প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ১:৫৯ অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২০ | আপডেট: ১:৫৯:অপরাহ্ণ, মে ২৬, ২০২০

“পাটকেলঘাটায় কাজের মেয়ে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার: এতিম মেয়েটি হাসপাতালে কাতরাচ্ছে”
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

গত ২৫/০৫/২০২০ইং তারিখে বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সামাজিক গনমাধ্যম ফেসবুকে “পাটকেলঘাটায় কাজের মেয়ে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার: এতিম মেয়েটি হাসপাতালে কাতরাচ্ছে”- শিরোনামে যে সংবাদটি প্রকাশিত হয়েছে সেটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদে আমার নাম উল্লেখ করে যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সেটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিক্তিহীন। সাংবাদিকদের ভূল তথ্য দিয়ে একটি কুচক্রি মহল এহেত সংবাদ প্রকাশ করিয়েছে।

মূলত; আমি একজন প্রকৌশলী ও আমার স্ত্রী একজন এমবিবিএস ডাক্তার। আমরা স্বামী-স্ত্রী ঢাকাতে কর্মরত আছি। যে কারনে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকায় চাকরী করার কারনে নিজ বাসা পাটকেলঘাটাতে ছুটি ছাড়া আসা হয় না। গত কিছু দিন আগে আমার শাশুড়ী মারা যাওয়ার কারনে আমি বাসায় দেখতে আসি। হঠাৎ মহামারী করোনাভাইরাস(কোভিড-১৯) এর কারনে আর ঢাকায় না যাওয়ায় আমি বাড়ীতে অবস্থান করছি। বাসায় থাকার কারনে আমার মা ও ছোট ভাই আব্দুল্লাহ মিলে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছে।

আমার মায়ের অমতে আমার পিতা আমাকে বিয়ে দেওয়ায় আমার মা আমার স্ত্রীকে মেনে নিতে পারে নাই। যার ফলে প্রতিনিয়ত আমার এবং আমার স্ত্রীর উপর মানসিকভাবে নির্যাতন করে আমাদের বাড়ীর কাজের মেয়েকে দিয়ে। আমাদের বাসার কাজের মেয়েটি মানসিকভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন হওয়ায় আমার মায়ের শিখানো বিষয়গুলো নিয়ে কাজের মেয়ের অত্যাচার এর প্রতিবাদ করতে গেলে, আমার মা আমাকে উক্ত কাজের মেয়েকে ধর্ষণ এর অভিযোগ দিয়ে আমাকে ফাসিয়ে দিবে এবং আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বাড়ী থেকে বিতাড়িত করবে বলে বিভিন্নভাবে হুমকী দিয়ে আসছে। যার প্রেক্ষিতে আমি নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৬/০৪/২০২০ইং তারিখে পাটকেলঘাটা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করতে গেলে থানা পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মীমাংষার জন্য আমার পিতার উপর দায়িত্ব দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে উক্ত বিষয়ে কোন সমাধান করতে পারি নাই আমার পিতা।

গত ২৫/৫/২০২০ইং তারিখে আমার স্ত্রী ময়লা ফেলার জন্য বাড়ীর গেটের বাইরে গেলে কাজের মেয়ে রানী গেটটি আটকে রেখে চলে যায়। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার মা ও ছোট ভাই আব্দুল্লাহ কাজের মেয়েকে দিয়ে গেট বন্ধ করে আমার স্ত্রীকে কষ্ট দেওয়ার জন্য। তখন গেটের বাহির থেকে প্রায় আধা ঘন্টা ডাকাডাকি করেও উক্ত গেট কেউ খুলে দেয় নাই। পরবর্তীতে আমার বড় পুত্র ওসমান আমার স্ত্রীর চিৎকার শুনতে পেয়ে এসে গেট খুলে দেয়। আমি তখন আমাদের বাড়ীর দ্বিতীয় তলায় অবস্থান করছি। পরবর্তীতে আমি নিচে এসে সবকিছু শুনে বুঝে কাজের মেয়ে রানীকে এহেন কর্মকান্ডের জন্য বকাঝকা করিতে থাকি। এমতাবস্থায় আমার মা এসে আমাকে ঘরঝাড়– দিয়ে অনেক প্রহর করে। আমার মা ও ছোট ভাই আব্দুলাহ কাজের মেয়ে রানীকে মেরে হাসাপাতালে ভর্তি করে আমাকে দোষারোপ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এহেন কর্মকান্ড ঘটিয়েছে।

প্রকাশিত সংবাদের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কপি দেখতে ক্লিক করুন:

-প্রকৌশলী খালেদ সাইফুল্লাহ
পিতা: ডাঃ বরকত উল্লাহ
পাটকেলঘাটা হাইস্কুল রোড, পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স