তালার মাছিয়াড়ায় দূর্বৃত্ত’র হুমকিতে দিনমজুর কৃষক দিশেহারা

প্রকাশিত: ৯:৪৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯ | আপডেট: ৯:৪৪:অপরাহ্ণ, আগস্ট ৩১, ২০১৯

তালা প্রতিনিধি:
তালার মাছিয়াড়া গ্রামে এক দূর্বৃত্তর হামলা, দফায় দফায় হুমকি ও মামলার ভয়ে সামাদ গাজী নামের হতদরিদ্র এক দিন মজুর কৃষকের পরিবার অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। দূর্বৃত্ত জলিল গাজীর অত্যাচারে বর্তমানে কৃষক সামাদ গাজীর পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে।
শনিবার তালা রিপোর্টার্স ক্লাবে এক অভিযোগে উপজেলার মাছিয়াড়া গ্রামের মৃত. এজাহার আলী গাজীর ছেলে সামাদ গাজী জানান, গত ২০ আগষ্ট দুপুরে পাশ^বর্তী আব্দুল জলিল গাজীর স্ত্রী সাবিনা বেগম আমাদের বাড়িতে এসে আমার স্ত্রী সালমা বেগমকে আকস্মিক মারধর করতে থাকে। এসময় আমি স্ত্রী সালমা বেগমকে উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু এরইমধ্যে আব্দুল জলিল গাজী একটি লাঠি নিয়ে ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসে এবং তার স্ত্রী হামলাকারী সাবিনা বেগমকে সহ আমার স্ত্রী সালমা বেগমকে পিটাতে থাকে। এতে উভয় মহিলা কানে ও মাথায় গুরুতর আহত হয় এবং তাদের তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে সামাদের স্ত্রী সালমা বেগমের আঘাত গুরুতর ও রক্তাক্ত হওয়ায় তাকে তালা হাসপাতালে প্রায় ১ সপ্তাহ থাকতে হয়।
আব্দুস সামাদ গাজী জানান, দুই নারীর উপর হামলাকারী আব্দুল জলিল গাজী একজন চিহ্নিত দূর্বৃত্ত। ইতোপূর্বে সে তার নিজ পিতা মোসলেম গাজীকে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দেয়। এছাড়া তার স্ত্রী ও সন্তানকে বাসের নিচে ফেলে দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে। তাছাড়া মায়ের উপর হামলা সহ নানান অপকর্মের কারনে জলিল গাজী তার মায়ের দায়ের করা মামলায় জেল খাটে। সে এলাকায় প্রতারক ও হামলাকারী দাঙ্গাবাজ হিসেবে চিহ্নিত।
এদিকে হামলার ঘটনা ধামাচাঁপা দেয়া সহ কৌশলে সামাদ গাজীর কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেবার জন্য জলিল গাজী নানান ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বলে ভুক্তভোগী সামাদ গাজী অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে জলিল গাজী একটি মহলের ইন্দনে সামাদ গাজীর বিরুদ্ধে নানান অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া থানায় একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ জমা দিয়ে প্রতিনিয়ত সামাদ গাজীর কাছে টাকা দাবী করছে। অন্যথায় আবারও হামলা চালানো সহ থানায় মামলা রেকর্ড করে জেল খাটানো হবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। জলিল গাজীর দফায় দফায় হুমকির মুখে দিনমজুর হতদরিদ্র কৃষক আব্দুস সামাদ গাজী অসহায় হয়ে পড়েছে। একারনে সে পুলিশ প্রশাসন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এদিকে, তালা রিপোর্টার্স ক্লাবে অভিযোগ করাকালে সামাদ গাজীর সাথে থাকা এলাকার ৬জন ব্যক্তি জানান, জলিল গাজী একজন প্রতারক ও দূর্বৃত্ত। সে নিরিহ দিনমজুর সামাদ গাজীকে হয়রানীর চেষ্টা করায় খলিলনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস. এম. আজিজুর রহমান রাজুর মাধ্যমে সালিস করে বিষয়টি মিমাংশার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সেই সালিস জলিল গাজী অমান্য করায় পরবর্তিতে গ্রামের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মাধ্যমে আর একটি সালিস করার উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই সালিসও জলিল অবমাননা করে এবং থানায় জমা দেয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেবার জন্য প্রকাশ্যে টাকা দাবী করে। পরে ওই ঘটনায় তালা থানার এএসআই মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে আরও একটি সালিস হলেও তা মানেনি দূর্বৃত্ত জলিল গাজী। যে কারনে গ্রামের সাধারন মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে জলিল গাজীর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ প্রশাসনের কঠোর দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/এমএ মান্নান/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক