কেশবপুরে যুবদলের কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু

প্রকাশিত: ৫:১৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০ | আপডেট: ৫:১৭:অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০

যশোরের কেশবপুর থানা ও পৌর যুবদলের সাংগঠনিক কার্যক্রম চোখে না পড়লেও আগামী কমিটিতে গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছে যোগ্য-অযোগ্য যুবনেতারা। গত ২৭ জুলাই জেলা যুবদল জেলার সকল উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষে দলীয় ফরম বিতরণ করে। এর ফলে কেশবপুরে উজ্জীবিত হয়ে উঠেছে বিএনপির অন্যতম এ অঙ্গ সংগঠনটির নেতা-কর্মিরা। গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন একেক পদের জন্য একাধিক নেতা। কেশবপুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সদস্য সচীব পদে স্থান পেতে অর্ধ শতাধিক পদ প্রত্যাশীরা বিনা মূল্যে দলীয় এ ফরম সংগ্রহ করে তা জমাও দিয়েছেন। তবে তৃণমূূল নেতা-কর্মিরা গণতান্ত্রিক পন্থায় যোগ্য ও ত্যাগি নেতাদের নিয়ে যুবদলের উভয় শাখার কমিটি গঠনের দাবি জাানিেেছন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

সরজমিনে জানা গেছে, কেশবপুর উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি সর্বশেষ গঠিত হয় ২০০৩ সালে । উভয় শাখা ৭১ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা কমিটিতে পৌর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কুতুব উদ্দীন বিশ্বাসকে সভাপতি, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রভাষক আলা উদ্দীন আলাকে সাধারণ সম্পাদক, হাসানপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক চেয়ারমান প্রভাষক জুলমাত আলীকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে, পৌর কমিটিতে শেখ শহিদুল ইসলামকে সভাপতি, নুরুজ্জামান চৌধরীকে সাধারণ সম্পাদক, প্রভাষক আব্দুল হান্নানকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘদিনে নতুন কমিটি না হওয়ায় সংগঠনটির কর্যক্রম একেবারে ঝিমিয়ে পড়ে। গত ২৭ জুলাই জেলা যুবদল জেলার সকল উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠনের লক্ষে বিনা মূল্যে দলীয় ফরম বিতরণ করে। এর ফলে প্রায় দেড় যুগ ধরে ঝিমিয়ে পড়া যুবদলের নেতা-কর্মিরা নড়েচড়ে বসেছেন। তারা গুরুত্বপূর্ন পদ পেতে তৃণমূল থেকে শুরু করে উপরি মহলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

জেলা যুবদল সূত্রে জানা যায়, উপজেলা যুবদলে আহ্বায়ক পদ পেতে উপজেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আলমগীর ছিদ্দিক, সাবেক উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুর, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাাদক ইয়াসিন আলী, আব্দুল আজিজসহ ১০ জন, উপজেলা যুবদলে যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ পেতে শেখ রাসেল, সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদুর রহমান মিলন, মুঞ্জুরুল ইসলাম, শরিফুজ্জামান, কেএম আজিজ, এমদাদুল হক, শহিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মুকুলসহ ১৯ জন, উপজেলা যুবদলে সদস্য সচীব পদ পেতে জাহাঙ্গীর হোসেন পলাশ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শিপন, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খায়রুল বাশার বাবলু, আবুুল হাসান, হাবিবুুর রহমানসহ ১০ জন ও পৌর যুবদলে আহ্বায়ক পদ পেতে আলমগীর হোসেন আলম, শফিকুল ইসলাম সুইট, সুজন রহমান, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মোকাদ্দেসুর রহমান বাবুসহ ৬ জন, পৌর যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ পেতে এ এস এম সাইফুল কাদের মিঠুসহ ৮ জন. পৗর যুবদলের সদস্য সচীব পদ পেতে মেহেদী হাাসান বিশ্বাস, ওলিয়ার রহমান উজ্জ্বল, আশিকুর রহমান ডালিম, ওলিয়ার রহমান, গাজি আব্দুল মতিন, নজরুল ইসলামসহ ১০ জন দলীয় ফরম সংগ্রহ করে তা জমাও দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে তৃণমূূল যুবদলের একাধিক নেতা-কর্মিদের সাথে কথা হলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা এবারের যুবদলের উভয় শাখার কমিটি গণতান্ত্রিক পন্থায় যোগ্য ও ত্যাগি নেতাদের নিয়ে গঠনের দাবি জাানিেেছন।

উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক পদ প্রার্থী শেখ রাসেল বলেন, জন্ম সূত্রে তিনি বিএনপির পক্ষে কাজ করে চলেছেন। তার নামে ৭ টি রাজনৈতিক মামলা হয়েছে। তাকে ২ মাস ১৬ দিন কারাবাস করতে হয়েছে। তিনি আশা করেন, আগামী আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় দল তাকে অবশ্যই মূল্যায়ন করবে। পৌর যুবদলের আহ্বায়ক পদ প্রার্থী আলমগীর হোসেন আলম বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক হিসেবে দলের জন্য কাজ করে চলেছি। আজ অবদি পর্যন্ত আমার নামে ১৮টি রাজনৈতিক মামলার হয়েছে। তিনি আশা করেন, আগামী আহ্বায়ক কমিটি গঠনের সময় দল তার বিষয়ে বিবেচনা করবে।

এ বিষয়ে যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় যশোর জেলার সকল উপজেলা ও পৌর শাখা পুর্নগঠনের কাজ শুরু হয়েছে। যোগ্য, ত্যাগি ও অপেক্ষাকৃত তরুনদের নিয়ে যুবদলের কমিটি গঠন করা হবে। এছাড়া যারা দল বিরোধী কর্মকান্ডে জড়িত তাদের কোন পদে রাখা হবেনা।


আপনার মতামত লিখুন :

মশিয়ার রহমান। নিজস্ব প্রতিবেদক। কেশবপুর, যশোর