১০ বছরেও সংস্কার হয়নি কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়কটি: জনদুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত: ১২:০১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০ | আপডেট: ১২:০১:অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৫, ২০২০

মশিয়ার রহমান:
যশোরের কেশবপুরে মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি মধু সড়কটি দীর্ঘ ১০ বছরেও সংস্কার হয়নি । জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক জুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ভারি পণ্যবাহী ট্রাক-লরি চলাচল করার সময় সড়কের গর্তে আটকে গিয়ে সীমাহীন যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সংস্কারের নামে প্রতিবছর মধুমেলার আগে লাখ লাখ টাকা ব্যয়ে ওই সড়কের গর্ত খোয়া দিয়ে ভরাটসহ ম্যাকাডাম করে সংস্কার কাজ শেষ করে বলেই সড়কটির এই বেহাল দশা। ভূক্তভোগীরা সামনের মধুমেলার আগেই সড়কটি সংস্কারে জোর দাবি জানিয়েছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

কেশবপুর থেকে ১৩ দশমিক ১০০ কিলোমিটার দূরে মহাকবির জন্মস্থান সাগরদাঁড়ি পর্যন্ত সড়কটি কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়ক নামে পরিচিত। এ সড়ক দিয়ে বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে থাকেন। সাতক্ষীরা যেতে হাইওয়ের চেয়ে প্রায় ২৫ কিলোমিটার পথ কম হওয়ায় যশোর সাতক্ষীরা থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন যাতায়াতে সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমি সাগরদাঁড়িতে দেশী-বিদেশী পর্যটকসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেশ বরেণ্য কবিভক্ত ও স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থীরা বনভোজনে আসেন। এছাড়া ২০১৮ সালে নির্মিত যশোর পুলেরহাট ভায়া কুমিরা সড়কটি সাগরদাঁড়ির মধুপল্লীর পাশ দিয়ে চলে গেছে। এসব কারণেই সড়কটি আরও জনগুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে ইটের খোয়া উঠে গিয়ে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। ফলে বাধ্য হয়ে জনগণকে বিকল্প পথে ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার ঘুরে কেশবপুর শহরসহ অন্যান্য স্থানে যেতে হচ্ছে। এদিকে মধুকবির জন্মভূমি সাগরদাঁড়ি পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায় ৩ বছর আগে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন সড়কটি প্রশস্থ ও পুণনির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ সময় এলজিইডি হাল ছেড়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত অজ্ঞাত কারণে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনও মুখ ফিরিয়ে নেয়। ফলে দোটানায় পড়ে সড়কটির সংস্কার অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুনছুর আলী বলেন, সড়কটি সংস্কারে প্রাথমিকভাবে ৪৪ কোটি টাকা বাজেট ধরা হয়েছে। এর মধ্যে মূল সড়কের জন্যে ২৪ কোটি টাকা ও জমি অধিগ্রহণের জন্যে ২০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই সড়ক উন্নয়নের জন্যে টেন্ডার আহবান করা হয়েছিল এবং অর্থ বরাদ্দ করা হয় ৭ কোটি টাকা। কিন্তু ঠিকাদাররা অংশ না নেয়ায় টেন্ডার বাতিল করে পুনরায় টেন্ডারের অপেক্ষায় রয়েছে।

সুন্দরবনটাইমস.কম/নিজস্ব প্রতিবেদক/কেশবপুর(যশোর)

 


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক