কলারোয়ার একমাত্র বিনোদোনের স্থান এবি পার্ক

প্রকাশিত: ৮:২১ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯ | আপডেট: ৮:২১:অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০১৯

সোহাগ মাল্টিমিডিয়া এন্ড ট্র্যাভেলস

নিজস্ব প্রতিনিধি:
জাহাজমারি এবি পার্ক, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয় উপজেরার যুগিখালী ইউনিয়নের প্রতান্ত অঞ্চলে যার অবস্থান। প্রতিদিন শত, শত মানুষ একটু নির্মল, নিরিবিলি সময় কাটানোর জন্য পরিবার-পরিজন নিয়ে ছুটে যাচ্ছে এ পার্কে। একজন বিনোদন পিপাসু ব্যক্তি অবসাদ দুর করতে সকল বয়সী মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য নিজ উদ্দোগে প্রায় শত বিঘা জমির উপর জাহাজমারি এবি পার্কটি নির্মান করেন।
২০১৪ সালে (তালা- কলারোয়া- ১) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড.মোস্তফা লুৎফুল্লাহর উদ্বোধনের এর মধ্য দিয়ে পার্কেটির আনুষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে অনেক প্রতিকুলতা পেরিয়ে আজ পার্কটি ভ্রমন পিপাসুদের মনে স্থান করে নিয়েছে। এখানে আছে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি, রয়েছে ৫ পা বিশিষ্ট গরু, শিশুদের জন্য রয়েছে দোলনা, নাগরদোরা, ঝুলান্ত সিড়ি ইত্যাদি।

সরজমিনে ঘুরে জানা গেছে , কলারোয়া পৌরসভা থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে নিরিবিরি পরিবেশে এ পার্কটি অবস্থিত, কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভাল না থাকায় ভ্রমনকারীরা দুর্ভোগে পড়েন, একটু বৃষ্টি হলেই রাস্থা চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়ে।
পার্কে আসা আব্দুস সালাম, কামাল হোসেন ও শিশু সুমাইয়া বলেন, এ পার্কের পরিবেশ খুবই ভাল এখানে বিনোদনের অনেক উপকরণ রয়েছে, কিন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। এব্যাপারে পার্কটির ম্যানেজার শহর আলী বলেন, আমাদের পার্কের পরিবেশ ভাল থাকায় একটু বাড়তি বিনোদনের জন্য অনেক দূর- দূরন্ত থেকে মানুষ আসে। আমাদের এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভাল, তাই মানুষ নির্ভয়ে এখানে ছুটে আসেন। কথা প্রসঙ্গে পার্কটির মালিক আবুল বাসার বলেন মানুষ মানুষের জন্য, মানুষের জন্য কিছু করার অভিপ্রায়ে এ পার্কটি নির্মান করি। আমি এ গ্রামের মানুষ, পূর্বপুরুষদের নিকট থেকে জেনেছি প্রায় ৩ শত বছর আগে এস্থানে বড় নদী ছিল, নদীতে বড়বড় জাহাজ চলত, পার্কটির ঠিক এস্থানে একটি বিদেশী জাহাজ ডুবে যায় সেই থেকে এ এলাকাটি জাহাজমারী নামে পরিচিতি পায়। আর এ স্থানটাকে স্বরনীয় করে রাখার জন্য জাহাজমারি আবুল বাসার (এবি) পার্কটি গড়ে তুলেছি। এ পার্কে যেমন মানুষ একটু সময় কাটিয়ে স্বস্তি পায় তেমনি এখানে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। সরকারি ভাবে কোন সহযোগীতা পেলে ও রাস্তাটি প্রস্ত এবং সংস্কার করা হলে পার্কটিতে বিনোদন পিপাশুদের ঢল নামবে বলে আমি মনে করি।

 

 

 

সুন্দরবনটাইমস.কম/আ:ই/নিজস্ব প্রতিনিধি


আপনার মতামত লিখুন :

নিজস্ব প্রতিবেদক