কেশবপুরে সাগরদাঁড়ি সড়কের লাখ টাকার গাছ লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২০ | আপডেট: ৩:৩১:অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২০

যশোরের কেশবপুরে সাগরদাঁড়ি সড়কে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে উপড়ে পড়া বিভিন্ন প্রজাতির লক্ষাধিক টাকার গাছ একটি সংঘবদ্ধ চক্র কেটে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা চুরি যাওয়া কাঠের কিছু অংশ উদ্ধার করলেও চোরচক্রের বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এলাকাবাসি ফুঁসে উঠেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

জানা গেছে, কেশবপুর সাগরদাঁড়ি সড়কের দু’পাশ দিয়ে ২০ বছর আগে বন বিভাগের উদ্যোগে মেহগনি, বাবলা, রোডরেন্ট্রি, খোইফলসহ বিভিন্ন প্রজাতীর শত শত বনজ বৃক্ষ রোপণ করা হয়। গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের আঘাতে ওইসব গাছ লন্ডভন্ড হয়ে রাস্তার ওপর উপড়ে পড়ে। এ সময় সড়কটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ সুযোগে এলাকার ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র উপড়ে পড়া বিভিন্ন প্রজাতির অর্ধশত গাছ কেটে নিয়ে আতœসাৎ করেন। এছাড়া ২৭ মেও আকস্মিকভাবে কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এ ঝড়ে গাছ উপড়ে না পড়লেও ওই চক্রটি রাতের আধারে সড়কের বড় বড় গাছ কেটে নিয়ে ভ্যানযোগে কেশবপুর শহরে বিক্রি করে দেয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক গ্রামপুলিশ জানান, ঝড়ের পরের দিন ভোরে আমি মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদ খোলার জন্যে ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় দেখতে পাই মজিদপুর গ্রামের কাঠ মিস্ত্রি রফিক, নাজিম, মোহর দফাদার, বুলবুল, তরিকুলসহ ১০ থেকে ১২ জন লোক সড়কের গাছ কেটে নিয়ে হাফিজুরের ভ্যানযোগে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে। কাঠ মিস্ত্রি রফিক জানান, আমরা কোন কাঠের লক নেয়নি। সামান্য কিছু জ্বালানী নিয়েছি।

এ ব্যাপারে বাগদহা মজিদপুর বনায়ন সমিতির সভাপতি হাজ্বি জালাল উদ্দীন বলেন, গাছ কাটার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বাঁধা প্রদান করি। এ সময় মজিদপুর গ্রামের শেখ রফিক, নাজিম, মহির, মোহর দফাদার, শহিদুলসহ ১০ থেকে ১২ জন যুবক তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক গাছের গুড়ি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আমি তাদের বিরুদ্ধে উপজেলা বন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছি।

উপজেলা বন কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়ে ২৮ মে সরেজমিনে পরিদর্শন করে ২০ থেকে ২৫টি গাছের মুথা কাটা দেখতে পাই। এর মধ্যে কিছু কাঠ উদ্ধার করে আমি মজিদপুর কওমী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের জিম্মায় রেখে এসেছি। অবশিষ্ট কাটা গাছও ফেরতের তাগিদ দিয়েছি। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর