তালা উপজেলায় ১শ ৮৭টি পূজা মন্ডপে শুরু হচ্ছে শারদীয় দূর্গা পূজা

প্রকাশিত: ৮:২৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯ | আপডেট: ১১:১২:অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২, ২০১৯

ডেক্স রিপোর্ট:
হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। আজ (৩ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার মা দুর্গাদেবীর বোঁধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মাধ্যমে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, বাঁশি বাজিয়ে মন্ডপগুলিতে পূজা শুরু করবে। শাস্ত্রীয় পন্ডিতরা বলছেন, ৩রা অক্টোবর বৃহম্পতিবার মহাপঞ্চমীর মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হবে দূর্গোৎসব। এবার দেবী মায়ের আগমন ঘোটকে(ঘোড়ায়) দেবী দূর্গার গমন মোটেও ভালো ফল নয় বলে দাবী শাস্ত্রষজ্ঞদের।
পূজার প্রথম দিন থেকে মন্ডপে মন্ডপে ঢাক-ঢোল, কাঁশি, বাঁশি আর উলুধ্বনিতে মুখরিত হবে আকাশ-বাতাস। পূজা মন্ডপ গুলো সাজানো হয়ছে নতুন নতুন সাজে। আলোক সজ্জ্বায় সজ্জ্বিত করা হয়েছে প্রতিটি মন্ডপ। এদিকে আসন্ন দুর্গোৎসবকে ঘিরে তালা উপজেলা সহ পাটকেলঘাটার জনপদে আনন্দের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দূর্গা উৎসব পালনে অনেকে নতুন জামা-কাপড়সহ ঘরের প্রয়োজনীয় যাবতীয় জিনিসের কেনা-কাটা করেছে।
পাটকেলঘাটা পারকুমিরা হরিসভা পূজা মন্ডপের পুরোহিত বিশ্বজিৎ চক্রবর্তি ও প্রতিমা শিল্পীরা জানান, সময় যেহেতু আর নেই তাই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবিরাম কাজ করে চলেছেন তারা। তাছাড়া নিখূঁত মূর্তি তৈরীতে করণীয় সব রকম উপকরণ ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবারের অন্যরাও এ কাজে তাদের সহযোগিতা করছেন। দূর্গাপূজাকে সামনে রেখে প্রতিমার মাটির কাজ শেষে রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমাগুলো জীবন্ত করে তুলছেন তারা। এসব প্রতিমার কাজ গুলো ষষ্ঠির আগে শেষ করতে হবে।
জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি বিশ্বজিৎ সাধু জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দর্শকদের মন আকর্ষণের জন্য পূজা মন্ডপগুলিকে ভিন্ন আঙ্গীকে সাজানো হয়েছে। দর্শনার্থীদের দেখার জন্য পূজা মন্ডপে সার্বিক নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা বিধানে সার্বক্ষণিক সচেষ্ট আছে। ২০জনকে স্বেচ্ছাসেবক বানিয়ে তাদের পরিচিতির জন্য নির্দিষ্ট ব্যাজ প্রদান করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক পূজা মন্দির প্রাঙ্গণ তদারকি করবেন। যাতে কোনভাবে অপ্রীতিকর ঘটনা কেউ ঘটাতে না পারে।
উপজেলা চেয়ারম্যান ও পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ঘোষ সনৎ কুমার জানান, সমগ্র উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠান পালনের জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলার ১শ ৮৭টি পূজা মন্ডপের অনুকুলে সরকারিভাবে ৯৩.৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায়, প্রতি বছরই সার্বজনীনভাবে দুর্গোৎসব উদযাপন করা হয়। সকল ধর্মের মানুষের অংশগ্রহনে উৎসবটি প্রানের উৎসবে রূপ নেয়। তাই সব ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে দূর্গোৎসবকে শান্তিপূর্ণ করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিমা তৈরি থেকে ৮ অক্টোবর বিসর্জন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা বলবৎ থাকবে। এছাড়া প্রতিটি পূজামন্ডপের পূজা কমিটি নেতাদের সাথে মতবিনিময় শেষে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/মো: মুজিবর রহমান/পাটকেলঘাটা/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক