পাটকেলঘাটা-টু-দলুয়া সড়ক এখন মরাগাছের জন্য মৃত্যুফাঁদ

প্রকাশিত: ৮:৩৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৩৫:অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১০, ২০১৯

আবু হোসেন:
সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা-টু-দলুয়া সড়কের দু’ধারে কয়েক হাজার মরাগাছ থাকায় চলতি কালবৈশাখী ঝড়মৌসুমে চরম নিরাপত্তাহীনতায় পথচারী ও আবাসিক বাসিন্দারা। ইতিমধ্যে কয়েকদফা ঝড়ে মরাগাছ ভেঙে আচিমতলা এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ঘরের টালীর চালের উপর পড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে গত ৬ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় কালবৈশাখীর তান্ডবে ঐ রাস্তার পথচারী খলিষখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সোহেল আহম্মেদ হাজরাপাড়া নামক স্থানে পৌছালে একটি মরাগাছ তার মোটরসাইকেলের উপর পড়লে তিনি মারাত্মক আহত হয়েছেন। সাথে তার মোটরসাইকেলেও ক্ষতি হয়েছে। একইভাবে আচিমতলা এলাকার বাসিন্দা আব্দুস সোবহান জানিয়েছেন, বেশিরভাগ গাছের গোড়া পোকে নষ্ট করে দেয়ায় গাছের কান্ড তার ওজন ধরে রাখতে পারছে না। ফলে একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই জীবিত গাছও পড়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতির ভিত্তিতে সরেজমিন সড়কটিতে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা গেছে পাটকেলঘাটার আচিমতলা হতে হাজরাপাড়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত দু’ধারে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার গাছ রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ রোডশিশু মরে শুকিয়ে পচন ধরেছে। একইভাবে হাজরাপাড়া হতে দলুয়া বাজার পর্যন্ত কিছু স্থানে স্বল্প গাছ ও দু’পাশে আবাসিক ঘরবাড়ি রয়েছে। ঘরবাড়ির পাশেই মরাগাছ আকাশ ছুই ছুই অবস্থা। খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েকটি উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ যাতায়াত করে। ফলে পথচারী ও আবাসিক বাসিন্দারা রয়েছে চরম জীবনের ঝুঁকিতে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ সড়কটি সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ গাছের ঠিকমতো পরিচর্যা না করায় অযতœ অবহেলায় বেশিরভাগ গাছ মরে গিয়ে এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। এবিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্য কাজী নজরুল ইসলাম হিল্লোলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জানাতে। জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃত সেলফোনে বারবার যোগাযোগ করে সংযোগ পাওয়া যায়নি। সাধারণ অধিবাসী ও পথচারীদের দাবী অচিরেই মরাগাছগুলো কর্তন করা হলে মৃত্যুর ফাঁদ হতে মুক্তি পাবে পথচারী ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সড়কের খলিষখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোজাফ্ফার রহমান এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, গাছগুলো কর্তনের জন্য বারংবার জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না।
এ বিষয়ে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া আফরিন জানিয়েছেন, মরাগাছগুলি অপসারণের জন্য কয়েকদফা চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে জেলা পরিষদে। কিন্তু জেলা পরিষদ ব্যবস্থা না নিলে আমার কিছু করার নেই।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক