ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে সাতক্ষীরায় আশ্রয় শিবির গুলোতে উপকূলবাসীরা আসতে শুরু করেছে

প্রকাশিত: ১:০৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৯ | আপডেট: ১:০৭:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা:
ঘূর্নিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে সাতক্ষীরায় গতকাল রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিসহ দমকা হাওয়া বইছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে কখনও মাঝারি ও কখনও ভারি বৃষ্টি হচ্ছে। জেলা প্রশাসেনের পক্ষ থেকে ১০ নং মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় স্কুল কলেজ বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

এদিকে স্থানীয় আশ্রায় শিবির গুলোতে উপকূলবাসীরা আসতে শুরু করেছে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে স্ব-স্ব এলাকায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। হাসপাতাল ও কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষনিক খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ‘বুলবুলে’র সম্ভাব্য আঘাত মোকাবেলায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করেছে। জেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এসএস মোস্তফা কামাল জানান, এরই মধ্যে ২৭০ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া ১২৫২ টি স্কুল কলেজ মাদ্রাসা ফাঁকা রাখা হয়েছে। উপকুলীয় ইপজেলা শ্যামনগর ,আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলকার জনগনকে বেলা ১১ টার মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ কবলিতদের সহায়তায় ৩১০ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৫ লাখ ৪২ হাজার টাকা, ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, ২৭ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরন ট্যাবলেট, পর্যাপ্ত ওষুধপত্র মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া ২২ হাজার স্বেচ্ছাসেবকসহ ৮৫ টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের জন্য ১ লাখ টাকা ও গবাদি পশুর জন্য আরো ১ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় উপজেলাগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে স্ব স্ব এলাকায় মাইকিং করে জনগনকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সুন্দরবন সংলগ্ন নদীখালে থাকা নৌযানগুলিকে উপকূলে নিরাপদ স্থানে থাকার আহবান জানানো হয়েছে।

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:গো:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক