ডুমুরিয়ায় নিয়ম-নীতি না মেনেই কাটা হল সরকারি ৩টি মেহগনি গাছ

প্রকাশিত: ১১:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০ | আপডেট: ১১:১৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১, ২০২০

নিয়ম-নীতি না মেনে এবং অনুমোদনের আগেই কেটে ফেলা হয়েছে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের পুর্ব পাশে থাকা ২০ হাজার টাকা মূল্যে’র সরকারি তিনটি মেহগনি গাছ।
জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে শনিবার সকালে উপজেলার আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প ভবনের পাশে থাকা তিনটি মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। শ্রমিক আজহারুল ইসলাম ও শফিক ঢালীসহ মোট চারজন দুই হাজার টাকার বিনিময়ে এ কাজে অংশ নেন। উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে একটি প্রবেশ গেট নির্মাণের অজুহাতে এ গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

তবে গাছগুলি সঠিক নিয়ম-নীতি মেনে কাটা হয়নি বলে উঠেছে নানা অভিযোগ। এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি কোন সম্পদ ও গাছপালা বিক্রি বা পুনঃ নির্মাণ করতে হলে তা রেজুলেশনের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করতে হবে। রেজুলেশনে বিষয়টি অনুমোদিত হলে তা টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি বা নোটিশের মাধ্যমে করা যেতে পারে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের কোন সম্পদ বা গাছপালা বিক্রি বা কাটতে হলে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। এখন এ সব নীতিমালা না মেনে যদি গাছগুলো কাটা তাহলে বেআইনী করা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে গাছ কাটার স্থানে থাকা উপজেলা প্রশাসনের নৈশ-প্রহরী হারুপ ঢালী বলেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মতে আমি এই লোকদের দিয়ে গাছগুলো কেটে পাশে হেফাজত করে রাখছি। তবে শুনেছি এখানে গেট নির্মাণ করা হবে তাই গাছগুলো কাটা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান, ৪/৫ বছর আগে থেকেই উপজেলা পরিষদের ঢোকার জন্য তিনটি গেট নির্মাণের পরিকল্পনা হয়ে আছে। কিন্ত জায়গা সংকট ও নানা কারণে তা আজও বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। এবার উন্নয়ন তহবিলের টাকায় বাস্তবায়ন করা হবে। তাই গাছগুলো কেটে পাশে রাখা হচ্ছে। পরে ব্যাপারি ডেকে ওপেন সেল দেওয়া হবে।

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম জানান, আমরা যথাযথ বিধি ও নিয়ম-নীতি মেনে গাছগুলো কেটেছি এবং এ বিষয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ জানান, উপজেলা পরিষদের গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। আর এ বিষয়ে কোন রেজুলেশন হয়েছে কি’না তাও স্বরণে আসছে না।

খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরের গাছ কাটার বিষয়ে কোন পেপার্স আমি পায়নি। পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা