তালা উপজেলার সম্মনডাঙা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ বছরের ৯ মাস থাকে পানি ভর্তি

প্রকাশিত: ৫:১০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২ | আপডেট: ৫:২১:অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২২

সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ১৪৩নং সম্মনডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বছরের ৯ মাস কচুরি পানাযুক্ত হাটু পানিতে ভর্তি থাকে বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধাণ শিক্ষক। তিনি জানান, বিদ্যালয়ে নেই দরজা-জানালা। পাঠদান কার্যক্রম চলছে নানা সংকট নিয়ে। নেই উপযুক্ত বিদ্যালয় ভবন। এতে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান। ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থী। অনেক কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ফেরাতে হচ্ছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয় ভবন। কিন্তু ২০১৪ সালে বন্যায় স্থায়ী জলবদ্ধতার কবলে পড়ে।  ভবনের ছাদের পলেস্তারা ধসে পড়ছে ও পুরো ভবন ও মাঠে হাটু পানি দেখা যায়। তাই বিকল্প ব্যবস্থা স্কুলের খেলার মাঠের এক কোণে দুইটি টিনের চাল দিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। যেখানে রাখা হয়েছে চারটি টেবিল ও ১০টি বেঞ্চ। এতে শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়েই ক্লাস করছেন।

 

কয়েকজন অভিভাবক জানান, তালা ও কলারোয়া এই দুইটি উপজেলা ও নগরঘাটা ইউনিয়নের শেষ প্রান্তে অবস্থিত সম্মনডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। তবে বিদ্যালয়ে যেতে যোগাযোগ ব্যবস্থা একদম ভালো না। শ্রেণিকক্ষে ও খেলার মাঠে জমে থাকা পানিতে শিক্ষার্থীদের পানিবাহিত রোগ হয়। তারা দ্রুত রাস্তা পাকা করাসহ অবহেলিত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভালো পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

সম্মনডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, ৫১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালাচ্ছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের জানিয়েছি একাধিকবার। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সরকার দ্রুত স্কুল খুলে দেবে, তখন ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কোথায় ক্লাস করাবো বুঝতে পারছি না।

 

তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ২০১৯ সালে সম্মনডাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন তৈরির বাজেট ছিল। কিন্তু ভবন তৈরির জন্য মালামাল পৌঁছানোর ব্যবস্থা না থাকাতে বাজেটটি সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তবে বিদ্যালয় এলাকাটি নিচু হওয়ায় বন্যায় পানি উঠে যায়। সেখানে নতুন করে সাইক্লোন শেল্টার করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে।

 

সাতক্ষীরা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমীন বলেন, বিদ্যালয়টির বিষয়ে আমি অবগত রয়েছি। টিনশেড দিয়ে প্রাথমিকভাবে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। আগামী সপ্তাহে স্কুল খোলার পর আমি পরিদর্শনে যাবো। দ্রুত প্রস্তাব পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

এসজি/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক। ডেক্স