তালায় সহোদরদের বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে পৈত্রিক সম্পত্তি জবর দখল ॥ ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে মিথ্যাচার

প্রকাশিত: ৮:৩০ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯ | আপডেট: ৮:৩০:অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০১৯

নিজস্ব সংবাদদাতা:
সাতক্ষীরা তালায় সহোদরদের মধ্যে পৈত্রিক সম্পত্তির বন্টন নিয়ে সৃষ্ট বিবাদে বড় ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় আদালতের স্থিতিশীলতার আদেশের নোটিশ পেলেও তা মানছেনা ছোট ভাইয়েরা। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ হওয়ায় বিষয়টি ভিন্নখাতে নিতে তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগী বড় ভাই হায়দার আলী শেখ। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন আশংকায় এএসআই আলামিন মিয়ারাজের জেঠুয়াস্থ দোকানে গেলে তিনি তার সাথে রীতিমত অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন
অভিযোগে প্রকাশ,তালা উপজেলার জেঠুয়া গ্রামের মৃত মোস্তফা শেখের মৃত্যুর পর তার ৩ ছেলে মোঃ হায়দার আলী শেখ (৫০),আমজেদ আলী শেখ (৪৫) ও মিয়ারাজ আলী শেখ (৪০) এর মধ্যে জেঠুয়া মৌজার জে,এল,নং-১৩০,বিএস খতিয়ান ১১২৩,হাল দাগ ৬৭৩ এর মধ্যে ১৪ শতক, একই খতিয়ানের হাল ৮৫৬ দাগের মধ্যে ১১ শতক জমির বন্টন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়।
হায়দার আলী শেখের দাবি,দুটি দাগে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ৩ শতাংশ জমির উপর তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভোগ-দখল করে আসছেন। তবে সম্প্রতি তাদের এক চাচাতো ভাই মৃত আনছার আলীর ছেলে এনায়েত আলী শেখ’র পরামর্শে তার ছোট দু’ভাই আমজেদ ও মিয়ারাজ তার দোকান ঘর দখল করতে এর সামনে ঘেরা-বেড়া দিয়ে দখলে নেয়। এর আগে তিনি (মোঃ হায়দার আলী শেখ) বাদী হয়ে দু’সহোদর আমজেদ, মিয়ারাজ ও চাচাতো ভাই এনায়েত আলীকে আসামী করে সাতক্ষীরা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৪৫ ধারায় একটি মামলা করেন। যার নং ৬১১/১৯,তাং ১৬/৫/১৯।
মামলায় বিজ্ঞ আদালত নালিশী সম্পত্তিতে শান্তি ভঙ্গের আশংকা থাকায় উভয় পক্ষকে স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে তালা থানাকে আদেশ দেন। যার স্মারক নং-৮৫৮/ক্রী,তাং ১৬/০৫/১৯ এবং বিজ্ঞ আদালতের আদেশ নং-০১,তাং-১৬/০৫/১৯। এর পরি প্রেক্ষিতে তালা থানার এএসআই(নিঃ)মো: সেলিম রেজা উভয় পক্ষকে স্ব স্ব অবস্থানে শান্তিপূর্ণ অবস্থা বজায় রাখতে নোটিশ জারী করেন।
এরপরও তারা আদালতের আদেশ অমান্য করে দখল প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখায় গত ১ জুন ফের তালা থানায় একই ব্যক্তিদের আসামী করে একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে,ঐদিন সকাল আনু:৮টার দিকে তারা সংঘবদ্ধ হয়ে তার দোকানের সামনে দিয়ে ইচ্ছামত ঘেরা-বেড়া দিতে থাকে। হায়দার এর কারন জিজ্ঞাসা করলে তারা তাকে চড়,কিল,ঘুষি মারে। এছাড়া তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় তারা আদালতের আদেশ মানেনা বলেও আস্ফলন করতে থাকে। এ ঘটনায় হায়দার বাধ্য হয়ে তালা থানায় ফের একটি অভিযোগ দিলে থানার এএসআই আল আমিন অভিযুক্তদের থানায় এনিয়ে বসাবসির জন্য নোটিশ দিতে গেলে এদের মধ্যে মিয়ারাজ এএসআই আল আমিনের সাথে অসৌজনৗমূলক আচরণ করে উল্টো বিভিন্ন স্থানে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। এমনকি স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে মিথ্য ও ভিত্তিহীন তথ্য সরবরাহ করে মনগড়া সংবাদও পরিবেশন করিয়েছে। এব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য হায়দার আলী স্থানীয় প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এব্যাপারে এএসআই আল আমিনের কাছে জানে চাইলে তিনি বলেন,আদালতের আদেশ অমান্য করে জোরপূর্বক পৈত্রিক সম্পত্তির জবর দখল ও মারপিট সংক্রান্তে থানার একটি অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিষয়টি অবহিত করা হলেও তারা থানায় আসেনি। আদালতের ১৪৫ ধারা আদেশের প্রেক্ষিতে সেখানে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন আশংকায় তিনি ফের মিয়ারাজের জেঠুয়াস্থ দোকানে গেলে তিনি তার সাথে রীতিমত অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক