তালায় প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহনকালে জনতার হাতে সহকারী নায়েব আটক: জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপে মুক্তি

প্রকাশিত: ৮:৪৩ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০ | আপডেট: ৮:৪৩:অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২০
সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার মাগুরার সহকারী নায়েব জলিল এর বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।  সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মঙ্গলবার(১২ মে) মহামারী করোনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার জন্য অসহায় মানুষের আর্থিকভাবে সাহয্যের জন্য তালিকা তৈরী করার কাজ চলছি । তালিকা প্রনয়ন সঠিকভাবে নিরুপন করা হয়েছে কিনা সেটা দেখার জন্য তালা উপজেলা প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন সরকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত ছিল ।
 
তারই  ধারাবাহিকতায় উপজেলার  মাগুরা ইউনিয়নের  ৯নং ওয়ার্ডে রঘুনাথপুর গ্রামে তদন্তের দ্বায়িত্ব পড়ে  উপজেলার  মুড়াকুলিয়া গ্রামের শেখ তায়েজুল ইসলামের পুত্র মাগুরার সহকারী নায়েব আব্দুল জলিল এর উপর। সচতুর নায়েব সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে  সরকারী সহায়তার দেওয়ার নামে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, ভিজিটিকার্ড, রেশন কার্ডের   চাউল ক্রয় এর কার্ডসহ যে সকল পরিবার ভাতা পায় তাদের  নিকট হতে ১ হতে ৩হাজার টাকা পর্যন্ত কয়েক দফায় আদায় করতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় জনগন তাকে আটক করে ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে সেপার্দ করে। 
 
স্থানীদের মধ্যে  রগুনাথপুর গ্রামের বেলায়েত গাজীর স্ত্রী শাহিদা বেগম(৬০) বলেন, আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়ার হুমকি দিয়ে আমার নিকট হতে ১হাজার টাকা নিয়েছে । একই এলাকার মৃত শামসু শেখ এর পুত্র রাজু শেখ(৩৩) বলেন, নায়েব জলিল তালিকা হতে নাম কেটে দেয়ার ভয় দেখিয়ে আমার কাছ থেকে ১হাজার টাকা নিয়েছে। রগুনাথপুরের গফুর বলেন, নায়েব জলিল আমার নামে কার্ড করে দেবে বলে ১হাজার টাকা এবং কয়েক কুড়ি লিচু নিয়েছে। 
 
এ বিষয়ে রগুনাথপুর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড মেম্বর ইয়াছিন শেখ জানান, নায়েব জলিল সরকারী  কার্ড দেয়ার নাম করে যে টাকা নিয়েছে সেটা সম্পূর্ণ সত্য ঘটনা। আজ  এলাকা হতে টাকা নেওয়ার সময় এলাকার লোকজন তাকে হাতে নাতে আটক করে আমাদের চেয়ারম্যানকে জানায়। আমি সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে চেয়ারম্যানের কার্যলয়ে নিয়ে আসি।
 
বিষয়টি নিয়ে  মাগুরা  ইউপি চেয়ারম্যান গনেষ চন্দ্র দেবনাথের সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান , সহকারী নায়েব জলিল এলাকার মানুষের নিকট হতে কার্ডের যাচাই বাচাই এবং মানবিক সাহায্য দেওয়ার নাম করে টাকা গ্রহন করে আসছিল। আজ প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহনকালে সে জনরোসের  স্বীকার হয়। এসময় উৎসুক জনতা তার কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা উদ্ধার করে। স্থানীয়রা আমাকে জানালে আমার ইউপি সদস্য ইয়াছিন শেখকে দিয়ে নায়েব জলিলকে উদ্ধার করে আমার কাছে নিয়ে আসি। বিষয়টি সাথে সাথে তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করি।
 
এ বিষয়ে সহকারী নায়েব মোঃ আব্দুল জলিল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ঘটনার সাথে  আমি আমি কোনভাবেই জড়িত না। আমাকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে। 
 
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইকবাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সুন্দরবনটাইমস.কম জানান, সহকারী নায়েব জলিলের বিষয়টি  সম্পর্কে আমি শুনেছি।  তদন্তপূর্বক  তার বিরুদ্ধে  কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 

আপনার মতামত লিখুন :

কিশোর কুমার। নিজস্ব প্রতিবেদক। পাটকেলঘাটা, সাতক্ষীরা