মোংলায় সুন্দরবনে ইলিশ ধরার প্রস্তুতিকালে জালসহ দু’টি নৌকা আটক

প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০ | আপডেট: ১১:৪১:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৫, ২০২০

সুন্দরবনের পশুর নদী থেকে চলতি সময় নিষিদ্ধ ইলিশ ধরার জালসহ দু’টি নৌকা আটক করেছে বন বিভাগ। মঙ্গলবার গভীর রাতে বন বিভাগের নন্দবালা অফিস সংলগ্ন পশুর চ্যানেল থেকে মাছ ধরার এ নৌকা ও জাল জব্দ করা হয়। জাল দিয়ে অবৈধভাবে বনের গহিনে গিয়ে ইলিশসহ অন্যান্য প্রজাতির মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে নৌকা নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিকালে নৌকা ও জাল জব্দ করা হয়। এ সময় অবশ্য বন রক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকায় থাকা জেলেরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এদিকে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের ২২ দিন মোংলার সব বরফ কল বন্ধ থাকার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না স্থানীয় বরফ কল মালিকরা।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

পুর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ষ্টেশন কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান সংবাদদাতাকে জানায়, বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে দেশব্যাপী ২২ দিনের জন্য ইলিশ ধরা বন্ধ ঘোষনা করে সরকার। এ ছাড়া সুন্দরবনের নদ নদীতে ইলিশ ছাড়াও অন্যান্য মাছ ধরাও নিষিদ্ধ করা হয়। যার ফলে সুন্দরবন ও সাগরে অন্য প্রজাতির মাছ আহরনের জন্য বন বিভাগ থেকে পাশ-পারমিট ১৪ আক্টোর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার গভীর রাতে একদল জেলে সংঘবদ্ধ হয়ে সুন্দরবনের গহিনে মাছ ধরার জন্য একত্রিত হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চাঁদপাই ষ্টেশনের বনরক্ষীরা পশুর নদীতে অভিযানে গেলে নন্দবালা টহল ফাড়ী অফিস সংলগ্ন এলাকায় দু’টি নৌকা দেখতে পায়। এসময় বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে নৌকা ফেলে জেলেরা পালিয়ে যায়। নৌকায় থাকা বেশ কিছু ইলিশ ধরার কারেন্ট জাল ও অন্যান্য সরঞ্জামসহ দু’টি নৌকা আটক করে। আটকের পর বুধবার সকাল ১১টার দিকে জালগুলো পুড়িয়ে এবং নৌকা দুটিকে ভেঙ্গে ধ্বংস করা হয়েছে। ইলিশ ধরার নিষিদ্ধ এ ২২দিন বন্ধ থাকা ছাড়াও সুন্দরবনে অবৈধভাবে সকল প্রকার মৎস্য সম্পদ আহরনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায় বন বিভাগের এ কর্মকর্তা।

এদিকে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধের ২২ দিন মোংলার সব বরফ কল বন্ধ থাকার সরকারী নির্দেশনা থাকলেও তা মানছে না স্থানীয় বরফ কল মালিকরা। এ ব্যাপারে মোংলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ জাহিদুল ইসলাম বলেন, বরফ কল মালিকদের শুধু মাত্র স্থানীয় বাজারে ইলিশ ব্যতিত অন্যান্য মাছে বরফ সরবরাহ করতে বলা হয়েছে। কেউ যদি নৌকা বা ট্রলারে করে বরফ সরবরাহ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।তবে কেউ কেউ জানিয়েছে বরফ কিনে কে কোন মাছে দিবে তা জানা কষ্টকর ও হাস্যকর বটে।

 


আপনার মতামত লিখুন :

ম.ম. রবি ডাকুয়া। প্রতিবেদক। বাগেরহাট, খুলনা