কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি

প্রকাশিত: ৩:০৯ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯ | আপডেট: ৩:০৯:অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাতক্ষীরা:
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে পৈত্রিক সম্পত্তির ফসল ও হারির টাকা না দিয়ে উল্টো এক মুক্তিযোদ্ধা এবং তার বোনকে প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রতিকার পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলারোয়া উপজেলার রায়টা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সালাউদ্দিন হাবিব স্বপন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, তারা ১৬ ভাই ও বোন পৈত্রিক সূত্রে ওয়ারেশ হিসেবে রায়টা মৌজার তিনটি খতিয়ানের ৫০টি দাগে ৭ দশমিক ৭৫ একর সম্পত্তির মালিক। চাকরির সুবাদে বাইরে থাকায় ওই সম্পত্তি রেজিস্ট্রি বর্গা নিয়ে চাষাবাদ করতো একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাক গাজী। তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় আমাদের সম্পত্তির হারি ও ফসল পৌঁছে দিলেও তার মৃত্যুর পর তার ছেলে শাবলু গাজী, বাবলু গাজী ও ডাবলু গাজী ফসল ও হারির টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। আমরা উপায়ান্তর না পেয়ে আদালতে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে কলারোয়া থানার ওসিকে নালিশী জমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেন। নির্দেশনা পেয়ে কলারোয়া থানার এএসআই বাবুর আলী ১৪৫ ধারা জারি করতে গেলে তার উপস্থিতিতেই শাবলু, বাবলু ও ডাবলু আমার পা কেটে নেওয়াসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। এছাড়া তারা আমার বোন নাছরিন আক্তার রেবা এবং আমার ছোট ভাইকেও খুন জখমের হুমকি দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আব্দুর রাজ্জাক গাজী ছিলেন একজন চিহ্নিত রাজাকার। তার তিন ছেলে শাবলু গাজী, বাবলু গাজী ও ডাবলু গাজী মাদকাসক্ত ও হিং¯্র প্রকৃতির। তারা প্রায় এলাকায় মাতলামি করে এবং তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয় ২/১টি লাশ ফেলে দেবে এবং মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করবে।
তিনি আরও বলেন, আমার ভাই জহির উদ্দিন হাবিব রায়টা নতুন বাজারে ব্যবসা পরিচালনা করে। তাকেও অপরিচিত মোবাইল নাম্বার থেকে হুমকি দিয়ে বলা হয়েছে বাজারে দোকান পরিচালনা করতে দেবে না। বাজারে গেলে খুন জখম করবে। এ ঘটনায় থানায় ডায়েরিও করা হয়েছে। আমরা সকলে এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ সময় তার সাথে আরও উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোমেন, মুক্তিযোদ্ধা মো. মহিউদ্দিন, শেখ মহিউদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুল মজিদ প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘটনায় প্রতিকার পেতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/শা:গো:/সাতক্ষীরা


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক