তালার ধানদিয়া-কাটাখালী পশ্চিম বিলের মৎস্য ঘেরের মালিকানা নিয়ে জটিলতা

প্রকাশিত: ৬:৪৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯ | আপডেট: ৬:৪৬:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, তালা:
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটার ধানদিয়া-কাটাখালী পশ্চিম বিলের ১৬০ বিঘা জমির বৈধ ডিড লিখে মৎস্য চাষ শুরু করলেও প্রতিপক্ষের বিভিন্ন হুমকি-ধামকিতে নানা আশংকা জেঁকে বসেছে ঘের মালিক রুহুল আমিন মল্লিক ও শাহীন শেখ’র মধ্যে। এমন পরিস্থিতিতে সার্কেল এএসপি’র কার্যালয়ে কয়েক দফা বসাবসিতেও বিষয়টির সমাধান না হওয়ায় ঘেরের ভবিষ্যত নিয়ে রীতিমত আতংকে রয়েছেন তারা। তাদের দাবি,যেকোন সময় পূর্বতন ঘের মালিক কোন অনাকাংখিত পরিবেশ সৃষ্টি করে ঘেরটি দখলে নিতে পারে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

অভিযোগে জানাযায়,সাতক্ষীরার তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার ধানদিয়া ইউনিয়নের কাটাখালী পশ্চিম বিলের প্রায় ১৯৫ বিঘা জমির মধ্যে ১৬০ বিঘা জমির মালিকদের কাছ থেকে ৫ বছর মেয়াদী বৈধ ডিড করে তার দখল বুঝে নেন,উপজেলার কাটাখালী গ্রামের মো: শহীদুল ইসলামের ছেলে রুহুল আমিন মল্লিক ও মৃত আব্দুল হক শেখ’র ছেলে শাহীন শেখ। ডিডের শর্তানুযায়ী তারা জমির মালিকদের যথাক্রমে বিঘা প্রতি সাড়ে ৬ হাজার ও ১৫ হাজার টাকা করে হারির সমুদয় টাকা পরিশোধও করেছেন।

তারা জানায়,সাতক্ষীরা নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বাংলা ১৪২৬ সালের ১ বৈশাখ থেকে ১৪৩১ সালের চৈত্র মাসের শেষ পর্যন্ত ৫ বছর মেয়াদী ডিড লিখে নিয়ে তারা জমির মালিকদের কাছ থেকে ঐ ঘেরের দখল বুঝে নেয়। এরপর তারা সেখানে মাছের পোনা (চারা মাছ) অবমুক্ত করে ঘের পরিচালনা করছেন। এমন অবস্থায় পূর্বতন ঘের মালিক একই ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তার ধবকের ছেলে মো: রেজাউল ধাবক ঘেরটি ফের জবর দখল নিতে এলাকার ও বহিরাগত সুযোগ সন্ধানীদের সম্পৃক্ত করে নানা পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এমনকি ঘের দখলে তারা বিভিন্ন স্থানে নানা হুমকি-ধামকিও অব্যাহত রেখেছে। এর প্রেক্ষিতে রুহুল আমিন গং আইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এনিয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার বরাবর রেজাইলের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও দাখিল করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক মিমাংশার জন্য এএসপি (সার্কেল) হুমায়ুন কবিরকে নির্দেশ দেন। যার প্রেক্ষিতে বিষয়টি নিয়ে তিনি অন্তত ৫ দফায় উভয় পক্ষকে নিয়ে বসাবসি ও সরেজমিনে তদন্ত করে রুহুল আমিন গংদের পক্ষে মত দেন। কিন্তু রেজাউল গং তা মেনে না নিয়ে বরাবরের মত হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

সর্বশেষ এব্যাপারে মোঃ শাহীন শেখ বাদী হয়ে সাতক্ষীরা যুগ্ন জেলাজজ আদালতে মোঃ রেজাউল করিম দিং এর বিরুদ্ধে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা মামলা করেন। যার নং-১২৯/২০১৯। তাং ৫/৮/২০১৯। সিরিয়াল নং-১৯।

এব্যাপারে বাদী পক্ষ সুষ্ঠুভাবে মাছ করতে সকল প্রকার অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের প্রশমনে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/সেলিম হায়দার/তালা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক