় আশাশুনি উপজেলা যুবলীগের উদ্যোগে একাধিক ইউনিয়নে ভ্রাম্যমান বাজার চালু করা হয়েছে। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে থানার সামনে ভ্রাম্যমান বাজারের শুভ উদ্বোধন করেন, আশাশুনি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আব্দুস সালাম। এসময় উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মহিতুর রহমান, থানা ওসি (তদন্ত), এস আই হাসানুজ্জামান, এস আই মানুন, এস আই বিল্লাল, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তৌষিকে কাইফু, যুবলীগ নেতা সাহেব আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে বিশেষ দোওয়া পরিচালনা করেন, থানা মসজিদের পেশ ঈমাম ও আশাশুনি সরকারি কলেজের প্রভাষক বাকী বিল্লাহ।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আশাশুনির রোজার বাজারে নিত্য পণ্যের দাম ওঠানামা করছে

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ও পবিত্র রমজান মাসের শুরুতেই বাজারে নিত্য পণ্যের মূল্য ওঠানামা করছে। বেশ কিছু জরুরী পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলেও আবার অনেক পণ্যে মূল্য স্থিতিশীল রয়েছে বা কমেছে।
করোনা ভাইরাসের কারনে কিছু কিছু পণ্যের আমদানী সমস্যার কারনে মূল্যবৃদ্ধির ঘটনা ঘটলেও অধিকাংশ পণ্য এলাকায় উৎপাদন ও সরবরার থাকায় মূল্য স্থিতিশীল বা কোন কোনটির মূল্য কমে গেছে। তবে পবিত্র রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশী সেসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটেছে। মূল্য বৃদ্ধিপ্রাপ্ত পণ্যের মধ্যে আদা আগে ছিল ২৫০ টাকা, বর্তমানে ৪৫০ টাকা, টমেটো আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২৪ টাকা, বেগুন আগে ছিল ৩০ টাকা এখন ৫০ টাকা, পোল্ট্রি মুরগী (আস্ত) আগে ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে ১৩০ টাকা, প্যারিস মুরগি আগে ছিল ১৩০ টাকা, বর্তমানে ১৭০ টাকা, আটা আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২৫ টাকা, ময়দা আগে ছিল ৩৬ টাকা, বর্তমানে ৩৮ টাকা, চিনি আগে ছিল ৬৩ টাকা বর্তমানে ৬৬ টাকা, ছোলা আগে ছিল ৭০ টাকা বর্তমানে ৭৮ টাকা, হলুদ আগে ছিল ১৬০ টাকা বর্তমান ১৮০ টাকা, শুকনা ঝাল আগে ছিল ২৮০ টাকা বর্তমানে ৩৬০ টাকা, ইরানী জিরা আগে ছিল ৪০০ টাকা বর্তমানে ৫০০ টাকা, ইন্ডিয়ান জিরা আগে ছিল ৩০০ টাকা বর্তমানে ৪৮০ টাকা, গোলমরিচ আগে ছিল ৪০০ টাকা বর্তমানে ৪৫০ টাকা, মুড়ি আগে ছিল ৬৫ টাকা বর্তমানে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা ঝাল আগে ছিল ৩৫ টাকা বর্তমানে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে। খেজুর, আঙ্গুর, আপেল, মালটাসহ ফলফলাদির মূল্যও অনেক বেশী হয়েছে। তবে যেসব পণ্যের মূল্য কমেছে তার মধ্যে দেশি পেঁয়াজ আগে ছিল ৫৮ টাকা, বর্তমানে ৪৫ টাকা কেজি, রসুন আগে ছিল ১১০ টাকা, বর্তমানে ১১০ টাকা, লুজ সয়াবিন তেল আগে ছিল ৯৩ টাকা বর্তমানে ৯৩ টাকা, সুপার সয়াবিন আগে ছিল ৮৫ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, মশুর ডাল আগে ছিল ৯০ টাকা বর্তমানে ৮৫ টাকা, মুরগির ডিম আগে ছিল ৩২ টাকা হালি বর্তমানে ২৪ টাকা হালি, পটল আগে ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে ২০ টাকা, উচ্ছে আগে ছিল ৪০/৫০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, আলু আগে ছিল ২২ টাকা বর্তমানে ২২ টাকা, মিষ্টি কুমড়া আগে ছিল ২০ টাকা বর্তমানে ১২ টাকা, সজিনা আগে ছিল ৮০ টাকা বর্তমানে ৮০ টাকা, খেরাই আগে ছিল ৫০ টাকা বর্তমানে ৩০ টাকা, কাঁচকলা আগে ছিল ২৫/৩০ টাকা বর্তমানে ২৫/৩০ টাকা, পুইশাক আগে ছিল ১৫ টাকা বর্তমানে ১০/১২ টাকা কেজি দরে বিক্রয় হচ্ছে।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স