চুকনগরে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ: ফসলের ক্ষতিসাধন: ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় হতাশায় কৃষক

প্রকাশিত: ৮:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২১ | আপডেট: ৮:০৪:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৮, ২০২১
চুকনগরে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করায় তাদের সান্তনায় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড. প্রতাপ রায়।

চুকনগরে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যে পানি সরবরাহের পথ বন্ধ করে ২০লক্ষ টাকার জমির ফসল নষ্ট করায় ভুক্তভোগী কৃষকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়ায় কৃষকেরা হতাশ হয়ে পড়েছে। এঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে বরাতিয়া দাস পাড়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ রায় ও গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা ক্ষতিপূরণ দাবিসহ প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার জন্য জোর দাবি জানায়।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসার বরাবর দাখিল করা অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের নজরুল মালির বাড়ির সম্মুখস্থ কালভার্ট দিয়ে ভদ্রা নদী অভিমুখের একটি ছোট খাল দির্ঘদিন যাবৎ এলাকার পানি নিষ্কাশনের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। হঠাৎ এবছর জুন মাসের প্রথম দিকে বরাতিয়া গ্রামের মৃত হামিদ শেখের পুত্র আব্দুল কুদ্দুস শেখ কালভার্টের মুখ থেকে ৫০ মিটার দুরে খালের উপরে মাটি দিয়ে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এসময় এলাকার লোকজন ওই খাল উন্মুক্ত করতে গেলে কুদ্দুস তাদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করে। এতে এলাকার বেশ কিছু কৃষকের উঠতি ফসল বেগুন, পটল, করোলা, কাকরোল, ঢেড়স, ঝিঙে, পেঁপেসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি পানিতে তলিয়ে নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া পাটেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সহ এলাকার শতাধিক ব্যক্তি স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কৃষি অফিসারের নিকট দাখিল করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, মুল কপি তারা ইউএনও স্যারের নিকট জমা দেন। কিন্তু ইউএনও স্যার বর্তমানে ঢাকায়অবস্থান করার কারনে হয়তো ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। তবে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে এলাকার কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে আমি শুনেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আমি ১/২দিনের মধ্যে উভয় পক্ষকে ডেকে একটি সুষ্টু সমাধান করে দেব।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবেন্দ্রনাথ দাস, খান জাহান আলী শেখ, হাসান গাজী সহ ২০/২৫ জন কৃষকের উঠতি ফসল নষ্ট হয়ে গেছে যার আনুমানিক মুল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা তাদের ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ ব্যাপারে কুদ্দুস শেখে বলেন, কারো ক্ষতি করার জন্যে নয় আমার নিজের জমিতে ঘর নির্মাণ করার জন্যে মাটি ভরাট করেছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান সাহেব ফোন করার পর আবার কেটে দিয়েছি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাডঃ প্রতাপ রায় বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগ পেয়ে কুদ্দুসকে ফোন করলে সে বাঁধ কেটে দেয়। কিন্তু ততদিনে ক্ষতি যা হবার তা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে কুদ্দুস নিজ দায়িত্বে একটি নালা খনন করলেও সেটা পানি নিষ্কাশনের জন্যে যথেষ্ট নয়। ক্ষতিপূরণের জন্য ইউএনও স্যার ঢাকা থেকে ফিরে এসে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

 


আপনার মতামত লিখুন :

গাজী আব্দুল কুদ্দুস। নিজস্ব প্রতিবেদক। চুকনগর, খুলনা