সাতক্ষীরার বানিজ্যকেন্দ্র পাটকেলঘাটা বাজারের রাস্তাগুলোর করুণ দশা: দেখার যেন কেউ নেই

প্রকাশিত: ২:০২ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০১৯ | আপডেট: ২:০২:পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

মো: মুজিবুর রহমান:
সাতক্ষীরা জেলার বাণিজ্যিক রাজধানী হিসাবে খ্যাত পাটকেলঘাটা বাজার কিন্তু পাটকেলঘাটা বাজারের আজ করুণ দশা। বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা গুলো সচল না থাকার কারনে অল্প বৃষ্টিতেই বাজারের নিচু এলাকা গুলো পানিতে তলিয়ে যায়। সরকারী নিয়মনিতি তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা দোকান ঘর বাসাবাড়ি নির্মান করায় পানি চলাচলের পথ গুলো বন্ধ করে রেখেছে। স্থানীয় সূত্র ও সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার অন্যতম বাণিজ্যিক নগরী পাটকেলঘাটা হাটবাজার। এ বাজারে ছোট বড় প্রায় ২ হাজারের অধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কের পাশে কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত। এখানে পশুরহাট এবং কাঁচা সবজির ধান চাল, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রীর বিখ্যাত হাটবাজার। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে বিভিন্ন প্রকার পণ্য সামগ্রী আমদানী রপ্তানী হয়ে থাকে। বাজারের অধিকাংশ সড়কের বিভিন্ন স্থানে ইট পিচ খোঁয়া উঠে গিয়ে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে সাধারন মানুষ যাতায়াত ও পণ্য সামগ্রী আমদানী রপ্তানী করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে এ হাটবাজারে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন প্রয়োজনীয় ড্রেনেজ ব্যবস্থা। সামান্য বৃষ্টিতে অধিকাংশ সময় হাটু পানি জমে থাকে এ সড়কের উপর। ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল থাকার কারণে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ রয়েছে চরম ভোগান্তিতে। যেন বিষয়টি দেখার কেউ নেই! এর প্রভাব পড়ছে সরকারের রাজস্ব আয়ের উপর।
কপোতাক্ষ নদের তীরে এই বাজারটির অবস্থান থাকায় বহু দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা যেমন নদী পথে তেমনি স্থলপথে এই বাজারে ব্যবসা বাণিজ্যের উদ্দেশ্যে আগমন করেন। পাটকেলঘাটা থেকে প্রতিদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে পরিবহনের মাধ্যমে পান, মিষ্টি, শাক-সবজি, মাছ ইত্যাদি রাজধানীতে যায় কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য এই বাজারের প্রত্যেকটি রাস্তা-ঘাট আজ চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। রাস্তাঘাটের দুরাবস্তার কারনে দুরদুরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এখন আর ব্যবসা করতে আসে না।বাজারের প্রাণ কেন্দ্র হলো পাঁচ রাস্তা মোড় কিন্তু এই মোড়েই বড় বড় খানা খন্দকদিয়ে শুরু। ষ্টীলের ফার্নিচারগুলো জনতা ব্যাংক রোডে অবস্থিত। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কাঁদা পানিতে পরিপূর্ণ থাকে এই রাস্তা। এই রাস্তা বর্ষা এবং গরমকাল দুটিই সমান। পল্লী বিদ্যুৎ রোডের এমন কোন যায়গা নেই যেখানে নদীর মত পানি প্রবাহিত হচ্ছে না। হাই-স্কুল রোড, যে রোডে প্রতিদিন কোমল মতি ছাত্র-ছাত্রীরা খানা খন্দকের মধ্যদিয়েই স্কুলে যাতায়ত করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরেই। টাওয়ার রোড, যে রোডে বিভিন্ন শাক-সবজির চারা বিক্রয় হয়, বিভিন্ন গার্মেন্টস দোকান,বীজের দোকানও অবস্থিত কিন্তু এ রাস্তাটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এছাড়া পুরাতন জনতা ব্যাংক রোড,পুলিশফাড়ি রোড,বলফিল্ড রোড, গেডাউন রোড,কলেজ রোড গুলো অবস্থিত । প্রতি বছর কয়েকলক্ষ টাকার রাজস্ব আদায় হয় এই পাটকেলঘাটা বাজার থেকে কিন্তু উন্নয়নের ছোয়াতো একটু প্রয়োজন? জন সাধারনের ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে অতিদ্রুত এই বাজারের রাস্তাঘাট গুলির জরুরী ভিত্তিতে সংষ্কারের প্রয়োজন। তাহলে জনগণের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাঘব হবে। রাস্তাগুলো সংস্কারের জন্য সরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান গতকাল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/মো: মুজিবর রহমান/পাটকেলঘাটা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক