খাজরার যুব উদ্যোক্তা মুজিববর্ষে নির্মান করলেন মুজিব ভবন

প্রকাশিত: ৯:৫৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০ | আপডেট: ৯:৫৪:অপরাহ্ণ, মার্চ ৯, ২০২০

খাজরার যুব উদ্যোক্তা মুজিববর্ষে নির্মান করলেন মুজিব ভবন

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিবেদক, আশাশুনি(সাতক্ষীরা):
আশাশুনি উপজেলার খাজরায় মুজিববর্ষে এক প্রতিভাবান যুব উদ্যোক্তা কসকেট দিয়ে নির্মান করছেন মুজিব ভবন। উদ্যোক্তা যুবকের নাম হাফেজ আশিক রহমান। তিনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের হাফেজ আনিছুর রহমানের ছেলে।
আশিক রহমান জানান, প্রায় ২মাস ধরে মুজিব ভবনটি নিজ হাতে নির্মান করেছেন। তিনতলা বিশিষ্ট মুজিব ভবনের মধ্যে আছে ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ১৩টি রুম, ১৫টি জানালা, ৬টি বেলকনি। এবং ভবনটিতে ওঠা-নামার জন্য আছে ৫টি সিড়ি। এছাড়া মুজিব ভবনের পাশে রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যবহৃত সেই প্রাইভেটকার। প্রতিভাবান যুব উদ্যোক্তার নির্মীত বঙ্গবন্ধু ভবন দেখতে প্রতিদিন সকাল থেকে দিনভর তার বাড়ীতে ভিড় জমাচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। আশিক রহমানের পিতা আনিছুর রহমান বলেন, তার প্রতিভা দেখে আমি মুগ্ধ। আমার যত কষ্ট হোক না কেন, আমি আমার সাধ্যমত তার প্রতিভার প্রকাশ ঘটাতে চেষ্টা করবো। তাকে সরকারী ভাবে কোন সহযোগিতা দেওয়া হলে তিনি একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারবেন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

নির্মম প্রহারের ঘটনাস্থান পরিদর্শনে শিক্ষা কর্মকর্তা

আশাশুনিতে প্রধান শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের নির্মম প্রহারের ঘটনাস্থান পরিদর্শনে শিক্ষা কর্মকর্তা

সরকারি নিয়মনীতিকে তোয়াক্কা না করে শিক্ষার্থীদের বেদম প্রহারের ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে শিক্ষাকর্মকর্তাবৃন্দ ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। একের পর এক শিক্ষার্থী মারপিট এবং শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতনকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।
স্কুলে বেতের ব্যবহার সম্পূর্ণ ভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। শিক্ষার্থীকে প্রহার, মানসিক ও শারিরীক নির্যাতন, ভীতি প্রদর্শন করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সেদিকে ভ্রুক্ষেপ না করে আশাশুনি উপজেলার কাদাকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল ইসলাম স্কুলকে বেতের ব্যবহার ও শিক্ষার্থীদের সাথে শিক্ষকসুলভ আচরণ বহির্ভূত কর্মকান্ডের নরকরাজ্যে পরিণত করেছেন। তার অযাচিত ও নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো কার্যকলাপের কারনে স্কুলে যেতে অনীহা দেখাচ্ছে শিশুরা। অন্যদিকে সরকারের শিশুবান্ধব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার লক্ষ্য ব্যাহত হচ্ছে। অনেকবার তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও রূঢ় আচরনের ঘটনা ঘটেছে বিদ্যালয়ে। গ্রামাঞ্চলের সাধারণ অভিভাবকরা তার আচরনের কড়া প্রতিবাদ করতে সাহস পাননা। বাধ্য হয়ে কিছু কিছু অভিভাবক সন্তানের উপর অবিবেচিত মারপিট ও শাসনের নামে ভীতিকর অবস্থা সৃষ্টির কারণ জানতে গেলে ম্যানেজে পারদর্শী প্রধান শিক্ষক এসএমসি সভাপতি ও বন্ধু শিক্ষকদের কাজে লাগিয়ে অপরাধ মিটিয়ে নিয়েছেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলের ৩য় শ্রেণির ছাত্রী সোমাইয়া খাতুন জিবাকে কঞ্চির লাঠি দিয়ে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে জিবার হাতের তালু রক্তাক্ত জখম করেন তিনি। কিছুদিন আগে ৩য় শ্রেণির ছাত্র বর্তমানে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাকিবকে নির্মমভাবে পিটিয়েছিলেন এই প্রধান শিক্ষক। এছাড়া স্কুলের মায়শা, মারিয়া. জুইসহ অনেক শিক্ষার্থী তার হাতে লাঠিপেটার শিকার হয়েছে। তার অপকর্মের খবর বিভিন্ন দৈনিকে প্রকাশিত হলে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম দু’জন সহকারী শিক্ষা অফিসারকে সাথে নিয়ে স্কুল পরিদর্শন করেছেন। অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, পরিদর্শনকালে প্রহৃত শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ঘটনার সত্যতা তুলে ধরেন। অভিযুক্ত শিক্ষকও প্রহার করার কথা স্বীকার করেন। এলাকার বহু অভিভাবক উক্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।
এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, পত্রিকায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছি। খুব শীঘ্রই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রতিবেদন প্রদান করা হবে।
এলাকার সচেতন বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ জানান, এভাবে দিনের পর দিন একজন প্রধান শিক্ষক অনৈতিক কার্যকলাপ চালাতে পারেননা। সরকারি নিয়ম নীতিকে বেমালুম ভুলে গিয়ে বা তুয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে অন্যায় করার পরও কেন তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহন করেন না? এভাবে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলবে? তারা অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শুরু

আশাশুনিতে মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই শুরু

আশাশুনি উপজেলার অনলাইন ও সরাসরি দাখিলকৃত আবেদনকারী মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে কার্যক্রম শুরু করা হয়। চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত।
উদ্বোধনী দিনে খাজরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই করা হয়। খাজরার ১০৩ জন আবেদনকারীর মধ্যে ৫৪ জন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইতে অংশ গ্রহন করেন। যাচাই বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন জুয়াদ্দার, সদস্য সচিব উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজা ও সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবদুলাল রায়। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) শোভনালী, কুল্যা, বুধহাটা, কাদাকাটি ও শ্রীউলা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছ্ইা করা হবে। ১১ মার্চ বড়দল ইউনিয়ন ও ১২ মার্চ দরগাহপুর, আনুলিয়া, প্রতাপনগর ও আশাশুনি সদর ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রতিদিন সকাল ৯.৩০ টা হতে বেলা ১ টা এবং বেলা ২.৩০ টা হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত যাচাই বাছাই কার্যক্রম চলবে।

ডাঃ নুরুল ইসলাম

ডাঃ নুরুল ইসলাম নৈকাটি দাখিল মাদরাসার সভাপতি নির্বাচিত

আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি দাখিল মাদরাসার সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ডাঃ নুরুল ইসলাম। সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অনুষ্ঠিত সভায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
মাদরাসা পরিচালনা কমিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ৪ মার্চ প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী না থাকায় দাতা সদস্য পদে মহররম মোড়ল, শিক্ষক প্রতিনিধি পদে রেজিনা খাতুন, গনেশ চন্দ্র সরকার, মহাসিন আলি, অভিভাবক সদস্য পদে শাহাজান আলি গাজী, আবু তালেব মোড়ল, মনিরুল ইসলাম ও খলিলুর রহমান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিন হন। সোমবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমীক সুপারভাইজার ও প্রিজাইডিং অফিসার হাসানুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপরোক্ত সদস্যবৃন্দসহ মাদরাসার সুপার আলহাজ¦ মাওঃ ইমাদুল হক উপস্থিত ছিলেন। সভায় সভাপতি পদে ডাঃ নূরুল ইসলাম একাই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়।

আশাশুনি মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজ

আশাশুনি মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজ সারানোর একদিন পর আবারও ঝুঁকিপূর্ণ

আশাশুনির মরিচ্চাপ নদীর উপর নির্মিত বেইলি ব্রীজটি আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ঝুকিপূর্ণ ব্রীজ দিয়ে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভারী যানবাহন চলাচল করায় যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে গিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বিরাজ করছে।
ব্রীজটি বছরে কয়েকবার করে চলাচলের অনুপযোগি হয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মেরামতের কাজ করলেও বেশীদিন নিরাপদ থাকেনা। ইতিপূর্বে ব্রীজটির লোহার পাত ভেঙ্গে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানের উদ্যোগে, সাতক্ষীরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধায়নে ২০১৬ সালের ৩০ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী চিটাগাং ডাইড ইন্ডাস্ট্রিজ এর ব্যবস্থাপনায় প্রায় তিন কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যায়ে ব্রিজটি স্ট্রিলের পাত ব্যবহারে সংস্কার করা হয়। সংস্কার পরবর্তীতে সাতক্ষীরা ৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ডাঃ আ ফ ম রুহুল হক আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে পুনরায় ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বর্তমানে মরিচ্চাপ বেইলি ব্রীজের কিছু স্থানে লোহার পাত দেবে গেছে। ভেঙ্গে গেছে ব্রীজের দুই ধারের সাফট রেলিং ও পাত। আর একারণে প্রতিনিয়ত বেইলি ব্রীজের উপর ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এছাড়া এ বেইলি ব্রীজের পূর্ণস্কার করা হলেও ব্রীজের প্রতিমধ্যে পথচারীদের জন্য নির্মান করা ছোট-ছোট নিরাপদ স্থানের কোন সংস্কার করা হয়নি। ফলে বড় যানবহন ব্রীজের উপর চলাচল করলে শিশু থেকে বয়স্ক ব্যক্তিদের পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। আর একারণে ব্রীজের উপর যানবাহনের ধাক্কায় আহত হওয়ার ঘটনাও কম নয়। জরাজীর্ণ এ ব্রীজের স্বচিত্র প্রতিবেদন তুলে ধরে পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকশের পর কর্তৃপক্ষ জোড়াতালি দিয়ে কাজ করে থাকেন। ফলে কয়েক মাস পর আগের অবস্থায় ফিরে যায় ব্রীজের দৃশ্য। গত এক সপ্তাহ ধরে দেবে যাওয়া ব্্রীজের কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু আবার পাত দেবে গেছে।
কঠোর তদারকির মাধ্যমে ব্রীজের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে দীর্ঘস্থায়ী ভাবে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করার জন্য উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পথচারী ও এলাকার সচেতন মহল।

কুল্যার মৃগীরোগী নুর ইসলাম

কুল্যার মৃগীরোগী নুর ইসলাম নিখোঁজ

আশাশুনি উপজেলার কুল্যা গ্রামের পুঁটি শাহাজীর পুত্র মৃগীরোগী নুর ইসলাম শাহাজী (৩৮) নিখোঁজ হয়ে গেছে। তার সন্ধানে অভিভাবকরা সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
নূর ইসলাম ২০ বছর যাবৎ মৃগীরোগে ভুগছে। সাথে সাথে তার মাথার সমস্যা আছে। সে কোন কাজ করতে পারেনা। সবসময় সে বাড়িতে থাকত। গত শনিবার সকালে সবার অজান্তে সে বাড়ি থেকে চলে যায়। বয়সের ভারে নুব্জ তার পিতা সন্তানের সম্ভাব্য দুর্দশার কথা বিবেচরা করে হাপিত্তিশ করছেন। তার খোজে পথে পথে ঘুরছেন তার বোন রহিমা বেগম। কবে ফিরে আসবে তার ভাই এ চিন্তায় তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি তার ভরণ পোষনের দায়িত্ব পালন করে থাকেন। গত তিন দিন নূর ইসলাম বাড়ি ছাড়া। তার পায়ের তিনটি আঙ্গুল নেই। বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার সময় তার গায়ে দুটি জামা এবং পরনে লুঙ্গি ছিল। কোন স্বহৃদয় ব্যক্তি তার খোঁজ পেলে ০১৯৫৪-৬৪৫৫৭০ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে পরিবারের লোকজন।

সুন্দরবনটাইমস.কম/ডেক্স


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক