সাতক্ষীরার আশাশুনিতে পুলিশ ও ডালিম বাহিনীর হামলায় দুই আওয়ামী লীগ পরিবার ক্ষতিগস্ত

প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯ | আপডেট: ৯:২১:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩০, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পুলিশের সহায়তায় আশাশুনির খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিম সমর্থক বাহিনীর হাতে ভাংচুর হয়েছে কাপসন্ডা গ্রামের দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িঘর ও ঘেরের বাসা। মামলার আসামি ধরার নামে এই তান্ডব চালানোর সময় তারা ঘোষনা দিয়েছে যুবলীগের রমজানের নামে মামলা রয়েছে। তাকে ধরে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। অপরদিকে ইউনিয়ন শ্রমিক লীগ নেতা রায়হানুদ্দিন সরদার খোকা শুক্রবারের মধ্যে সাতক্ষীরায় ডিবি অফিসার রিয়াদুল ইসলামের সাথে দেখা না করলে ক্ষতি হবে বলেও জানায় তারা।
বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় একটি মাইক্রোবাস ও দুটি মাহিন্দ্র নিয়ে পুলিশ ও ডালিম বাহিনী যৌথভাবে হামলার ঘটনা ঘটায় বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্থ দুটি পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীদের।
খাজরা ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রমজান আলি জানান, ঈদ উপলক্ষে সরকারের দেওয়া ভিজিএফএর কয়েক বস্তা চালসহ আরিফ গাজি নামের এক ব্যক্তি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এ ঘটনায় আরিফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়। তারা সবাই রমজানের প্রতিপক্ষ খাজরা ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ ডালিমের কর্মী ও সমর্থক। আরিফ গাজিকে রমজান আলি ধরিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত ২২ আগস্ট ডালিম সমর্থক চেউটিয়া গ্রামের কবির হোসেন ও বিএনপি নেতা সাত্তার গাজি তাদের সহযোগীদের নিয়ে রমজানের ওপর হামলা করে। এতে রমজানসহ উভয়পক্ষের ১৫ জন আহত হন।
রমজান জানান, তিনি এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দিলেও পুলিশ তা রেকর্ড করেনি। অপরদিকে ডালিম সমর্থকদের দেওয়া মামলাটি রেকর্ড করা হয়। এতে আসামি হন যুবলীগ নেতা রমজান আলি ও শ্রমিক লীগের প্রচার সম্পাদক রায়হানুদ্দিন সরদার খোকাসহ ১৬ জন। তিনি আরও জানান, এই মামলায় তারা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে আশাশুনি থানায় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। এই মামলাকে কেন্দ্র করে গোয়েন্দা পুলিশ ও ডালিম সমর্থক বাহিনী তার বাড়ি ও মাছের ঘের এবং খোকার বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে। গোয়েন্দা পুলিশ এ সময় রমজানের মোটর সাইকেলটিও নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি বলেন, বাড়ির ব্যবহৃত মূল্যবান জিনিসপত্র , রাইস কুকার, গ্যাসচুলা ,সোলার প্যানেল ভাংচুর করার সময় তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে, রমজানকে ক্রসফায়ারে দেওয়া হবে। অপরদিকে, রায়হানুদ্দিন সরদার খোকার বাড়িতে বলা হয়েছে শুক্রবারের মধ্যে দেখা না করলে তার ক্ষতি হবে। রমজান জানান, তিনি পুরো বিষয়টি খুলনার ডিআইজি, সাতক্ষীরার এসপি ও আশাশুনি থানার ওসিকে অবহিত করেছেন। জামিনে থাকার পরও পুলিশ ও ডালিম বাহিনী হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
দুই আওয়ামী লীগ নেতার বাড়ি ও ঘেরে হামলা ও ভাংচুর সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, আমরা তাদেরকে ২০৯/১৯ নম্বর মামলায় ধরতে গিয়েছিলাম। তার মোটর সাইকেলটি গোয়েন্দা পুলিশের কাছে রয়েছে। তবে রমজানকে ক্রসফায়ারের হুমকি এবং হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক